রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

১২ নভেম্বর বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস

নিউমোনিয়া : ঘাতকের অন্য নাম

ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়া

নিউমোনিয়া : ঘাতকের অন্য নাম
অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে শ্বাসতন্ত্রের অন্যতম ঘাতক রোগের নাম নিউমোনিয়া। অসংখ্য জীবাণু নিউমোনিয়া রোগের কারণ হিসেবে বিবেচিত। এর মধ্যে হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জি, স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনি, অর্থোমিক্সো ভাইরাস উল্লেখযোগ্য। গত দু হাজার কুড়ি সাল থেকে জানা গেছে, কোভিড-১৯ আক্রান্ত অনেকেই তীব্র নিউমোনিয়ায় ভুগে মারা গেছে। দু হাজার নয় সালের দুই ডিসেম্বর তারিখে সারা বিশ্বে নিউমোনিয়া নিয়ে কাজ করা দুইশটি সংস্থা বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস পালনের লক্ষ্যে বারো নভেম্বরকে নির্দিষ্ট তারিখ হিসেবে ধার্য করেছে। প্রতি বছর নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে প্রায় সাড়ে সাত লাখেরও অধিক শিশু মৃত্যুবরণ করে। এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো, ‘Stop Pneumonia. Every Breath Counts.’ ‘নিউমোনিয়া থামান। প্রতিটি নিঃশ্বাসই গুরুত্বপূর্ণ।’

কমিউনিটি অ্যাকোয়ার্ড নিউমোনিয়া, হাসপাতাল অ্যাকোয়ার্ড নিউমোনিয়া, অ্যাসপিরেশন নিউমোনিয়া ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার নিউমোনিয়া মানুষকে আক্রান্ত করে। বায়ুবাহিত জীবাণু প্রশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে অনুপ্রবেশ করে ক্ষতিসাধনে লিপ্ত হয় এবং নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়। নিউমোনিয়ায় পঁয়ষট্টি-ঊর্ধ্ব প্রবীণ এবং দুই বছরের নীচে শিশুরাই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হন।

নিউমোনিয়ার লক্ষণ

* জ্বরসহ কাশি

* শ্বাসকষ্ট

* প্রতি মিনিটে শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়

* হলুদ বা লালচে কফ যায়। কফে পুঁজ থাকে

* শিশুদের শ্বাস-প্রশ্বাসকালীন বুকের খাঁচার মধ্যবর্তী মাংসপেশি ও ত্বক ভেতরের দিকে দেবে যায়।

* শ্বাস-প্রশ্বাসকালীন শোঁ শোঁ শব্দ হয়।

* রাতে বিছানা ঘামে ভিজে যায়।

* সারা শরীর ব্যথা হয়।

* বুক জ্যাম হয়ে যায়। শ্লেষা বাড়ে।

নিউমোনিয়ায় ফুসফুসের ক্ষয়ক্ষতি

* বায়ুথলি বা অ্যালভিওলাইয়ের প্রদাহ হয়

* বায়ুথলিতে পুঁজ জমে

* ফুসফুস অকার্যকর হয়ে পড়ে

* ফুসফুসে কনসলিডেশন দেখা দেয়

পরীক্ষা ও রোগ নিরূপণ

* রক্তের রুটিন পরীক্ষা

* বুকের এক্স-রে/সিটি স্ক্যান

* কফ পরীক্ষা

চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা

* বেড রেস্ট

* নাকে অক্সিজেন প্রদান

* প্রযোজ্য ক্ষেত্র নেবুলাইজেশন

* উপযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিক প্রদান

* স্টেরয়েড ইঞ্জেকশন

* মন্টিলুকাস্টজাতীয় ঔষধ সেবন

* শ্বাসনালী প্রশস্তকারী ঔষধ প্রয়োগ

নিউমোনিয়া প্রতিরোধ

* নিউমোনিয়া ভ্যাকসিন প্রদান

* মাস্ক ব্যবহার

* ধূলাবালি এড়িয়ে চলা

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবজনিত কারণে বাংলাদেশের বাতাসে ভাসমান ক্ষতিকর কণার ঘনত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে, যা নিউমোনিয়াসহ শ্বাসতন্ত্রের নানা রোগ তৈরি করে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার জন্যে নিউমোনিয়া রোগের প্রকোপ বেড়ে যাচ্ছে। শ্বাসতন্ত্রের ক্রমবর্ধমান জটিলতা নিরসণে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ আজ সময়ের দাবি।

* চিকিৎসাঙ্গন বিভাগে লেখা পাঠানোর

ই-মেইল : [email protected]

১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়বেটিস দিবস

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পরিবারের ভূমিকা *** ছবি-৪৯

ডাঃ শাহজাদা সেলিম

ক্লান্তি, অবসন্নতা, ওজন হ্রাস, পিপাসা ও ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া, ঘন ঘন প্রস্রাব ডায়াবেটিসের লক্ষণ। এছাড়া বারবার সংক্রমণ, ফোড়া, যোনিপথে চুলকানি, হাত-পায়ের জ্বলুনি, যৌনক্ষমতা হ্রাস ইত্যাদি উপসর্গও থাকতে পারে। আবার কোনো লক্ষণ না-ও থাকতে পারে। লক্ষণ থাকলে রক্তে শর্করা পরীক্ষা করুন। আর লক্ষণ না থাকলেও ৪০ বছরের পর সবারই উচিত বছরে এ পরীক্ষাটি করা।

যাদের পরিবারে ডায়াবেটিসের ইতিহাস আছে, তারা বিশেষ ঝুঁকির মধ্যে আছেন। তাই পরিবারের জীবনযাত্রা পাল্টাতে হবে। কম বয়স থেকেই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস করুন। উচ্চ ক্যালরিসম্পন্ন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। ওজন যেনো না বাড়ে সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত। পরিবারে শিশু-কিশোরদের মুটিয়ে যাওয়া ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়া প্রতিরোধ করতে মা-বাবার ভূমিকা অনেক বেশি। সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয়ে পরিবার বড় ভূমিকা রাখতে পারে। পরিবারের সব সদস্যের বেলায় নিয়মিত চেকআপ বা রুটিন স্ক্রিনিংয়ের কথা মনে রাখুন।

যে কোনো গর্ভধারণের ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহের মধ্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। বাড়ির নারী সদস্যটি অন্তঃসত্ত্বা হলে স্বামী ও অন্য সদস্যরা বিষয়টি খেয়াল করবেন। গর্ভকালীন ডায়াবেটিস শনাক্ত হলে ঘাবড়ে গেলে চলবে না। অন্তঃসত্ত্বা নারীকে খাদ্যরুটিন মেনে চলা, ইনসুলিন নেয়া, নিজে নিজে রক্তের শর্করা পরীক্ষা করার বিষয়ে সাহায্য করুন। সন্তান ধারণ ও প্রসবের সময় কী কী জটিলতা হতে পারে, সে বিষয়ে জানুন ও সচেতন হোন। প্রসবের পরও নিয়মিত চেকআপ ও সুষম খাদ্যাভ্যাস চালিয়ে যান।

পরিবারের বয়স্ক সদস্যরাই সাধারণত ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে থাকেন। বয়স্কদের যেনো রক্তে শর্করা হঠাৎ কমে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। ডায়াবেটিসের রোগীর পায়ের যতœ, হৃদ্যন্ত্র বা কিডনির দেখভাল গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারের একজন দায়িত্ববান সদস্য হিসেবে প্রত্যেকের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি, নিয়ন্ত্রণ এবং জটিলতা প্রতিরোধে ও চিকিৎসায় আপনাকেই ভূমিকা রাখতে হবে।

* চিকিৎসাঙ্গন বিভাগে লেখা পাঠানোর

ই-মেইল : [email protected]

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়