রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

আনিস ফারদীন-এর দুটি কবিতা
অনলাইন ডেস্ক

সংক্রামক ভালোবাসা

আমি ভালোবাসতে চাই

ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে চাই সমগ্র পৃথিবীতে,

আমি চাই ভালোবাসা সংক্রামক রোগের মতো ছড়িয়ে যাক

পুরো পৃথিবীর আনাচে-কানাচে

পৃথিবীর প্রতিটি ইঞ্চিতে।

ভালোবাসা নামক সংক্রামক রোগে মানুষ সত্যকারের মানুষ হয়ে উঠবে,

যে রোগে পৃথিবীর মানুষ হয়ে উঠবে মানবিক;

ভালোবাসারা আনন্দের গান গাইবে।

মানুষে মানুষে ঘুচবে দূরত্ব

কমবে হানা-হানি, হিংসা, দ্বেষ

যুদ্ধের ধামামা বাজা রহিত হবে;

ভালোবাসারা হয়ে যাবে আমাদের পরমাতœা।

আমি ভালোবাসতে চাই

যে ভালোবাসারা শিখাবে

জীবনে বেঁচে থাকা, মানুষ হয়ে উঠা।

যে ভালোবাসা শিখাবে,

মানুষকে মানুষের পাশে থাকা;

ছিন্নমূল মানুষের স্বপ্নরা জায়গা করে নিবে বাস্তবতায়-

যেখানে ভালোবাসারা হয়ে উঠবে দ্বিধাহীন চিত্ত।

আমি ভালোবাসতে চাই

যে ভালোবাসারা পার্থক্য ঘুচাবে সর্গ মর্ত্যলোকের

জীবনে আঁধার সরিয়ে আলোর ফোয়ারা সাজাবে,

ভুলিয়ে দিবে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ, উঁচু-নিচু সব স্তর;

পৃথিবী হয়ে উঠবে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা কিংবা প্যাগোডা

হৃদয়ের সাথে হৃদয় মিলিয়ে এগোবে মানুষ

হাতে থাকবে হাত, কাঁধে থাকবে কাঁধ।

আমি ভালোবাসতে চাই

যে ভালোবাসারা হবে পৃথিবীর সার্বজনীন ভাষা

যে ভাষা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলবে, প্রেম হবে, গান হবে

বঞ্চনাকে রুখে দিয়ে মানুষ হওয়ার দিক্ষা দিবে,

মানুষ সত্যিকার মানুষ হবে;

পৃথিবী হয়ে উঠবে মানবিক মানুষের

আমি ভালোবাসতে চাই, ভালোবাসাদের ছড়িয়ে দিতে চাই।

মিথ্যে হাসির ফরেনসিক রিপোর্ট

একদিন সব হাসির ময়নাতদন্ত হবে

বেরিয়ে আসবে এক্স-রে রিপোর্ট

ভদ্র হাসি, কপট হাসি, হৃদয় উষ্ণতার হাসি

কিংবা দারুণ খরায় বিমূঢ় হওয়া হাসি

প্লাস্টিক ফ্রেমে তেজস্ক্রিয় রশ্মি সাদা দাগে মিথ্যে তুলে ধরবে।

হাসির কপট রেখাগুলো প্রতিভাত হবে স্পষ্ট

ন্যানোমিটারের মিথ্যে হাসিও ন্যানোপ্রযুক্তির হাতে ধরা দিবে অনায়সে;

সব মিথ্যে প্রমাণিত হবে আকস্মিকতায়।

কলিজা পুড়ে গেলেও যে মুখ মিথ্যে হাসে

অভিনয়ের পারদে মানুষকে বোকা বানায়

সে হাসি নিজেও বোকা বনে যাবে।

স্টেথোস্কোপ সরিয়ে নিলেও কানে বাজবে মিথ্যে হাসিরা,

স্ফিগমোমানোমিটার

সত্য-মিথ্যে হাসি আলাদা করে দিবে নিমিষে।

বুক চিরেও যে অভিনয় করে যেত দক্ষ অভিনেতার মতো,

সেও পরাস্ত হবে পোলারয়েডের বিন্দু আলোতে;

রিপোর্ট আসবে ঝড়ো বাতাসে আর

ফরেনসিক রিপোর্টে লিখা থাকবে

সব হাসি মিথ্যে!!!

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়