প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
শরীরে প্রোটিনের ঘাটতির ৫ লক্ষণ
প্রতিদিনের খাবারে প্রোটিন না রাখলেই যেন নয়। এই পুষ্টি উপাদান শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে অতিনিয়মত খাদ্যাভাসের কারণে অনেক সময়েই শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দেয়। তবে সহজে তা বোঝা যায় না।
যখন শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যায়, তখন নানা ধরনের অসুস্থতা দেখা দেয়। তখন বাড়ে সমস্যা। এক্ষেত্রে অনেকেরই কর্মশক্তি কমে যায়।
কারও বা বিপাকহার দূর্বল হয়ে যায়। আবার শরীরে ইনসুলিন হরমোনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই সবারই উচিত সতর্ক হওয়া। এক্ষেত্রে কয়েকটি লক্ষণ সম্পর্কে আগে থেকেই জেনে রাখা জরুরি।
প্রোটিনের ঘাটতির লক্ষণ কী কী?
সব সময় খিদে লাগা
প্রোটিন জাতীয় খাবার অনেক ক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি রাখে। তবে পর্যাপ্ত প্রোটিন শরীরে না গেলে খিদে পাওয়াটা স্বাভাবিক। ঘন ঘন খিদে পাওয়া শরীরে প্রোটিনের ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে।
রক্তে শর্করার ভারসাম্যহীনতা
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিনের অভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডাল, রাজমা, মাছ, ডিম, বাদাম ইত্যাদি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার প্রতিদিনের ডায়েটে রাখা উচিত।
চুল পড়া
শুধু শরীর সুস্থ রাখতেই নয়, সৌন্দর্য ধরে রাখতেও প্রোটিন প্রয়োজন। পর্যাপ্ত প্রোটিনের অভাবে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়। এমনকি চুল পড়ার সমস্যাও বাড়ে।
ক্ষত শুকাতে দেরি হয়
প্রোটিন ত্বকের যে কোনো ক্ষতস্থান দ্রুত সারাতে সাহায্য করে। যদি দেখেন শরীরের কোথাও ক্ষতস্থান সহজে শুকাচ্ছে না, সেক্ষেত্রে ধরে নিতে পারেন প্রোটিনের ঘাটতি আছে।
অতিরিক্ত ক্লান্তিভাব
প্রোটিন শরীর চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে। অন্যদিকে প্রোটিনের ঘাটতি শরীরে একটা ক্লান্তি ভাব এনে দেয়। তাই সারারাত ভালো ঘুম হওয়ার পরেও যদি কাজ করতে গিয়ে ক্লান্তি আসে, তাহলে বুঝতে হবে প্রোটিনের ঘাটতি আছে আপনার শরীরে।
যে ১০ খাবারে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি দূর করে
মানব দেহে প্রোটিনের গুরুত্ব কতটা তা আমরা সবাই জানি। প্রোটিন জাতীয় খাবার গ্রহণ আমাদের একান্ত অপরিহার্য। কারণ প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, দেহের বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়পূরণ রোধ করে, এবং দেহে শক্তির যোগান দেয়। তাই আমাদের উচিত খাবার তালিকায় প্রোটিন জাতীয় খাবার রাখা। জেনে নিন ১০টি খাবার সম্পর্কে যেগুলো খেলে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি দূর হয়।
দুধ : এক কাপ দুধে ৮ গ্রাম প্রোটিন থাকে। ফ্যাট বেড়ে যাওয়ার চিন্তা থাকলে পান করতে পারেন ‘লো বা জিরো ফ্যাট মিল্ক’।
টুনা : যে কোনও মাছেই প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। টুনা তার মধ্যে অন্যতম। ১৪২ গ্রামের মাছে ২৭ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
বাদাম : ২৮ গ্রাম বাদামে ৭ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এতে প্রচুর ক্যালোরিও থাকে। ফলে পরিমাণ বুঝে খাওয়াই ভাল।
ওটস : এক কাপ ওটসে ১১ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এছাড়া এতে ফাইবার, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি খনিজও পাওয়া যায়।
চিংড়ি : ৩ আউন্স অর্থাৎ ৮৫ গ্রাম চিংড়িতে ২০ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এতে ভিটামিন বি-১২ থাকে প্রচুর পরিমাণে।
ডিম : একটি গোটা ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ প্রায় ৬ গ্রাম। এছাড়াও ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, প্রয়োজনীয় ফ্যাট থাকে।
মুসুর ডাল : ডাল প্রোটিনের উৎকৃষ্ট উৎস। ১৯৮ গ্রাম মুসুর ডালে ১৮ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
কুমড়ার দানা : এক আউন্স অর্থাৎ ২৮ গ্রাম কুমড়োর দানায় ৯ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
আমন্ড : প্রত্যেক আউন্সে প্রোটিনের পরিমাণ ৬ গ্রাম ও ১৫ শতাংশ ক্য়ালোরি থাকে।
চিকেন : একটা রোস্টেড চিকেন ব্রেস্টে ৫৩ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এতে ক্যালোরির পরিমাণ মাত্র ২৮৪ ক্যালোরি।