প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
প্রিয় সাকিবদা,
শুনেছি লোকজন আপনাকে দাদা বলে ডাকে? তাই ডাকলুম আরকি! খুব সংক্ষেপে লিখছি। আপনারতো আবার সময় কম। সেই কবে থেকে মাস্ক মশাইকে নিয়ে ক্লাসরুমের একটা অমীমাংসিত আলোচনা করবো বলে ভাবছি, কিন্তু আপনার নাগাল পায় কে?
সেদিনের সাহিত্য আড্ডায় অনিমেষদার সাথে আপনার ডিবেটটা দারুণ ছিলো। আপনার বেশভূষা আর বক্তৃতার সাথে মেলাতে না পেরে অনিমেষদা প্রায় কোমাতে চলে গিয়েছিলেন। বঙ্কিমের বিদ্বেষমূলক সাহিত্য নিয়ে যে কোপটা দিলেন, ব্যাটা অনিমেষদার মুখটা দেখার মতো ছিলো।
যখনি আপনি নজরুল নিয়ে শুরু করবেন ঠিক তখনি কারো ফোনের রিংটোন বেজে উঠলো। পরে আড়মোড়া ভেঙ্গে দেখে আমি বটতলায় নেই আমি বাসায় শুয়ে আছি। সেটা রিংটোন নয়, মহামতি খালা কলিংবেল বাজাচ্ছেন।
এ রকম অনেক তর্কবিতর্ক চলে ঘুমের ঘরে। বন্ধুদের প্রাণবন্ত আড্ডা, প্রেমিক-প্রেমিকাদের মিষ্টি কথোপকথন, আর বোরিং শীটের গ্রুপ স্টাডি... সবশেষে বটতলাটা একটা প্রেমের কবিতাকে মিস করে। বটতলাটা বহু প্রেমিক-প্রেমিকা দেখেছে একটা প্রেমের কবিতা শেষ কবে শুনেছে তার মনে নেই। গ্রুপস্টাডির যন্ত্রণায় সে আজ বিরক্ত। দ্রোহ, ইতিহাস, রাজনীতি, দর্শনের বিতর্ক শুনতে চায় সে। দ্বন্দ্ববাদ আর তুলনামূলক ধর্মতত্ব নিয়ে বিতর্ক শুনতে চায়।
স্বপ্ন থেকে বের হয়ে চলেন একদিন বটগাছের সাথে অন্তত জগার পাঠশালা নিয়েই একটু গল্প করে আসি?
তার শৈশবকেও সে খুব মিস করে।
ইতি
বটতলার দার্শনিক।