প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৩, ০০:০০
নিখিলেশ, ঈদে বাড়ি যাচ্ছি
যদি তুই থাকতি
খুউব ভালো হতো।
আমাদের গ্রামটা আর আগের মতো নেই
খেলার মাঠে ইয়া বড় বিল্ডিং
কওমি মাদ্রাসা।
কাঁচা রাস্তায় ইট-সুরকি-পাথর
বিলে শাপলা নেই
নদীর বুকজুড়ে ধুধু বালুচর।
কখন যে বর্ষা যায় বুঝতেই পারি না
শীতেও কুয়াশা পড়ে না
শরতে চোখে পড়ে না কাশফুল।
মা চিতই, ভাপা বানালে তোরা আসতি
রাজেশ ঊর্মিলা নিশাদি
তোদের জন্যে লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদি।
কলকাতা শহর নাকি অনেক সুন্দর
তোরা কি শহরেই থাকিস
নাকি দূরের কোনো গ্রামে?
অর্পণার কোথায় বিয়ে হয়েছে রে
জামাই বাবু কি আমার চেয়ে সুন্দর
ঝাঁকড়া চুলের বাবরি অলা?
তোদের দত্তপাড়ায় মন্দির ঘরটা ছিলো না
ওখানে এখন নজরকাড়া মসজিদ
উফ্, কতদিন হয় উলুধ্বনি শুনি না!
কী রে নিখিলেশ, তোদের ওখানেও কি ঈদ হয়
গরুর রক্তে লাল হয় নদী
সময়ে সময়ে মসজিদে আজান হয়?
পূজোর মৌসুমে মধুপুর বাজার থেকে ভেসে আসে
ঢোল-তবলা আর কাসরের ধ্বনি
কিন্তু কেউ আগের মতো ছিটায় না প্রসাদ
নারিকেলের নাড়ু-বাতাসা আর কদমা।
আমি তোদের খুউব মিস করি
তোদের জন্যে লুকিয়ে লুকিয়ে কান্না করি।