প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
পাঠক ফোরামে প্রকাশিত আমার প্রথম কবিতা ছিল ‘মূর্খ’। কবিতাটা যে প্রকাশিত হবে অথবা আমার জড়ো করা কিছু শব্দগুচ্ছ যে কবিতা নামের পদবি পাবে সেটা ছিল আমার ধারণার বাহিরে।
কবিতাটা প্রথম পাঠ করে শোনানোর কর, আমার প্রথম শ্রোতা অভিযোগ আনেন, কবিতাটি আমার লেখা নয়, এটি আমি কোনো এক জায়গা থেকে চুরি করে লিখেছি। কবি সম্বোধন শোনা অথবা কবি হিসেবে বড়োত্ব জাহির করার ইচ্ছে আমার ভেতরে কখনোই ছিল না ফলে 'কবিতাটা তুই চুরি করে লিখেছিস' কথাটা শুনেও নিজের কাছে তেমন খারাপ লাগেনি।
করোনার লকডাউনের সময় ফরিদ কাক (মুহাম্মদ ফরিদ হাসান) গ্রামে চলে আসেন। বদ্ধঘরে বসে থাকতে ভালো লাগে না বলে সময় কাটানোর জন্য তাদের ঘরে চলে যেতাম। তার সাথে সেখানে গল্প হতো, গল্পের মাঝে তার তার আম্মু চা দিয়ে যেতেন। গল্পের মাঝে হঠাৎ একদিন কবিতা নিয়ে কথা উঠলে তাকে আমার লেখা কবিতা সম্পর্কে জানাই। তিনি আমার কবিতাটি দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করে।
কবিতাটা আমার ঘরে একটা খাতায় লেখা ছিল। আমি কবিতা লেখা খাতাটি আনতে উদ্বুদ্ধ হলে তিনি বাঁধা দিয়ে বলেন ‘খাতা আনতে হবে না, তুই মেসেঞ্জারে টাইপ করে পাঠিয়ে দিস তাহলেই হবে।’
উনার কথামতো কবিতাটা সেদিন পাঠিয়ে দিই। কিন্তু পাঠানোর পর সেটা যে প্রকাশ হয়ে যাবে তা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি।
আমাকে অবাক করে দিয়ে ফরিদ কাকা কবিতাটি চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশ করার ব্যবস্থা করেন। তারপর থেকে একে একে গল্প, কবিতা প্রবন্ধ লিখে লিখে নিজের লেখার হাত একটু একটু করে উন্নত করার প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাই। আমার লেখা কতটা মানসম্মত হয় বা হচ্ছে তা আমার জানা নেই। তবুও আমি সর্বদা পাঠকের জন্য আমার সেরা লেখাটা উপাহার দেওয়ার চেষ্টা করি।
লেখালেখি থেকে যতটুকু ধারণা পেয়েছি তা হচ্ছে এ-ই যে, চাঁদপুর কণ্ঠের পাঠক ফোরাম বিভাগ কেবলই একটি বিভাগ নয়, বরং এটা হলো নবীন লেখকদের আঁতুড়ঘর।