প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৪, ০০:০০
আমার দৃষ্টিতে চাঁদপুর কণ্ঠ
আমি একটি প্রশ্ন দিয়েই আমার লিখা শুরু করছি। ধরুন আপনি বাসে, রেলে কিংবা লঞ্চে ভ্রমণরত আছেন। পত্রিকার হকার এসে চিৎকার করছে, পেপার কিনবেন? পেপার আছে হরেক রকম। চাঁদপুর কণ্ঠ, কালের কণ্ঠ, ভোরের কাগজসহ আরো অনেক পত্রিকা। আপনি চাঁদপুরের সন্তান। সবক’টির মাঝ থেকে যেটি বেছে নিবেন সেটি কোন্টি? নিঃসন্দেহে হাত বাড়িয়ে যে পত্রিকাটি নিতে চাইবেন তা হলো চাঁদপুর কণ্ঠ। আমি হলে সেটিই করবো। কারণ আমি চাঁদপুরের সন্তান। চাঁদপুর কণ্ঠের সাথে মিশে আছে আমারও একটি কণ্ঠ।
চাঁদপুর কণ্ঠ চাঁদপুর জেলার এক প্রতিবিম্বের নাম। যাতে থাকে অত্র এলাকার সকল সংবাদ পরিবেশনা। আপন আলোয় আলোকিত এ চাঁদপুর কণ্ঠ অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে, সফলতা, ব্যর্থতা, বাধা বিঘ্নকে অতিক্রম করে যে ৩০ বছর পূর্ণ করছে তা অল্প কথায় বলে বা লিখে শেষ করা যাবে না। আমি আমার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেছি, চাঁদপুরের অনেক পত্রিকার ভিড়ে এ পত্রিকাটি সফল ও সার্থকতার আসনে আসীন।
দক্ষ কাণ্ডারী আর সে সাথে এক ঝাঁক দক্ষ, নিরলস, নির্ভীক কর্মী নিয়ে চাঁদপুর কণ্ঠের পদযাত্রা। প্রতিদিন সুষ্ঠু সংবাদ পরিবেশনায় তাদের প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। কাণ্ডারী দক্ষ না হলে হয়ত সাফল্যের তরী তীরে এসে পৌঁছতো না। তাই তো চাঁদপুর কণ্ঠের সাথে জড়িত সকল কর্মবীরকে জানাচ্ছি আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে অনেক সাধুবাদ, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
চাঁদপুর কণ্ঠের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় যে বিষয়টি বেশি আলোচিত ও আলোড়ন সৃষ্টি করেছে তা হলো সিকেডিএফ। এরই উদ্যোগে আয়োজিত চাঁদপুর কণ্ঠ-পাঞ্জেরী বিতর্ক প্রতিযোগিতা পত্রিকাটির ভাবমূর্তিকে করেছে গৌরবোজ্জ্বল। প্রতি বছর এ আয়োজন অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। এ বিতর্কে অশংগ্রহণকারীদের নেতৃত্বে প্রতি বিদ্যালয় থেকে একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক থাকেন। দীর্ঘ বারো বছর আমিও দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক হিসেবে আছি। এ দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ পরপর তিনবার আমাকে সম্মাননা ও সনদ প্রদান করা হয়। চাঁদপুর কণ্ঠের সাথে জড়িত থেকে আমি ধন্য।
সাফল্য-ব্যর্থতা, আনন্দ-বেদনার সঙ্গী হিসেবে আছে এ চাঁদপুর কণ্ঠ। ২০০৪ সালে জাতীয় শিক্ষা দিবস উপলক্ষে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আমার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা হওয়ার গৌরব অর্জনের সংবাদটি প্রথম এই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
যে কোনো সফলতার পেছনেই থাকে পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও সাধনা। যা আমি দেখেছি চাঁদপুর কণ্ঠের বেলায়। কারণ ৩০ বছরের সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছতে যতোটুকু দরকার ছিলো তার সবই চাঁদপুর কণ্ঠে বিদ্যমান। অবশেষে বলবো, চাঁদপুর কণ্ঠ আরো বেশি সফল ও সার্থকতার আলোকে আলোকিত ও উন্মোচিত হোক। আবারো সকল সুদক্ষ কাণ্ডারী ও তার সহযোদ্ধাদেরকে অনেক শুভেচ্ছা, শুভ কামনা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে লিখার যবনিকা টানলাম।
লেখক : সহকারী শিক্ষক, শাহরাস্তি সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, শাহরাস্তি; সিকেডিএফ সদস্য, শাহরাস্তি উপজেলা শাখা।