মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

ক্যান্সার প্রতিরোধক খাবার
অনলাইন ডেস্ক

প্রাথমিক অবস্থায় রোগ ধরা পড়লে যথাযথ চিকিৎসায় ক্যান্সার পুরোপুরি সেরে যেতে পারে অথবা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। ক্যান্সারের সাধারণ কিছু লক্ষণ হলো—অল্প বা বেশি জ্বর, রাতে ঠাণ্ডা লাগা বা ঘেমে যাওয়া, ক্ষুধা কমে যাওয়া, শরীরে চাকা দেখা দেওয়া। কখনো তাতে ব্যথা হতে পারে, আবার নাও হতে পারে। আরও আছে দীর্ঘস্থায়ী কাশি, অনেক দিন ধরে গলা ভাঙা, মলত্যাগের অভ্যাসে পরিবর্তন, ঘন ঘন ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা মলের সঙ্গে রক্ত যাওয়া, বিনা কারণে ক্লান্ত বোধ করা, ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি।

রসুন : গবেষণায় দেখা গেছে, যারা রসুন খান তাদের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। এটি ক্যান্সারকে দানা বাঁধতে দেয় না। তাই প্রতিদিন রসুন খাওয়ার অভ্যাস করুন।

গ্রিন টি : অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানেই ক্যান্সার প্রতিরোধী। আর গ্রিন টি হলো এর দারুণ এক উৎস। সবুজ চায়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যাটচিন থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রিন টি টিউমার হওয়া প্রতিরোধ করে।

গাজর : গাজরে প্রচুর বিটা ক্যারোটিন আছে, যা ফুসফুস, শ্বাসনালি থেকে শুরু করে পাকস্থলী ও অন্ত্রের ক্যান্সারও ঠেকায়। এমনকি স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধও করে থাকে। প্রতিদিন একটি গাজর বা এক গ্লাস গাজরের রস পান করুন।

টমেটো : টমেটো মূলত একটি ফল। এর আরেক নাম ‘নিউট্রিশনাল পাওয়ার হাউস’। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়তে পারে এটি। এতে আছে লাইকোপেন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা হৃদরোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। আবার টমেটোর ভিটামিন এ, সি ও ই ক্যান্সারবান্ধব মৌলের শত্রু। টমেটোর রস ক্ষতিকর ডিএনএ যুক্ত কোষ নষ্ট করতে পারে। তাই সপ্তাহে দুই-তিনটি টমেটো খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত।

বাদাম : বাদামে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। পাশাপাশি পটাশিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, ফোলেট, সেলেনিয়াম এবং ভিটামিন ই থাকে। কিছু প্রোটিন ও ফাইবারও থাকে বাদামে। আখরোটে থাকে প্রদাহরোধী ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। গবেষণায় জানা গেছে, বাদামের সেলেনিয়াম উপাদানটির কারণে কোলন, ফুসফুস, যকৃত এবং অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। সকালে বা বিকেলের নাশতায় চীনাবাদাম রাখতে পারেন। এ ছাড়াও বাদামের মাখনও উপকারী।

হলুদ : আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির গবেষণা বলছে, হলুদের কারকিউমিন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহের টিস্যুর মধ্যে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দেহকে ক্যান্সার প্রতিরোধী করে তোলে। প্রতিদিন কাঁচা হলুদের দুধ বা তরকারিতে প্রয়োজনমতো হলুদ ব্যবহার করতে পারেন।

ফুলকপি ও ব্রকলি : দুটোই ভেষজ উপাদান সমৃদ্ধ সবজি। আঁশযুক্ত সবজির মতো এরাও শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে থাকে। এ ছাড়া এতে থাকা গ্যালাকটোজ উপাদান অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া দূর করে। ব্রকলির সালফোরোফেন, ইনডোলস উপাদান ফুসফুস, ব্লাডার, লিমফোমা ও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

তরমুজ : ফলের মধ্যে তরমুজ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে বেশ ভালো লড়ে। তরমুজে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। প্রতিদিনের চাহিদার ৮০ শতাংশ ভিটামিন সি, ৩০ শতাংশ ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিন দিতে পারে এটি। তা ছাড়া তরমুজেও লাইকোপেন থাকে।

সবুজ শাক : সবুজ শাক ফাইবার, ফোলেট, ক্যারোটিনয়েড ও ফ্লেভনয়েডের চমৎকার উৎস। এ যৌগগুলোর বেশিরভাগেরই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপকারিতা আছে যা কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। পেঁয়াজ : নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে পাকস্থলীর ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। এর ক্যান্সার প্রতিরোধক উপাদান টিউমারের বেড়ে ওঠা বিলম্বিত করে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়