শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

চাঁদপুরে জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে মাসব্যাপী ফুটবল প্রশিক্ষণ

অনূর্ধ্ব-১৫ বালক ও বালিকাদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ

চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম ॥
চাঁদপুরে জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে মাসব্যাপী ফুটবল প্রশিক্ষণ

ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০২৩-২০২৪-এর আওতায় ও জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে মাসব্যাপী অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। চাঁদপুর স্টেডিয়ামের হলরুমে ২৭ জানুয়ারি বিকেলে আয়োজন করা হয় এ অনুষ্ঠান। এতে চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলার ২০ জন বালক ও ১৮ জন বালিকা প্রশিক্ষণ গ্রহণশেষে সনদপত্র গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোস্তাফিজুর রহমান।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, তরুণ প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। মোবাইলের আসক্তি থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। খেলাধুলায় আগ্রহ সৃষ্টি করতে প্রশিক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তিনি বলেন, আজ এখানে এসে দেখলাম ৬ বছরের নিচের শিশু রয়েছে। বারবার আমার ছেলের কথা মনে পড়ে যায় অনুষ্ঠানে এসে বাচ্চাটিকে দেখে। আশা করি, মাসব্যাপী ফুটবল প্রশিক্ষণে ছোটরা ভালো শিখেছে।

তিনি বলেন, খেলাধুলার মাধ্যমেই দরিদ্র দেশ ধনী দেশকে হারিয়ে দিতে পারে। আফ্রিকার অনেক দরিদ্র দেশ রয়েছে, তারা ম্যারাথনে খুব ভালো করছে। ফুটবলে আমাদের ঐতিহ্য ও জৌলুস রয়েছে। ক্রিকেটের কারণে হয়তো ফুটবলের প্রচার কমে গেছে। ফুটবলে চাঁদপুরের ঐতিহ্য ছিলো। এ ধরনের প্রশিক্ষণ হলে জেলার ফুটবলাররা আরো ভালো করবে। জেলা প্রশাসকের সাথে প্রশিক্ষণের ব্যাপারে আলাপ করবো, যাতে ভবিষ্যতে জেলা ক্রীড়া অফিস ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।

সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা ক্রীড়া অফিসার মোঃ তারিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। সে মতে সকল খেলোয়াড়কে স্মার্ট খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তুলতে জেলা ক্রীড়া অফিস কাজ করছে। মাদক, কিশোর গ্যাং, জঙ্গিবাদ, ইভটিজিং থেকে তরুণ প্রজন্মকে দূরে রাখতে খেলাধুলার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সকল খেলোয়াড়ের সুস্থতা ও মঙ্গল কামনা করেন এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প আয়োজনের প্র্যতাশা ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু, সাবেক ফুটবলার ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য মনোয়ার হোসেন চৌধুরী। মাসব্যাপী এ ফুটবল প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন বাফুফের লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোচ মোঃ জাহাঙ্গীর গাজী, আনোয়ার হোসেন মানিক ও আমিন মোল্লা। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিবৃন্দ সকল খেলোয়াড়ের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।

এ প্রশিক্ষণে প্রথমে জেলার ৮ উপজেলা থেকে ৫০ জন বালক ও ৪০ জন বালিকা অংশগ্রহণ করে। প্রাথমিক বাছাইয়ে ২০ জন বালক ও ১৮ জন বালিকা খেলোয়াড় বাছাই করা হয়। প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া অনূর্ধ্ব-১৫ প্রমীলা ফুটবলাররা হলো : গোলকিপার আফরোজা, বন্যা ও সাদিয়া আক্তার মীম। স্টপার (রক্ষণভাগ) : জাকিয়া, লামিয়া, পিংকি (১), স্বস্তিকা, পিংকি (২), অপরূপা, নূপুর ও ফাতেমা। মধ্যমাঠ ও স্ট্রাইকার : নুহামিম, রোজিনা, মাশরুম, সাবিয়া, আনহা, সুমি ও তানহা।

প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া অনূর্ধ্ব-১৫ বালক দলের ফুটবলাররা হলো : সাজিদ মাহমুদ, তানজীল, শাকিল বেপারী, রাকিব, সাইফ, মাসুম, শ্রাবণ, সোলায়মান, রোকন, হোসাইন, আশিকুর রহমান, শাহেদ, আয়াত, গালিব মাহমুদ, মোঃ রাকিব, মাহিদ, ইশান, নাজিমুল ইসলাম, জয়, রাতুল, নাজিম, জিহাদ, তানভীর ও মিরাজ।

প্রমীলা দলের ফুটবল কোচ ও সাবেক ফুটবলার জাহাঙ্গীর গাজী বলেন, এ ধরনের প্রশিক্ষণ সবসময়ই ফুটবলারদের জন্যে প্রয়োজন। দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ হলে খেলোয়াড়রা আরো ভালো কিছু শিখতে পারতো। আমরা চেষ্টা করি সবসময়ই খেলোয়াড়দের অনুশীলনে রাখার জন্যে। ইতিমধ্যে আমাদের তত্ত্বাবধানে অনেক প্রমীলা ফুটবলার দেশের বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। দীর্ঘমেয়াদী কিংবা ফুটবলের যে কোনো বিষয়ে আমাদেরকে যখনই ডাক দেয়া হবে, আমরা প্রস্তুত আছি সেবা দেয়ার জন্যে।

সাবেক গোলকিপার ও ফুটবল কোচ আমিন মোল্লা বলেন, আমি নিয়মিতই মাঠে ছিলাম। প্রশিক্ষণে খেলোয়াড়দের খেলার প্রতি অনেক আগ্রহ ছিলো। মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষ হলেও আমরা খেলোয়াড়দেরকে অনুশীলন করানোর জন্যে প্রস্তুত রয়েছি। এছাড়া সোনালী অতীত ফুটবল একাডেমীর মাধ্যমে আমরা খেলোয়াড়দের অনুশীলন করিয়ে থাকি।

ফুটবলার শ্রাবণ বলেন, অনেকদিন পর জেলা পর্যায়ে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হলো। আমরা স্টেডিয়ামে ফুটবল অনুশীলন করি। আমাদেরসহ যারা ফুটবলের সাথে জড়িত রয়েছে, তাদেরকে নিয়ে যদি জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে আবাসিক বা অনাবাসিক ফুটবলের ক্যাম্প করা হয়, তাহলে অনেক ফুটবলার সৃষ্টি হবে। ইতিমধ্যে নিয়মিত অনুশীলন করায় আমি বিভাগীয় পর্যায়ের বয়সভিত্তিক দলে খেলার সুযোগ পেয়েছি। আমিসহ প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া সকলেই নিয়মিত ফুটবল অনুশীলন করতে চাই।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়