প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
জার্মানিতে জাতীয় শোক দিবস পালন
জার্মানির বার্লিনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে।
|আরো খবর
সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে স্থানীয় পাঁচতারা হোটেল ওয়ার্লডর্ফ এস্টোরিয়ায় এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, জার্মানির বিভিন্ন শহরে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্য বৃন্দ এবং বাংলাদেশের বন্ধু কয়েকজন বিশিষ্ট জার্মান নাগরিক অংশগ্রহণ করেন। রাষ্ট্রদূত মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, এনডিসি আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও জার্মানির জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ই আগস্টের অন্য সকল শহিদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রেরিত বাণী পাঠ করা হয় এবং ১৫ আগস্টের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের ওপর নির্মিত একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বাঙালির প্রতিটি ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনে তাঁর অবিস্মরণীয় ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। তাঁরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষের স্বাধিকার, স্বায়ত্তশাসন ও ন্যায্য দাবি আদায় এবং আমাদের একটি মানচিত্র ও পতাকা দেওয়ার জন্যে তাঁর জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু ও তাঁর আত্মীয় পরিজনদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা মানবিকবোধসম্পন্ন যে কোনো মানুষকে ব্যথাতুর করে তোলে। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠায় স্ব স্ব অবস্থান থেকে অবদান রাখার জন্যে সকলকে আহ্বান জানান।
আলোচনা সভার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ ১৫ আগস্টের সকল শহিদ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী সকল শহিদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।