বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ৩৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৪, ০০:০০

জনগণের আস্থায় সমৃদ্ধ চাঁদপুর কণ্ঠ

মোঃ মাকসুদুল হক বাবলু
জনগণের আস্থায় সমৃদ্ধ চাঁদপুর কণ্ঠ

১৯৮৭ সালের কোনো একদিন। দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি গোলাম কিবরিয়া জীবন মতলবে আসেন। তখন তিনি সাপ্তাহিক চাঁদপুর পত্রিকা পরিচালনা করতেন। তিনি ও তার পুরো পরিবার চাঁদপুর অংকুর কচি-কাঁচার মেলার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমি তখন মতলব সূর্যমুখী কচি-কাঁচার মেলার পরিচালক। তারই সুবাদে তার সঙ্গে গভীর ও আন্তরিক সম্পর্ক ছিল। তিনি মতলব আসলে কিছুক্ষণের জন্যে হলেও মতলব মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে যেতেন। একদিন তার সঙ্গে দীর্ঘদেহী, তারুণ্যদীপ্ত একজনকে দেখেছি। আমি তার পরিচয় জানার কথা ভাবছি। এমন সময় তিনি বললেন, আমার নাম কাজী শাহাদাত। আমার বড়োভাই কাজী তাহেরুল ইসলামের কাছে আপনার নাম অনেক শুনেছি। আমি শুনে চমকে উঠলাম। শুনে ভালো লাগলো, আমার মতলব হাই স্কুলের ঘনিষ্ঠ সহপাঠী (১৯৬২-৬৩) তাহের তার বড়োভাই। তার সঙ্গে পরিচিত হয়ে আমি যেন আমর বন্ধু তাহেরের সান্নিধ্য উপভোগ করছি। আমি মনে মনে খুবই প্রীত হলাম। মনে হলো, কিছুক্ষণ যেন আনন্দ সাগরে অবগাহন করেছি।

এরপর আর পেছনে তাকানো নয়। কাজী শাহাদাতের সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য প্রত্যক্ষ করেছি। সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্ম সম্পাদনের পাশাপাশি দৈনিক জনতার চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি ও সাপ্তাহিক চাঁদপুরের বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে সাপ্তাহিক চাঁদপুর কণ্ঠে (১৭ জুন, ১৯৯৪ থেকে) ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠে (১ জানুয়ারি, ১৯৯৯ থেকে) প্রধান সম্পাদক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ। এই পত্রিকাটি নিয়মিত প্রকাশিত, পাঠকের ভালোবাসায় সিক্ত ও জনগণের আস্থায় সমৃদ্ধ । এ পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করেছি, ভবিষ্যতেও করে যাবো। পত্রিকার প্রধান সম্পাদক কলমের কোনো দাগ না লাগিয়ে হুবহু ছাপিয়েছেন, যা আমাকে উদ্দীপ্ত করেছে। এদিকে কাজী শাহাদাত ও তার ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক গভীর থেকে গভীরতর হয়েছে। তবে অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, তার বড়োভাই আর আমাদের মাঝে নেই। ১০ জানুয়ারি, ২০১০ সালে সে ইন্তেকাল করে।

চাঁদপুর কণ্ঠ এগিয়ে চলেছে দৃঢ় প্রত্যয়ে। আজ তার বয়স কম নয়, ত্রিশ। তাকে সব বিষয়ে মূল্যবান পরামর্শ ও সহযোগিতা করছেন অভিজ্ঞ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইকবাল-বিন-বাশার। এক ঝাঁক দক্ষ, আন্তরিক সাংবাদিকবৃন্দ বিভিন্ন দায়িত্বে থেকে ক্লান্তিহীন কাজ করে যাচ্ছেন। নিঃসন্দেহে পত্রিকাটি অগণিত পাঠকের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে অভীষ্ট লক্ষ্যে সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে।

কী নেই এই পত্রিকাটিতে? পত্রিকাটি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ধর্ম, সাহিত্য, সংস্কৃতি লালনে বিশিষ্ট ভূমিকা রাখছে। গুণী ব্যক্তিদের সংবর্ধনা প্রদান করে সমৃদ্ধ মানুষ সৃষ্টির কাজ করছে।

উল্লেখ্য, ১৭ জুন, ২০০১, চাঁদপুর কণ্ঠ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে শিশু সংগঠক হিসেবে আমাকে সম্মাননা প্রদান করে। পত্রিকাটিতে সময় সময় ফিচার, সাক্ষাৎকার পর্ব চমৎকারভাবে পরিবেশিত হয়। সম্পাদকীয়তে সুস্পষ্টতা প্রশংসার দাবি রাখে। সকল ক্ষেত্রে সফলতার পাশাপাশি চাঁদপুর কণ্ঠ প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্যে বিতর্কের আয়োজন করে শিশু-তরুণ প্রজন্মকে দেশের ভবিষ্যৎ কাণ্ডারী হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়াস পেয়েছে।

চাঁদপুুর কণ্ঠকে নিয়ে লিখতে গেলে লেখা সহজে শেষ হবার নয়। আমরা আশা করি, শত প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে পত্রিকাটি ভবিষ্যতেও দৃঢ় পথে এগিয়ে যাবে। তাদের লেখনী দুর্বিষহ পরিবেশ থেকে মানুষকে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস আস্বাদন করতে দেবে। মানবতার পক্ষে তার অবিরাম শাণিত লেখনী চলতেই থাকবে।

চাঁদপুর কণ্ঠের জন্যে নিরন্তর শুভ কামনা।

লেখক : শিশু সংগঠক; সভাপতি, কচি-কাঁচা কমপ্লেক্স, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়