বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৯:৪৩

১১ বছর আগের পরিপত্র দেখিয়ে ফরিদগঞ্জে এইচএসসি ব্যবহারিকে বাড়তি টাকা আদায়

প্রবীর চক্রবর্তী।।
১১ বছর আগের পরিপত্র দেখিয়ে ফরিদগঞ্জে এইচএসসি ব্যবহারিকে বাড়তি টাকা আদায়

১১ বছর পূর্বের একটি পরিপত্র দেখিয়ে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার ব্যবহারিক পরীক্ষায় বাড়তি টাকা আদায় করা হয়েছে। এমন ঘটনা ফরিদগঞ্জের। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

২০২৫ সালের চলমান এইচএসসি পরীক্ষার মূল পরীক্ষা শেষে এখন ব্যবহারিক পরীক্ষা চলমান রয়েছে। ফরম পূরণের সময় সকল ধরনের পরীক্ষার ফি নেয়ার কথা থাকলেও কোনো সময়েই কলেজ কর্তৃপক্ষ তা মানে না। যে যার মতো করে ফি আদায় করে থাকে। সর্বশেষ ফরিদগঞ্জ সরকারি কলেজ কেন্দ্রে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফি আদায়ের সাথে সাথে ১১ বছর পূর্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত একটি পরিপত্র দেখিয়ে বোর্ড ফির সাথে বিষয় প্রতি ৪০ টাকা হারে আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। কলেজ অধ্যক্ষও তা স্বীকারও করেছেন।

জানা গেছে, এইচএসসি পরীক্ষার ফরিদগঞ্জ সরকারি কলেজ কেন্দ্রে চলতি ২০২৫ সালে গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত ডিগ্রি কলেজ, কালিরবাজার কলেজ, লাউতলী ডা. রশিদ আহমেদ স্কুল এন্ড কলেজ ও চির্কা চাঁদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা মূল পরীক্ষা শেষে ব্যবহারিক পরীক্ষা দিচ্ছে। প্রতি বছর ফরম পূরণের সময় মূল ও ব্যবহারিক পরীক্ষার সকল ফি নেয়ার কথা থাকলেও কখনোই কোনো কেন্দ্রে তা মানা হয়নি।

এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। বরং এবার তার পরিমাণ আরো বেড়েছে। জানা গেছে, শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অনুসারে ব্যবহারিক পরীক্ষার বিষয় প্রতি ৪৫ টাকার পাশাপাশি চলতি বছর থেকে ২০১৪ সালের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি পরিপত্র অনুসারে বিষয় প্রতি আরো ৪০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে।

চির্কা চাঁদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ আবু জাফর মো. শামছুদ্দিন পাটওয়ারী জানান, তার কলেজ থেকে ফরিদগঞ্জ সরকারি কলেজ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বিষয় প্রতি ১৭০ টাকা করে নিয়েছে।

কালিরবাজার কলেজের একজন শিক্ষক জানান, তার কলেজ থেকে ফরিদগঞ্জ সরকারি কলেজ কেন্দ্রে শিক্ষার্থী প্রতি ভূগোলের জন্য ১৭০ টাকা ও অন্য বিষয়ে ১৫০ টাকা করে নিয়েছে।

এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ শাহ্ মো. মাছুম বিল্লাহ্ বলেন, বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত বিষয় প্রতি ৪৫ টাকা ও ২০১৪ সালের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি পরিপত্র অনুসারে বিষয় প্রতি আরো ৪০ টাকা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও গত ১১ বছর এই টাকা আদায় হয়নি, তা বিস্ময়কর। আমি এই পরিপত্র দেখে এ বছর থেকে বাড়তি টাকা আদায় করেছি। বাড়তি ৪০ টাকা কলেজ ফান্ডে জমা থাকবে বলে তিনি জানান।

এদিকে অর্থনৈতিক দুরবস্থার পাশাপাশি বেসরকারি কলেজের বাইরে সরকারি কলেজে পরীক্ষার বাড়তি ফি নেয়ার ঘটনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এতো বছর পর কেনো মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র দেখিয়ে বাড়তি টাকা আদায় করা হলো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সবাই।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়