সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২২, ০০:০০

নানা সঙ্কট আর অব্যবস্থাপনায় কচুয়াবাসীর স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত
মেহেদী হাসান ॥

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব আর নানা সমস্যায় জর্জরিত কচুয়া উপজেলার স্বাস্থ্য খাত। উপজেলার প্রায় ৪ লক্ষাধিক লোকের চিকিৎসার জন্যে প্রতিষ্ঠিত একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, চারটি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও আটটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে। ২০০৮ সালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও সেবার মান বাড়েনি। এতে উপজেলাবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১ জন চিকিৎসকের মধ্যে রয়েছেন মাত্র ১২ জন। তন্মধ্যে ৩ জন চিকিৎসক অন্যত্র কর্মরত। বিশেষ করে সার্জারি, মেডিসিন, শিশু, চক্ষু, গাইনি, অর্থো-সার্জারি, ইএনটি ও ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ দীর্ঘদিন যাবৎ শূন্য রয়েছে।

চারটি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মধ্যে শুধুমাত্র একটিতেই চিকিৎসক রয়েছেন। বাকি তিনটিতে চিকিৎসক ছাড়াই চলছে সেবাদান কার্যক্রম। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র আটটির মধ্যে ছয়টিতে চিকিৎসক রয়েছেন। বাকি দুটিতে কোনো চিকিৎসক নেই।

এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৮ জন নার্সের মধ্যে রয়েছেন ২৭ জন। মিডওয়াইফ ৯ জনের মধ্যে রয়েছেন ২ জন। শুধু তা-ই নয়, শূন্য রয়েছে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের বেশ ক’টি পদ। এর মধ্যে একটি ওয়ার্ডবয়সহ বেশ ক’জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পদ শূন্য আছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে পুুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ড এবং কেবিনগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। ময়লা-আবর্জনা ড্রেনে পড়ে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। টয়লেটগুলোরও বেহাল দশ। বেডের চাদরে ও বালিশে ময়লা-আবর্জনা। রোগীদের ব্যবহৃত ওষুধের খোসা ও খাবারের ময়লা ফেলা হচ্ছে যেখানে-সেখানে। ফলে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে সর্বক্ষেত্রে। ফলে সুস্থ হতে এসে অসুস্থই বাড়ি ফিরে যেতে হয় অনেকের।

রোগীর সাথে আসা স্বজনরা জানান, সরকারি অন্য হাসপাতালগুলোর উন্নতি হলেও এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির চিকিৎসা সেবার মান আজও উন্নত হয়নি। লোকজন না থাকায় চিকিৎসা সেবা ও পরিচ্ছন্নতা ব্যাহত হবে-এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

শারমিন আক্তার নামে একজন বলেন, আমার ছেলের জ্বর হলে দ্রুত চিকিৎসার জন্যে হাসপাতালে আসি। এসে দেখি চিকিৎসা নেয়ার কোনো পরিবেশ নেই। চিকিৎসা শুরু হলে স্যালাইনের সুঁই থেকে শুরু করে সব ফার্মেসি হতে সংগ্রহ করেছি। নামেমাত্র দু-একটি ওষুধ হাসপাতাল থেকে পেয়েছি।

চিকিৎসা সেবা নিতে আসা মহিতুল ইসলাম বলেন, বুকের ব্যথা ও জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হই। এখানে এসে নার্স ও চিকিৎসকের সেবা ভালো পেলেও হাসপাতালের পরিবেশ দেখে খুবই খারাপ লাগছে। খাবার, সিট, টয়লেটের পরিবেশ খুবই খারাপ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাজন কুমার দাস বলেন, আউটডোরে প্রতিদিন গড়ে ৩ শতাধিক রোগী চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে এবং ইনডোরে ২০ জন ভর্তি হচ্ছে। বর্তমানে হাসপাতালটিতে ত্রিশের অধিক চিকিৎসক রয়েছেন। তাছাড়া আমি যোগদান করার পর হাসপাতালটি নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয় এবং পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়