প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
সাহিত্যের অনিন্দ্য সুন্দর রূপ হচ্ছে কবিতা। একজন কবির ভাবনা থেকেই কবিতার জন্ম। সাধনার সাথে সাথে কবিতার ভাব ঐশ্বরিক। যা একান্ত কবি মাত্রই অনুধাবন করেন। কবিতা মাঝে মাঝে উঁকি দেয়। আবার অভিমান করে দূরেও সরে থাকে। আঁকড়ে থাকি প্রতিনিয়ত। অভিমান ভুলিয়ে যখন কবিতা আসে কলমের ডগায়, প্রকাশিত হয় পত্র-পত্রিকায় আনন্দে উদ্বেলিত হয় কবির মনোজগত। সন্তান জন্মিলে চারপাশ যেমন জানতে পারে শিশুর হাসি-কান্নায়। পরিবারে বয়ে আনে আনন্দ। একটি কবিতা প্রকাশিত হলে হাসি-কান্নায় জানান হয়ে যায় সাহিত্যমহলে। যাপন করি কবিতার অন্বেষণে। সাহিত্যের উষ্ণতম ফুলসজ্জায় মজে বেড়াই। এই সুখানুভূতি পেতেই লেখালেখি করি। কবিতার পিছু পিছু লেগে থাকি।
মুক্তি
একটি কবিতার জন্য স্লোগান দিয়েছিলাম
একটি নদীর জলতরঙ্গে ভেসেছিলাম
পিচঢালা গালিচার বুকে অপেক্ষায় ছিলাম
কলমের কালো রং ঝরে গেলো
লেখা হলো না কবিতা
ছুটে গেলাম অরণ্যে
শুকনো মর মর পাতা মাড়িয়ে
প্রেয়সী হাসছে
শূন্যে ছুঁড়ে দিলো কাজল কালো চোখ
হণ্য হয়ে ছুটছি আমি সঙ্গপানে
আমি আজ মুক্ত
কবিতার জন্যে।
টালিখাতা
খুন একটি মামুলি যজ্ঞ
খুনি এবং খুনের মহড়ার চিত্র প্রদর্শন
বাহুবলের প্রশংসায় দর্শকের করতালি
চায়ের দোকানে ময়নাতদন্ত প্রকাশ
মৃত্যু না পঙ্গুত্ব
মৃত্যু হলে লাভ লোকসানের টালিখাতা
খুনিদের উল্লাস
রক্ততৃষ্ণায় পাষানী মন।
জীবন কবিতার পাণ্ডুলিপি
বৃক্ষের মগঢালে
খরকুটো দিয়ে বাঁধিয়াছি ঘর
নেই পাখির কিচিরমিচির শব্দ
আছে একাকিত্ব
নেই দ্বায়বদ্ধতা
একাধিক পাখির বাঁধনে থাকলে
জড়িয়ে যেতাম আহারে বিহারে আনন্দ বেদনায়
সময়ের দ্বায় থেকে দ্বায়মুক্ত
অতঃপর মুক্তবিহঙ্গে পথচলা
জীবন এখন কবিতার পাণ্ডুলিপিতে ভরপুর।
টিকটিকি
আজকাল ভালোর জন্যে
ভালো কিছু করা যায় না
এই আবার কেমন বচন!
ধর্মগুরু শিক্ষাগুরু মান্যবর জনপ্রিয় নেতা
মুখোশের আড়ালে আবডালে নীতিবাক্যের শ্রুতি
রন্ধ্রে রন্ধ্রে মহামারি
যোজন বিয়েজনে
ভালোর ‘টিকটিকি’ দেখা মেলাভার।