বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা গণফোরামের কর্মী সমাবেশ
  •   নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে ফরিদগঞ্জে অবাধে ইলিশ বিক্রি
  •   পিকনিকে যাওয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ মেঘনায় ভেসে উঠলো দুদিন পর
  •   নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি না করার শপথ করিয়েছেন এমএ হান্নান
  •   বিকেলে ইলিশ জব্দ ও জরিমানা

প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:২৫

চাঁদপুর জেলায় দেড় লাখ কিশোরীকে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধক টিকা প্রদানের টার্গেট

চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট
চাঁদপুর জেলায় দেড় লাখ কিশোরীকে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধক টিকা প্রদানের টার্গেট

এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার রুখে দিন' এই শ্লোগানকে সামনে রেখে চাঁদপুরে জরায়ুমুখে ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে সাংবাদিকদের সাথে

মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় জানানো হয়, চাঁদপুর জেলায় ১লাখ ৫১ হাজার ৯৩৬জন কিশোরীকে জরায়ুমুখ ক্যান্সার (এইচপিভি) প্রতিরোধেক টিকা প্রদানের টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে প্রাথমিকভাবে ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছাত্রী ও ১০-১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা প্রদান করা হবে। ক্যাম্পেইন আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে চলবে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত (শুক্রবার এবং সরকারি ছুটির দিন বাদে

১ মাসব্যাপী)।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ নুর আলম দীন।

এইচপিভি টিকার বিভিন্ন দিক ও গুরুত্ব তুলে ধরে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের (এমওসিএস) ডাঃ মোঃ শাখাওয়াত হোসেন। তিনি জানান, চাঁদপুর জেলায় এখন পর্যন্ত ওয়েব সাইট এবং অ্যাপসের মাধ্যমে ৩৩ হাজার টিকা গ্রহণের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। জেলায় এই টিকার উপযোগী সংখ্যা হচ্ছে ১লাখ ৫১ হাজার ৯৩৬ জন। এর মধ্যে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি সমমান কিশোরী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১লাখ ৫০ হাজার ৪২জন। ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীর সংখ্যা ১হাজার ৮৯৪জন।

জেলায় টিকা কার্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হচ্ছে ২ হাজার ৫১৯টি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে কমিউনিটি টিকা কেন্দ্র ২ হাজার ৪২৪টি। এসব টিকা কেন্দ্রে ৬০৬জন দক্ষ টিকা প্রদানকারী টিকা প্রদান করবেন। এসব কাজে ২ হাজার ৪১৮জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবে এবং তাদেরকে সরাসরি তদারকি করবেন ৩০৩জন কর্মকর্তা।

সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ নুর আলম দীন বলেন, এই কাজটি করার জন্যে আমাদেরকে সবচাইতে বেশি সহযোগিতা করেছেন শিক্ষকরা। এই ধরনের টিকা আমাদের দেশে এই প্রথম। পরবর্তীতে পঞ্চম শ্রেণী অথবা ১০ বছর হলেই এইচপিভি টিকার আওতায় আসবে। এই টিকা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা এখনো কম। তাই সচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যমের ভূমিকা বেশি প্রয়োজন।

সভায় চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমনসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার

প্রায় ৩০জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়