প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৪, ০০:০০
আকিব শিকদারের কবিতা

নিরুদ্দেশে
আমার একটা হৃদয় আছে এবং তার মধ্যে ভালবাসা
উছলে ওঠে যেন চিতল মাছ
আমার একটা মনের মানুষ খুব যতনে লুকিয়ে রাখা
রৌদ্রারালে চাঁদ জোছনার নাচ।
বলতে পারো কে সে?
কাঁচের চুড়ি ভাঙার সুরে উঠলে কেন হেসে!
আমার একটা লক্ষ্মীসোনা- বেশ মনোরম
শরষে ফুলের রং মাখা তার চোখে
আমার একটা পোষা ময়না- নাম মনে নেই
রাতদুপুরে নাক ঘষি যার বুকে
বলতে পারো কে সে?
এমন করে লজ্জা দিলে খকর খকর কেঁশে!
আমার একটা প্রেম, সোনার সুতোয় সেলাই করা
নদীর জলে শেষ বিকেলের আলো
আমার একটা প্রিয়, প্রজাপতির পাখায় গড়া
ছিটের শাড়ি পরলে মানায় ভালো
বলতে পারো কে সে?
সত্য বলছি- তার হাতটি ধরেই এলাম নিরুদ্দেশে।
*
বাবার প্রতি
গরিব ঘরের মেয়ে, সুদর্শন ছিলো, ছিলো কেমন একটা
অন্যরকম আকর্ষণ। শিক্ষা-দীক্ষায় উঁচু ছিলো না তেমন।
মন দিয়েছি তাকে নিবার্চিত করে। বংশ কেমন
জানতে ইচ্ছে হয়নি।
বললে তুমি বাবা- ‘কাণ্ড দেখে হাসি,
জাতের হদিস নাই, নুন আনতে
পান্তা ফুরায়। মন দিয়েছিস তাকে, আমার ছেলে হয়ে।
নর্দমার জল পান করে কে বল...!’ পদবী রক্ষা করতে গিয়ে
ভুলতে হলো তাকে।
এবার পেলে জাত, অনেক উঁচু বংশ।
নাম-সুনামের তলানী পাওয়া ভাড়। চেঁচানোমাত্র
চাকর হাজির। ছেলেকে করালে শাদি।
পুত্রবধূ পেয়েছো বটে, পিতৃশ্রদ্ধা পাওনি।
দিতে পিতার সম্মান
নারাজ তোমার বউমা। কেনই-বা তা দেবে...! তুমি কি তার যোগ্য...!
আর ছেলেকে দিলে বিকিয়ে বউয়ের কাছে। শ্বশুর-বাড়ির কৃতদাস
মাথা নিচু, হাত কচলে হাঁটে- গলা উঁচিয়ে বলতে কথা
সাহস খুঁজে পায় না।