প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৪, ০০:০০
চাঁদপুর কণ্ঠ ও আমার পথচলা
১৯৯৯ সালের ২১ নভেম্বর। চাঁদপুর কণ্ঠে ‘মমিনপুরে ভাই-বোনকে কুপিয়ে অজ্ঞান করে নারকীয় ছিনতাই’ সংবাদটি প্রকাশিত হয়। সংবাদটি আমি লিখিনি, আমার তথ্যের ভিত্তিতে সাংবাদিক রোকনুজ্জামান রোকন ভাই লিখেছেন। তখন সবেমাত্র চাঁদপুর কণ্ঠে কাজ করার জন্যে আবেদন করেছি। সেই থেকে চাঁদপুর কণ্ঠে এখনো আছি। যার হাত ধরে আমার আসা তিনি হলেন শাহতলী বাজারস্থ রূপালী ব্যাংকের ম্যানেজার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান ভাইয়ের ছোটভাই মিজানুর রহমান মিজান ভাই। তার সাথে কথা বলি সাংবাদিকতা করার জন্যে। তার পরামর্শে ব্যাংকার মুজিবুর রহমান ভাইয়ের সাথে শাহতলী রূপালী ব্যাংকে গিয়ে কথা বললে তিনি ছোট একটা কাগজে চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত মহোদয়ের নিকট চিঠি লিখে আমার হাতে দিয়ে চাঁদপুর কণ্ঠে পাঠিয়ে দেন। চিঠিটা নিয়ে প্রধান সম্পাদক মহোদয়ের সাথে দেখা করলে কাগজপত্র গিয়াসউদ্দিন মিলন ভাইয়ের নিকট জমা দেয়ার জন্যে বলেন। কথা মতো কাগজপত্র জমা দিয়ে সংবাদ দেয়া শুরু করি। কবে কখন সংবাদ প্রকাশ হবে সে অপেক্ষায় থাকতাম। একদিন আমার একটা সংবাদ প্রকাশিত হলে খুশিতে আত্মহারা হয়ে যাই। সংবাদ সংগ্রহে আরো বেশি আগ্রহী হয়ে যাই। প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত মহোদয় শুদ্ধ বানান, সংবাদ লেখার কলাকৌশল ও সঠিক দিকনির্দেশনা বলে দিলেন। সে অনুযায়ী কাজ করতে থাকি। কাজের গতিও বৃদ্ধি পেতে থাকে। আমার পাঠানো সংবাদ নিয়মিত প্রকাশ হতে থাকে। আস্তে আস্তে উপজেলা ও উপজেলার বাইরেরও সংবাদ সংগ্রহ করতে থাকি। একদিন সাব-এডিটর পারভেজ খান ভাই প্রস্তাব দিয়েছেন অফিসে প্রুফ রিডার ও স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করার জন্যে। পারভেজ ভাইয়ের প্রস্তাবে আমি রাজি হয়ে যাই এবং অফিসে দায়িত্ব পালন করাবস্থায় ইসলামী কণ্ঠের বিভাগীয় সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। পরে চিকিৎসাঙ্গন পাতার বিভাগীয় সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। এমনকি শিশুকণ্ঠের বিভাগীয় সম্পাদকের দায়িত্বও দেয়া হয়।
২০১৩ সাল থেকে সার্কুলেশন ম্যানেজার ও স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। এ দায়িত্বের পাশাপাশি অনলাইন প্রমোটর হিসেবে কাজ করছি। ছোটবেলা থেকে একটু শখ ছিলো আমার নাম দিয়ে যে কোনো স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠানের সংবাদ ও ছবি প্রকাশ করার। সে স্বপ্ন এখন নেশা ও পেশায় পরিণত হয়েছে। সকল কিছুর একমাত্র অবদান সৎ সাহসী হাস্যোজ্জ্বল ও সাদা মনের মানুষ চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত মহোদয়ের। এ রকম কাজী শাহাদাত আর আমাদের মাঝে তৈরি হবে বলে মনে হয় না। যার তুলনাই হয় না। যিনি আমাকে আপনজনের মতো দেখেন। এমনকি তুচ্ছ করে ডাকেন না কোনো দিন। ‘জিয়া ভাই’ বলেও ডাকেন।
কাজী শাহাদাত মহোদয় সত্যি একজন সাংবাদিক তৈরি করার কারিগরই নন, তিনি মানুষ গড়ার কারিগরও। তাঁর হাত ধরে অনেক সাংবাদিক তৈরি হতে দেখেছি। অনেকে পত্রিকার সম্পাদক ও জাতীয় পত্রিকায় কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন।
তিনি বর্তমানে চাঁদপুরে বির্তাকিক সৃষ্টি করে যাচ্ছেন। এ বিতার্কিকরা জাতীয় পর্যায়েও অংশগ্রহণ করছেন। আল্লাহতায়ালা কাজী শাহাদাত মহোদয়কে সুস্থ রাখুন ও নেক হায়াত দান করুন-এ কামনা করছি। পাশাপাশি চাঁদপুর কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাতা, সম্পাদক ও প্রকাশক আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট ইকবাল-বিন-বাশারের নেক হায়াতসহ পত্রিকাটির অব্যাহত অগ্রযাত্রা ও উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
লেখক : সার্কুলেশন ম্যানেজার, দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ।