সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   খাল দখল নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
  •   নৌ পুলিশের হয়রানি বন্ধে জেলা বিএনপির সভাপতির কাছে জেলেদের লিখিত আবেদন
  •   হাসান আলী মাঠে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শততম দিনে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা
  •   মাদ্রাসা খাদেমের লাশ নদী থেকে উদ্ধার
  •   পল্লবীতে দুই ছেলেকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে

প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:৫৫

অর্থাভাবে চিকিৎসা বঞ্চিত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী আকবর হোসেন

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি
অর্থাভাবে চিকিৎসা বঞ্চিত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী আকবর হোসেন
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী আকবর হোসেন

সিলেট মদন মোহন সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আকবর হোসেন। সে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দায়চারা গ্রামের দিন মজুর প্রতিবন্ধী রওশন আলী ও ফেরদৌসী বেগম দম্পতির ছেলে।

গত ৪ আগস্ট সিলেটে কলেজ ক্যাম্পাস এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় বিপরীত দিক থেকে ছোড়া গুলিতে বুক, হাত, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয় আকবর হোসেন। আহত অবস্থায় ওই দিনই তাকে সিলেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বলা হলেও অর্থাভাবে চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছে সে। গুলির ক্ষত নিয়ে বাড়িতে বিছানায় পড়ে থাকলেও পঙ্গু বাবা ছেলের চিকিৎসা না করাতে পেরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।

আহত আকবর হোসেনের বাবা রওশন আলী বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তার ছেলে বুক, হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। পুরো শরীরজুড়ে রয়েছে ছররা গুলির ক্ষত-বিক্ষতের চিহ্ন। স্থানীয়দের সহযোগীতায় ছেলের কোনমতে চিকিৎসা করালেও পুরো সুস্থ করে তুলতে পারেন নি। অন্তবর্তীকালীন সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত সিংহভাগ শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ব্যয় বহন করলেও আমার বেলায় তা জুটেনি।

হাউমাউ করে কেঁদে তিনি আরও বলেন, আমি এক সময় প্রবাসে ছিলাম,সেখানে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে আমার হাত কেটে ফেলতে হয়েছে। বর্তমানে দিনমুজুরি করে পরিবার নিয়ে কোন মতে বেঁচে আছি। এখন আবার ছেলের এই অবস্থা। ছেলের চিকিৎসায় ব্যয় মিটাতে না পেরে এখন মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে আমাকে।

আহত আকবর হোসেনের মা ফেরদৌসী বেগম বলেন, পেশায় সে গৃহিণী। তার ছেলে মেধাবী। নিজ সন্তানের শরীর থেকে ছররা গুলির ছোট ছোট কার্তুজ উঠিয়েছি। সেই গুলি আমার কাছে রয়েছে। ছেলের সুস্থতা ও ভবিষ্যত উজ্জল হোক এটাই অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে কামনা করি। এখন অভাব অনটনের মধ্যে জীবন-যাপন করতে হচ্ছে তাদের।

আহত আকবর হোসেন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৭ জুলাই থেকে সক্রিয়ভাবে মাঠে ছিলাম। প্রথমদিকে হালকা আঘাতের শিকার হলেও ৪ আগস্ট পুলিশের ছররা গুলিতে মারাত্বকভাবে আহত হলে আমাকে প্রথমে সিলেট সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বলা হলেও টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিনা। জীবনে কিছু পাই বা না পাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে আছি এবং থাকবো। যেহুতু আমিও একজন ছ্ত্রা। আমি লেখাপড়ার মধ্যে বা শেষ করে ভালো একটি চাকুরী করে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চাই।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়