প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
ঋতুবৈচিত্রের বাংলাদেশে ছয় ঋতুর পালা বদলে পৌষ-মাঘ দুই মাস মিলে আসে শীত ঋতু। উত্তরের কনকনে ঠা-া বাতাস আর কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে আসে শীত। অন্যান্য ঋতুর মতোই শীতের ঋতুতেও আসে নানা রকম মনোমুগ্ধকর রূপ বৈচিত্র্য। শীত ঋতুর অপরূপ সৌন্দর্যের ঘেরা গ্রামবাংলার দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ, ঘাট, নদী, পাহাড় আর শিশিরভেজা মেঠোপথ। শিশিরবিন্দু, কুয়াশাকন্যা, এক ফালি সোনা রোদের ঝিলিক, ফোঁটায় ফোঁটায় ঝরা খেজুর রস, পিঠেপুলির উৎসব, পসরা ভরা সবজি, হলদে সরিষা খেতে মৌমাছির গুনগুনানি, আর পরিযায়ী পাখিদের মিলনমেলা নিয়ে শীত আসে গ্রামবাংলার প্রতিটি পরতে পরতে অপরূপ সৌন্দর্যের নিসর্গ শোভা নিয়ে।
দুর্বাঘাসের উপর মুক্ত দানার মতো শিশির বিন্দুর সমারোহ নিয়ে শুরু হয় শীতের সকাল। মাকড়সার জাল জড়িয়ে থাকে শিশির বিন্দুর আলিঙ্গনে। সিগ্ধ ভোরে শিশিরভেজা ঘাসের উপর হেঁটে যাওয়ার প্রয়াস অফুরন্ত মায়ায় জড়ানো। চারপাশ ধূসর রঙের কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে। নদী, পুকুর, জলাশয় ঢেকে থাকে কুয়াশাকন্যার আবরণে। কখনো কখনো কুয়াশার জন্যে অদূরের পথঘাট দেখা যায় না। আবার কখনো কখনো কুয়াশার পর্দা সরিয়ে সূর্যের আলো দেখতে দুপুর গড়িয়ে যায়। সূর্যের সোনা রোদের আলো পড়ার সাথে সাথে ঘাসের উপর জমানো শিশির বিন্দু মুক্তোর মতো ঝলমল করে ওঠে। প্রচ- ঠা-া উপেক্ষা করে ভোরেই গ্রামের কৃষকেরা মাঠের কাজে ছুটে চলে। গৃহিণীরা শুরু করে ঘরকন্নার কাজ। বৃদ্ধরা রোদ উঠা পর্যন্ত খড় ও শুকনো পাতা পুড়িয়ে আগুন পোহায়।
মেঠো পথের দু পাশের খেজুর গাছে ঝুলানো থাকে মাটির রসের হাঁড়ি। সারারাত ফোঁটায় ফোঁটায় রস ঝরে পূর্ণ হয় হাঁড়ি। প্রকৃতির আপরূপ সৃষ্টি জাদুকরী সেই রূপ দেখে দু চোখ ভরে উঠে মুগ্ধতায়। ভোর হতেই খেজুর গাছের নিচে ছোট হাঁড়ি কলসি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে বাচ্চারা। গাছিরা গাছ থেকে নামিয়ে আনে রসের হাঁড়ি। রসের ভাগ একদিন গাছ মালিকের অন্যদিন গাছির। এভাবেই চলতে থাকে ঋতুজুড়ে। সকাল সকাল আতপ চাল দিয়ে রান্না করা খেজুর রসের পায়েস খেতে ভারি মজা লাগে। রোদে বসে সকলে মিলে রসের পায়েস খাওয়ার লোভনীয় দৃশ্য গ্রামবাংলার মানুষের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।
প্রতিটি ঘরে ঘরে পিঠেপুলি তৈরির ধুম পড়ে যায়। সারাদিন ধরে মা, কাকিমারা মিলে ঢেঁকিতে চাল গুঁড়ো করে রোদে শুকায়। কেউ নারিকেল কোরায়, কেউ কুচি করে কেটে সারারাত জেগে চালের গুঁড়ো, কোড়া নারকেল ও গুড় মিশিয়ে নারকেলের মালায় ভরে, মাটির উনুনে তৈরি করে ভাপা পিঠা। উনুনের পাশে বসে ধোঁয়াওঠা গরম গরম ভাপা পিঠার স্বাদ তুলনাহীন। কোরা নারকেল ও আখের গুড় জ্বাল করে হাতের তালুতে গোল গোল করে সকলে মিলে তৈরি করে নারকেলের নাড়–। একইভাবে সকলে মিলে হাতে হাতে তৈরি করে মুড়ির মোয়া। আরও তৈরি হয় পুলি, চিতই আর মজাদার পাটিসাপটা পিঠা। শুধু নিজেদের খাবার জন্যই নয়, আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠানো হয় এইসব পিঠা। শীত মৌসুমে বাবার বাড়ি থেকে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে পিঠেপুলি পাঠানোর ঐতিহ্য বহু পুরনো দিনের। টিন ভরতি মুড়ি, মোয়া, পিঠে নিয়ে বাবা অথবা ভাই চলে যায় মেয়ে বা বোনের বাড়িতে। গ্রামের মানুষের ভালোবাসার মিলনমেলা বসে পিঠেপুলি তৈরি ও খাওয়ার উৎসবে।
শীতকালে কৃষকের মাঠ ভরে উঠে নানা রকম সুস্বাদু ও পুষ্টিকর সবজিতে। লাউ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, মুলা, শালগম, আলু, পেঁয়াজ, মটরশুটি ও বিভিন্ন ধরনের শাকসবজির সমারোহে সাজে চাষীর জমি। গৃহিণীর আঙিনার মাঁচাভরা থাকে নানা রকম শিম ও শাকে। সব থেকে মজাদার হলো লাল শাকের রঙিন ঝোল দিয়ে রোদে বসে বাচ্চাদের ভাত খাওয়ার উল্লাস। মাঠে বসে একসাথে মেয়েদের শাক তোলার দৃশ্য গ্রামে আজও বিরাজমান। আলু খেতের খাঁজ কাটা সরু আলের মধ্যে বসে গম খেতের আলে বসে বথুয়ার শাক, নুনিয়া শাক, সেচি শাক তুলে গল্প করে বেলা শেষ করে গ্রামের কিশোরী মেয়েরা। সরিষার শাক তুলে বসে গল্প করা বিকালের মুহূর্ত বড়ই আহ্লাদে ভরা। মেয়েরা কলাই খেতে আসন পেতে বসে কখনও দু পা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসে শাক তুলে গল্প করে হেসে লুটিয়ে পড়ে সখিদের গায়ে।
চাষীদের আলু তোলার মৌসুম হলো শীত কাল। সকাল থেকে বিকেল নাগাদ আলু তোলা হয়। দরিদ্র নারী এবং বাচ্চারা আলু তোলায় চাষীদের সাহায্য করে। বিনিময়ে পায় খাওয়ার জন্য আলু। কাজের ফাঁকে গৃহিণীরা ছোট ছোট আলু নুন, হলুদ মেখে সিদ্ধ করে মাঠে পাঠায়। সেদ্ধ আলু খেয়ে মনের আনন্দে আলু তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে বাচ্চারা। চাষীরা পাইকারি দামে মাঠে আলু বিক্রি করে, সারাবছর খাওয়ার জন্য ঘরে সংগ্রহ করে, পরের বছরের বীজের জন্য কিছু কোল্ডস্টোরেজে পাঠায়। কখনো কখনো কৃষকেরা হাটে আলু আর সবজির পসরা নিয়ে বসে।
শুষ্ক ঋতু হওয়ায় নদী, খাল, বিল, ও ডোবার পানি শুকিয়ে আসে। খোলা জলাশয়, যেগুলোতে বর্ষা মৌসুমে মাছ ঢুকে সেগুলো সেচ করে সকলে মিলে কৈ, শিং, মাগুর, টাকি ও শোল মাছ ধরে। এছাড়া বিলের পানা পুকুর সকলে মিলে পরিষ্কার করে জাল ফেলে মাছ ধরা হয়। ইজমালি পুকুরে হৈ-হুল্লোড় করে মাছ ধরা বহু পুরনো দিনের গ্রামীণ ঐতিহ্য। মাটির মটকায় পানিতে জিইয়ে রেখে কয়েক দিন ধরে রেখে খাওয়া হয় এসব মাছ। অনেকে দল বেঁধে নদীতে বড়শি ফেলে মাছ ধরে। শীতকালীন সবজির সাথে দারুণ মজাদার হয়, জিয়ল মাছের ঝোল। রান্না শেষে তরকারি উপর ছিটিয়ে দেয়া হয় শীতকালীন সবজি ধনিয়া পাতা। গ্রামের দাদিরা বলে, ধনিয়াপাতার সুগন্ধ থাকে শেকড়ে। তাই তো তারা শেকড়সহ ধনিয়াপাতা ধুয়ে হাতে ছিড়ে মাখা মাখা করে রান্না করে সাগরের পোনা মাছ। আহা তার গন্ধে মৌ মৌ করে রসুই ঘরের চারদিক। শীতের দিনে ছোট চিংড়ি বাটা দিয়ে মূলোর তরকারি, শিমের বিচি দিয়ে লাউ শাক ভাজি, মটরডাল দিয়ে হাঁসের ডিম ভুনা, বিভিন্ন সবজি মিলিয়ে খিচুড়ি রান্নার প্রচলন রয়েছে পল্লী গায়ে। সেসব মুখরোচক খাবারের স্বাদ লেগে থাকে গ্রাম-বাংলার মানুষের মুখে মুখে।
শীতকালীন স্কুল বন্ধের ছুটিতে বাচ্চারা বেড়াতে যাওয়ার বাহানা ধরে। বিশেষ করে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসে বাচ্চারা। অনেকে শহর থেকে গ্রামে বেড়াতে আসে। শহরের ও গ্রামের বাচ্চাদের মধ্যে ভাব হয়, বন্ধুত্ব হয়, খেলাধুলা হয়। সকলে মিলে নতুন ক্লাসের বই দেখে। স্কুলের গল্প বলে। সকলে মিলে চড়–ইভাতির আয়োজন করে। ঘরে ঘরে থেকে তোলা চাল, ডাল, আলু, তেল, মসলা আর তোলা টাকায় কেনা মুরগি দিয়ে রান্না করা হয় চড়–ইভাতির খাবার। সকলে মিলে হাতে হাতে রান্না করে, একসাথে বসে মজা করে খাওয়া হয় যা স্মৃতিতে গেঁথে থাকে সারাজীবন।
শীতকালে গাছের সব পাতা ঝরে পড়ে। চুপিসারে হলুদ পাতারা খসে পড়ে গাছের নিচে। সোনালি রঙের শুকনো পাতার মর্মর ধ্বনিত মুখরিত গ্রামের বনবনানী। রেইনট্রি গাছের ছোট ছোট সোনালি রঙের পাতারা হালকা বাতাসে ঝরঝরিয়ে ঝরে পড়ে রোদের আলোতে ঝলমল করে। হত দরিদ্র মানুষের জন্য এ সময়টা সারা বছরের রান্না করার পাতা, লাকড়ি সংগ্রহের সময়। মায়ের সাথে সাথে ছোট বাচ্চাও বুঝতে পারে, তাদের জীবনের বেঁচে থাকার সংগ্রাম। বস্তা কিংবা বাঁশের তৈরি খাঁচা নিয়ে ছুটে চলে বন-বাগানে। মেহগনি বাগান, কদমতল, দেবদারু গাছের তলে শুকনো পাতা কুড়িয়ে সারা বছরের জন্য রান্নায় আগুন জালানোর ব্যবস্থা করে রাখে।
সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধে থাকে বলে, রোদ পড়ে উত্তর দিকে। তাছাড়া দিন ছোট বলে কোন কোন বাড়িতে রোদ পড়েও না। তাই গ্রামের মানুষ ফসল তোলা খোলা মাঠে বাশের খুঁটি বেঁধে লেপ, কাঁথা, কম্বল ও কাপড় শুকাতে দেয়। গোসলের পর সকলে মিলে একসাথে রোদ পোহায়। কখনো কখনো গৃহিণীরা মাঠে ধান গাছের মূল তুলে পরিষ্কার করে গোবরে লেপে শুকনো করে, সিদ্ধ করা ধান শুকাতে দেয়। আর তার পাশে ছোট্ট মেয়েরা নরম মাটি গুলে চুলা, কুলা, পিঠা ও বিভিন্ন ধরনের খেলনা তৈরি করে রোদে শুকিয়ে নেয়। আর তার কিছু দিন পরেই শুরু হয় তাদের খেলনা ঘরের খেলা। কিশোরীরা খেলে, বৌছি, ইচিংবিচিং, কুতকুতসহ নানা ধরনের খেলা। কিশোররা মাঠে মাঠে খেলে, ঘুড়ি উড়ানো, গোল্লাছুট, দৌড়ঝাঁপ, ডাংগুলি, কানামাছি, সাতছারা ইত্যাদি।
শীতকালে নানা রকম ফল ধরে গাছে গাছে। কমলা, কমলালেবু, জলপাই, বরই আর রেধে বা ভর্তা খাওয়ার জন্য চালতা ফল। মেয়েরা জলপাইয়ের আচার তৈরি করে কাচের বয়াম রোদে শুকাতে দেয়। সেই লোভনীয় দৃশ্য জিবে জল আনার মতো। মেয়েরা হাতের তালুতে নুন, মরিচ মেখে হেঁটে হেঁটে খায় টক বরই। শীত ঋতুতে গ্রামের মাঠ, বন, বাগান এবং পথের গাছে ফুটে গোলাপ, গাঁদা, ডালিয়া, কলাবতী, চন্দ্রমল্লিকা, পলাশ ও শিমুল ফুল। পথে ঘাটে এসব ফুলের গন্ধে চোখ ও মন দুটোয় জুড়িয়ে যায়। নয়নাভিরাম হলুদ রঙের বাহার ছড়িয়ে পড়ে সরিষা খেতে। মৌমাছিরা লুটোপুটি করে ঘুরে বেড়ায় এক ফুল থেকে অন্য ফুলে। উত্তরের হালকা বাতাসে দুলে সরিষার চিকন, লম্বা ডালের ছোট ছোট হলুদ ফুলেরা। প্রকৃতিপ্রেমী বিভোর হয়ে উপভোগ করে সেই চোখজুড়ানো দৃশ্য।
এ সময় পরিযায়ী পাখিদের ভ্রমণের সময়। উত্তরের শৈত্যপ্রবাহ থেকে বাঁচতে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশের নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে অতিথি পাখিরা বেড়াতে আসে। চরাঞ্চলে, গ্রামের হাওর, শুকনো বিলে, ঝিলে, মাঠে নেমে উড়ে বেড়ায় পাখিরা। কলকাকলিতে মুখরিত হয় গ্রাম-বাংলার মাঠ, ঘাট, বনবনানী। ডানা মেলে নেচে বেড়ায় মনের আনন্দে বাহারি রঙের পাখিরা। অতিথি পাখিদের সেই স্বাধীনতার সুখ দেখলে, নিজেদের মন অফুরন্ত স্বাধীনতায় ভরে ওঠে। সত্যিকারের সুখের অনুভূতি মিলে প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্যে।
কোন কোন গ্রামে শীত মৌসুমে মিলাদ, মাহফিলের আয়োজন করা হয়। কয়েক গ্রামের মুসলিমরা মিলে আলেম ডেকে নিয়ে সারারাত জেগে ওয়াজ শুনে, দোয়া, জিকির পাঠ করে। গরু কেটে খিচুড়ি করে সারা গ্রামের মানুষদের মধ্যে তবররুক বিলি করে। এ যেন গ্রাম-বাংলার মানুষের মিলনের বহু পুরানো এক ঐতিহ্য।
কোন কোন গ্রামে শীত এলেই শুরু হয় যাত্রাপালা ও জারিগানের আসর। রাত জেগে বাইজিরা যাত্রাপালা দেখায়। বাউলেরা গায় জারি সারি গান। গ্রামবাসী মনোমুগ্ধ হয়ে উপভোগ করে সেই দৃশ্য। গ্রাম-বাংলার পুরানো সেই ঐতিহ্য আজকাল খুব কম অঞ্চলে পালিত হয়। গ্রামে শীত ঋতুতে বিয়ের রীতি রয়েছে। এই সময়ে সকলের গোলা ফসলে পূর্ণ থাকে। অভাব-অনটন কম থাকে বলেই বিয়ের রীতি-রেওয়াজ শীত মৌসুমে বেশি পালিত হয়।
সন্ধ্যার কিছু সময়ে গ্রামের চায়ের দোকানগুলোতে ভিড় থাকলেও অল্প সময়ের মধ্যেই দোকানপাট বন্ধ করে সকলে বাড়ি ফিরে আসে। সারাদিন খাটাখাটুনির পর গ্রামের প্রতিটি ঘরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়ে শান্তিপ্রিয় সহজসরল মানুষগুলো। সামর্থ্য অনুযায়ী যে যার মতো শীতের পোশাক, আর লেপ, কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়ে। দাদিরা নাতি-নাতনিদের গল্প শোনায়। বলতে বলতে এক সময় শান্ত, নিরব হয়ে পড়ে গ্রাম-বাংলার দিঘল শীতের রাত। এ সময় ঠা-া বেশি থাকার কারণে অনেকের ঠা-া ও কাশি হয়ে থাকে। বয়স্ক মানুষের শরীরে দেখা দেয় নানাবিধ সমস্যা। হতদরিদ্র মানুষের জন্য শীত কিছুটা কষ্টের হয়ে থাকে। তবে বিত্তবানদের সহায়তায় খুব সহজেই তা লাঘব করা সম্ভব হয়।
যাদের শৈশব-কৈশোর এবং জীবনের অনেকটা সময়ই গ্রামে কেটেছে শীতকালীন প্রতিটি উৎসব-আনন্দ তাদের জীবনের স্মৃতিতে অমলিন হয়ে গেঁথে আছে। আর যারা গ্রামেই জীবনযাপন করছে তারা তো প্রতি বছরই উপভোগ করছে শীতকালীন উৎসবের ঐতিহ্যগুলো। গ্রামের মানুষদের মধ্যে শীতকালের প্রতিটি উৎসব সম্পর্কের বন্ধনগুলো অটুট করে রাখে। ভালোবাসার মায়ায় বাঁধা থাকে প্রতিটি মানুষের প্রাণ। চিরকাল গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যে মিশে থাকুক শীতকালীন মায়াবী আনন্দঘন উৎসবের অটুট বন্ধন।