বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০

তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে

চাঁদপুরের নারী উদ্যোক্তা তানিয়া ইশতিয়াক খানের উদ্যোগ

দেশব্যাপী একটি নারীবান্ধব আলাদা অনলাইন বিপণন নেটওয়ার্ক গড়ে তুলবে

চাঁদপুরের নারী উদ্যোক্তা তানিয়া ইশতিয়াক খানের উদ্যোগ
মিজানুর রহমান রানা ॥

বর্তমান যুগ অনলাইনের। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরে কিছু উদ্যোগী তরুণ-তরুণী অনলাইনে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করছেন তাদের নিজস্ব মেধা-মনন খাটিয়ে। এই মেধা মূলত অনলাইন মার্কেটপ্লেস ই-কমার্সকে কেন্দ্র করে। করোনার শুরুতে অনেক বেকার তরুণ-তরুণীই অযথা বসে না থেকে অনলাইন প্লাটফর্মে নিজেদের তৈরি পণ্য বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন, সেই সাথে পড়াশোনাও চালিয়ে গেছেন, বাবা-মা, ভাইবোন, আত্মীয়-স্বজনকেও করেছেন সহযোগিতা আর নিজেও হয়েছেন স্বাবলম্বী। পড়াশোনা শেষে চাকুরির আশায় বসে না থেকে ই-কমার্স বাণিজ্য করে অনেকেই হয়েছেন অর্থশালী। অনেকেই আবার চাকুরি ছেড়ে ই-কমার্স ব্যবসায় নিজকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন।

কথায় আছে, ‘বেকার মস্তিষ্ক শয়তানের আড্ডা’। কিন্তু বাংলাদেশের কিছু মেধাবী তরুণ-তরুণী এই আপ্তবাক্যকে ভুল প্রমাণিত করেছেন। আর চাঁদপুরে তানিয়া ইশতিয়াক খান তার অন্যতম উদাহরণ। তিনি মূলত ব্যাংকের চাকুরি ছেড়ে দিয়েই এ প্লাটফর্মে এসে নিজের একটা জাদুকরি অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন। যা অনেক তরুণ-তরুণীকে বিস্মিত করে।

নারীরা দেশের সম্পদ, এটি সর্বজন স্বীকৃত। কিন্তু বেশির ভাগ শিক্ষিত নারী যখন চাকরির নামে সোনার হরিণের পেছনে ছুটতে গিয়ে একটা সময় নিজেকে বেকার তালিকায় নাম লেখায়, তখন তারা সম্পদে রূপান্তর না হয়ে দেশের ও সংসারে বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। এই সঙ্কটময় সময় অকুতোভয় এক নারী চাকরির পেছনে না ছুটে চাকরি দেয়ার পণ করে বসেন। তিনি অনায়াসেই ভালো একটা চাকুরি ছেড়ে দিয়ে এমন একটা পথ বেছে নিয়েছেন, যা সত্যিই অনেক বন্ধুর। তবে চেষ্টা-সাধনায় পেয়েছেন অমূল্য রতন।

নিজকে এবং সমাজের অবহেলিত নারীদেরকে ‘তিল থেকে তাল’ করার সুন্দর মানসে, উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে নারীদের অনেক হিতাকাঙ্ক্ষী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠন ‘বিজয়ী নারী উন্নয়ন সংস্থা’র প্রতিষ্ঠাতা তানিয়া ইশতিয়াক খান।

২০২০ সালে যাত্রা শুরু করা এ সংগঠনের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। এটি সমাজের পিছিয়ে পড়া ও হতোদ্যম নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে উদ্যোগী ও উদ্যমী ভূমিকা পালন করছে।

নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও উদ্যোক্তাদের সার্বিক সহায়তা, আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী, নিজ পরিচয়ে পরিচিত হওয়া ও নারী ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজারে অবস্থিত ‘খান’স ধাবা’য় ২০২০ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বিজয়ীর স্বপ্নদ্রষ্টা আশিক খানের সার্বিক সহযোগিতায় চাঁদপুরের নারীদেরকে নিয়ে একটি নারী উদ্যোক্তা সংগঠন বিজয়ী প্রতিষ্ঠা হয়। দীর্ঘ দুই বছর ফ্রি প্রশিক্ষণসহ নানা সামাজিক কার্যক্রম করে ২০২২ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ মহিলা অধিদফতর থেকে ‘বিজয়ী’ নারী উন্নয়ন সংস্থা নামে (রেজিস্ট্রেশন নং-জেমবিককা/চাঁদ/ ১৫৩) নিবন্ধন হয় এবং ২০২৩ সালে চাঁদপুর জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর উপ-পরিচালকের কার্যালয় থেকে যুউঅ/চাঁদ/২০২৩-০৩ নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করে।

‘আমরা নহে দেবী, নহে সামান্য নারী। আমরা নারী, আমরাই পারি, আমরাই বিজয়ী, বিজয়ী’ (নারী উন্নয়ন সংস্থা) এই শ্লোগানে নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে ধারণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ‘বিজয়ী তৈরিতে বিজয়ী’ নারীদের বিনামূল্যে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন হাতের কাজের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের তৈরি পণ্য প্রদর্শন ও বিপণনের সুযোগ করে দেওয়ার মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল ও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার পাশাপাশি সুবিধা বঞ্চিত শিশু ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সার্বিক সহযোগিতা করছে সংগঠনটি। তাছাড়া আধুনিক তথ্য-প্রযুুক্তির মাধ্যমে কীভাবে ওই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীরা ই-কমার্স পণ্য তৈরি ও বিক্রয় করে লাভবান হবে তারও দিকনির্দেশনা দিয়ে যায় ‘বিজয়ী’।

প্রতিষ্ঠার পর বিজয়ী থেকে প্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য প্রশিক্ষণগুলো হলো : উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় ও ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা কৌশল, বেসিক স্কিন কেয়ার এবং হেলদি লাইফ স্টাইল, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যম ব্যবহার করে অনলাইন নেটওয়ার্ক মাকেটিং, বেসিক কেক বেকিং, হ্যান্ড মেইড হেড পিস, হ্যান্ড পেইন্ট কাঠের জুয়েলারী, হ্যান্ড মেইড জুয়েলারী, বেসিক বাটিক তৈরি, বেসিক ব্লক তৈরি, বেসিক ব্রাইডাল মেক-ওভার ও স্কিন কেয়ার, হ্যান্ড মেইড মেটাল জুয়েলারী, পিৎজা তৈরি, বেসিক কেক বেকিং, ফাস্টফুড, বিডীদ ক্রাফ্ট, ফ্লোরাল জুয়েলারী, বিডীদ হ্যান্ডি ক্রাফ্ট, হ্যান্ড মেইড হিজাব ব্রোজ, পেশাজীবী নারীদের সুস্বাস্থ্য ও পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা, হ্যান্ড মেইড জুয়েলারী, বেসিক ব্লক, বেসিক বাটিক, বেসিক পিৎজা, ফ্লোরাল জুয়েলারী, হ্যান্ড মেইড এন্ড পেইন্ট কাঠের গহনা, বিডিট ক্রাফট, অ্যালিগেন্ট পার্টি মেকওভার, কেক বেকিং, বেসিক ব্লক প্রশিক্ষণ, নতুন উদ্যোক্তা তৈরি ও অনলাইনে ব্যবসা সম্প্রসারণের কৌশল, পোশাক তৈরি প্রশিক্ষণ, শিল্প উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, আলুর বহুমুখী ব্যবহার কুকিং, বেসিক হেড পিস তৈরি, বেসিক এন্টিক জুয়েলারী তৈরি, বেসিক ব্লক প্রশিক্ষণ, বেসিক ব্লক তৈরি, বেসিক জুয়েলারী ও চুড়ি তৈরি।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা তানিয়া ইশতিয়াক খান বলেন, নারী-পুরুষে ভেদাভেদ দূর করে দেশের বেকার নারীদেরকে তথ্যপ্রযুক্তিতে আরো এক ধাপ এগিয়ে নেয়া এবং ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে নারীর ক্ষমতায়ন জরুরি। কারণ আধুনিক নারীরা যদি তথ্য-প্রযুক্তিতে এগিয়ে না থাকে তাহলে তাহলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। আমরা নারীদেরকে স্বাবলম্বী করার জন্যে নানা প্রশিক্ষণের পাশাপাশি অনলাইন মার্কেটিং বা ই-কমার্স সম্পর্কে ধারণা ও প্রশিক্ষণ দেই, যাতে তারা কাজ শিখে তা সহজেই অফলাইন ও অনলাইনে মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে তাদের সেবা দান করে আয় করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, নারীকে উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে দেশে নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীদের সহায়তার বিকল্প নেই। তারই ধারাবাহিকতায় বিজয়ী চাঁদপুরের নারীদের নিয়ে কাজ করা প্রথম ফ্রি প্রশিক্ষণ বেইজ্ড নারী সংগঠন। চাঁদপুরসহ সারাদেশে নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি, সুষ্ঠুভাবে তাদের ব্যবসা পরিচালনা, সম্প্রসারণে সার্বিক সহায়তা প্রদান, দেশের অর্থনীতিতে নারীদের অবদান রাখাসহ নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, করোনার সময় থেকে বিজয়ীর উদ্যোগে প্রথম অনলাইন বেইজ্ড ট্রেনিং শুরু হয় এবং করোনার প্রকোপ কমে আসায় জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হওয়ায় এখন বিজয়ী অফলাইনে হাতে কলমে কাজ শিখানো আরম্ভ করে। এই ট্রেনিংগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে আজ অনেক নারীই নতুন উদ্যোক্তা হয়েছেন।

তিনি বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের প্রধান সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে বিজয়ী। নারী উদ্যোক্তাদের অবশ্যই ব্যবসা শুরু থেকে সফলভাবে পরিচালনার জন্যে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। ২০২০ সাল থেকে নারীদের স্বাবলম্বী করতে বিজয়ী প্রতিনিয়তই নানা রকম ফ্রি প্রশিক্ষণ প্রদান করে যাচ্ছে। অর্থের অভাব দূরীকরণ, ব্যবসা পরিচালনা করতে অর্থের অভাব দূর করার লক্ষ্য বিজয়ীর সহযোগিতায় নারীদের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিনা জামানতে স্বল্প ইন্টারেস্টে লোনের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। বিজয়ী থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উদ্যোক্তাদের ‘বিজয়ী অ্যাওয়ার্ড’-এর মাধ্যমে সনদপত্র ও সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নতুন উদ্যোক্তাদের স্বাবলম্বী করতে বিজয়ীর প্রেসিডেন্ট খালেদা ইয়াসমিন রুবি নিজ খরচে সেলাই মেশিন প্রদান করেন। এছাড়া শুধু অনলাইন নয় অফলাইনেও পণ্য বিক্রয়ের জন্য মেলার আয়োজন করে সেখানে উদ্যোক্তাদের ফ্রি স্টল প্রদান করে অফলাইনে পণ্য ডিসপ্লে ও সেলস্-এর ব্যবস্থা করে দিচ্ছে বিজয়ী।

উল্লেখ্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এবং অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতার মাধ্যমে নারীর সামগ্রিক ক্ষমতায়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে লিঙ্গ সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের জন্যে বাংলাদেশের সমাজ বাতাবরণের উপযোগী একটি অনন্য উদ্যোগ বিজয়ীর। চাঁদপুর জেলার প্রতিটি উপজেলায় পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সম্প্রসারিত করে সমগ্র দেশব্যাপী একটি নারীবান্ধব আলাদা অনলাইন বিপণন নেটওয়ার্ক গড়ে তুলবে। উন্নত বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে একজন নারী শুধু গৃহিণী নয়, বরং নিজের সাহসী চেষ্টায় একজন সফল উদ্যোক্তা হয়ে অন্যের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, সেই অদম্য লক্ষ্যেই কাজ করছে বিজয়ী।

‘দেশব্যাপী একটি নারীবান্ধব আলাদা অনলাইন বিপণন নেটওয়ার্ক গড়ে তুলবেন কীভাবে’ এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি তথ্য-প্রযুক্তি কণ্ঠকে জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে ইন্টারনেট ও অনলাইন এর প্রসারে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। ইন্টারনেট ও অনলাইনের মাধ্যমে নারীরা ঘরে বসে তাদের তৈরিকৃত পণ্য বিক্রয়ের সুযোগ করে দেওয়ার লক্ষ্যে ‘বিজয়ী নারী উদ্যোক্তা তৈরির প্রতিষ্ঠান’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ খুলেছি। সেখানে প্রায় ১১,৫০০ সদস্য আছে। যেখানে উদ্যোক্তাগণ ঘরে বসে নিজে পণ্য সম্পর্কে নানা রকম তথ্য সম্বলিত পোস্ট দিয়ে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে পারছে এবং পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে ডেলিভারির জন্যে বিভিন্ন অনলাইনভিত্তিক কুরিয়ার সার্ভিস হোম ডেলিভারি দিয়ে ব্যবসায়িক কৌশলটি অধিকতর সহজ করে দিয়েছে।

অনলাইনের পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তাদের অফলাইনে পণ্য বিক্রি করতে ‘বিজয়ী মেলা’ নামে নারী উদ্যোক্তা মেলার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। বিজয়ী মেলায় নারী উদ্যোক্তাদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্টল দেয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে বিজয়ী। তাছাড়াও নারী উদ্যোক্তাদের তাদের পণ্য সম্পর্কে বিশ্বে অবগত করতে গ্রীন বাংলা নিউজের মাধ্যমে ‘বিজয়ী উদ্যোক্তা গল্পকথন’ নামে উদ্যোক্তাদের সাক্ষাৎকার নেয়া হচ্ছে। উদ্যোক্তাদের পণ্য নিয়ে লাইভের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নারী উদ্যোক্তাদের নানা রকম প্রশিক্ষণ প্রদান করার মাধ্যমে দেশব্যাপী নারীবান্ধব বিপণন নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে কাজ করছি।

এ ব্যাপারে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাঁদপুরসহ সারাদেশের নারীদের আত্মপরিচয়ে পরিচিত করতে এবং তথ্যপ্রযুক্তিবহুল স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ‘বিজয়ী তৈরিতে বিজয়ী’ এই শ্লোগানে নারীদের বিনামূল্যে প্র্যাকটিক্যাল সব ধরনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এবং বিভিন্ন প্রকার হাতের কাজের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের তৈরি পণ্য প্রদর্শন ও বিপণনের সুযোগ করে দেওয়ার মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল ও আর্থিক স্বাবলম্বী করাই আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। তাছাড়া তথ্যপ্রযুক্তির কলাণে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এবং অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীর মাধ্যমে নারীর সামগ্রিক ক্ষমতায়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে লিঙ্গ সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের জন্যে একটি অনন্য উদ্যোগ বিজয়ীর। সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও অসহায় মানুষের সার্বিক সহযোগিতা করাও আমাদের লক্ষ্য।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়