প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৪, ০০:০০
স্মৃতিকথা
আমি শ্যামল চন্দ্র দাস ১৯৯৪ সালে সাংবাদিকতা পেশায় যোগদান করি। জাতীয় পত্রিকা ‘দৈনিক খবর’-এর মতলব প্রতিনিধি হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করি। পাশাপাশি তৎকালীন সময়ে চাঁদপুর জেলা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক চাঁদপুর কণ্ঠ যখন দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ পত্রিকা হিসেবে ট্যাবলয়েড আকারে প্রকাশিত হওয়া শুরু হয়, তখন আমি পত্রিকার মতলব থেকে একজন প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করা শুরু করি। তখন কাজ করে অনেক আনন্দ পেতাম। যে সময়টুকু পত্রিকাটির সাথে জড়িত ছিলাম সেসময় পত্রিকার জন্যে অনেক কষ্ট করেছি। বিনিময়ে আমি অনেক সম্মান পেয়েছি। এই সুযোগটুকুই করে দিয়েছিলেন শ্রদ্ধেয় কাজী শাহাদাত ভাই। আমি এজন্যে শাহাদাত ভাইয়ের কাছে চির কৃতজ্ঞ।
জেলা শহর থেকে একটি দৈনিক পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছিল, আমরা প্রতিদিন বেবি ট্যাক্সিযোগে মতলব থেকে হাতে লেখা সংবাদ পাঠাতাম। রাত ৮টা-৯টায় সংবাদ পাঠিয়েই পত্রিকা অফিসে ল্যান্ডফোনে যোগাযোগ করতাম। পরদিন পত্রিকা পেয়ে নিজ হাতে বিলি করতাম। পাঠকদের হাতে পৌঁছে দিয়ে অনেক আনন্দ পেতাম। তখন দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের মতলব ব্যুরো ইনচার্জ ছিলেন শ্রদ্ধেয় বড় ভাই গোলাম সারওয়ার সেলিম। পত্রিকাটিতে তখন অনেকেই ব্যুরোর অধীনে সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করতেন।
দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক রোটাঃ কাজী শাহাদাত ভাই অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ। সংবাদ লেখনিতে বেশিরভাগ সময়ই পরামর্শ দিতেন, ভুলগুলো ধরিয়ে দিতেন। পত্রিকাটির ভালো দিক হচ্ছে, যে কোনো সংবাদই ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করা হয়। নিরবচ্ছিন্নভাবে পত্রিকাটি ৩০ বছর যাবৎ প্রকাশিত হয়ে জেলাবাসীর মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে। পত্রিকার প্রকাশক শ্রদ্ধেয় অ্যাডঃ ইকবাল-বিন-বাশার ও প্রধান সম্পাদক রোটাঃ কাজী শাহাদাতের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল হিসেবে আজ চাঁদপুর কণ্ঠ তিন দশক পার করছে। যা মফস্বলের যে কোনো পত্রিকার জন্যে গর্বের বিষয়। আমি পত্রিকাটিকে অনেক ভালোবাসতাম। নিজস্ব সংবাদদাতা হিসেবে অবৈতনিক কাজ করে গেছি। আমি এখনো নিয়মিত চাঁদপুর কণ্ঠ পড়ি। চাঁদপুর কণ্ঠ বেঁচে থাকুক অনন্তকাল--এই শুভ কামনা করছি।
লেখক : সম্পাদক, সাপ্তাহিক মতলবের জনপদ; সাবেক সাধারণ সম্পাদক, মতলব প্রেসক্লাব।