প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৪, ০০:০০
চাঁদপুর কণ্ঠ নিয়ে আমার গর্ব
আমরা যারা সাপ্তাহিক চাঁদপুর কণ্ঠের জন্মের সঙ্গে জড়িত এবং পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে প্রথম দৈনিক এই পত্রিকায় কাজ করা শুরু করে এখনো জড়িত, তারা খুব গর্ব অনুভব করছি। আমার সাংবাদিকতার হাতেখড়ি চাঁদপুর কণ্ঠে। চাঁদপুর শহরের একসময়ের নামকরা রাজনীতিবিদ অ্যাডঃ ইকবাল-বিন-বাশার সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে চাঁদপুর শহরের পালবাজারস্থ বকুলতলায় তাঁর নিজ বাসার সামনে তাঁর ল’ চেম্বার থেকে সাপ্তাহিক চাঁদপুর কণ্ঠ প্রকাশনা শুরু করলেন। তখন লেটার প্রেসে ছাপা হতো পত্রিকা। প্রেস ছিলো প্রথমে লন্ডন ঘাটস্থ শাহজালাল প্রিন্টার্স এবং পরবর্তীতে চাঁদপুর সরকারি কলেজের মেইন গেইটের সম্মুখস্থ জিলানী প্রিন্টার্স। সিসার তৈরি টাইপে নিউজ কম্পোজ হতো। আর ছবি ছাপতে হলে ঢাকা থেকে ব্লক বানানো হতো। এখন যেমন বড় পত্রিকা হয়েছে, তখন চাঁদপুর কণ্ঠের আকার এমন ছিল না। আকার ছিলো ট্যাবলয়েড। এই আকারে পুরো সাপ্তাহিক আমল এবং পরবর্তীতে ক’বছর দৈনিক হিসেবে প্রকাশের পর বর্তমান বড় আকারে ছাপা শুরু হয়।
চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার এলাকা থেকে সংবাদদাতা হিসেবে আমি কাজ শুরু করি সাপ্তাহিক থাকাবস্থায়। পরবর্তী বছরগুলোতে অফিসে পত্রিকা পেস্টিং ও মেকাপসহ চাঁদপুর কণ্ঠ সংশ্লিষ্ট সকল কাজে কম-বেশি জড়িত থেকে আজকের দিন পর্যন্ত রিপোর্টিংয়ে কাজ করে যাচ্ছি। সেটা একান্তই কাজী শাহাদাত ভাইয়ের ইচ্ছায়। জানি না তিনি হয়তো আমার মাঝে বিশেষ কোনো নির্ভরতা খুঁজে পেয়েছেন। সেজন্যে তাঁর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তবে হ্যাঁ এটা বলতে পারি, যতোদিন চাঁদপুর কণ্ঠের সঙ্গে যুক্ত আছি ততোদিন সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছি।
আমি আমার মিডিয়া হাউজ ‘চাঁদপুর কণ্ঠ’ নিয়ে গর্ববোধ করি। কারণ, চাঁদপুর কণ্ঠ একটি ব্র্যান্ড, তাকে নিয়ে নিত্য গর্ব করা যায়। চাঁদপুর কণ্ঠের অগ্রযাত্রায় সকল সাংবাদিক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের প্রতি রইলো আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা। সেই সঙ্গে আমার প্রিয় পত্রিকার দীর্ঘায়ু কামনা করছি হৃদয়ের গভীর থেকে।
লেখক : সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ও সাবেক যুগ্ম বার্তা সম্পাদক, দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ; জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক জনতা।