প্রকাশ : ২৩ মে ২০২৪, ০০:০০
চা শ্রমিক দিবস ঘোষণা ও চাঁদপুরে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবিতে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সমাবেশ
বিশ্বের মধ্যে ঐতিহাসিক চা শ্রমিক হত্যার ঘটনা ঘটে ১৩০ বছর পূর্বে। ২০ মে চা শ্রমিকরা ব্রিটিশ বেনিয়াদের শাসন-শোষণ ও চা কোম্পানির মালিকদের নির্যাতনের শিকার হয়ে চা শ্রমিক নেতা পণ্ডিত দেওশরন ও গঙ্গা দীক্ষিতের নেতৃত্বে মুল্লুক চলো (বাড়ি চলো) স্লোগান দিয়ে প্রায় ৩০ হাজার চা শ্রমিক সিলেট থেকে রেললাইনে হেঁটে হেঁটে চাঁদপুরের তৎকালীন স্টীমার ঘাটে এসে কোলকাতা নিজ মুল্লুকে যাওয়ার জন্যে স্টিমারে উঠতে গেলে পুলিশ ও গুর্খা সৈন্য দিয়ে গুলিবর্ষণ করে শত শত চা শ্রমিক হত্যা করে। বাকি শ্রমিকরা তাদের মুল্লুকে বিহার, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, উড়িষ্যা, মাদ্রাজসহ নিজ নিজ অঞ্চলে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিলো। চাঁদপুরে চা শ্রমিকদের রক্ষা করার জন্যে যারা তখন এগিয়ে এসেছেন, আহতদের সেবা-চিকিৎসা ও নিহতদের সৎকার করা এবং বাকিদের রক্ষণাবেক্ষণ করেছেন, খাদ্য ও থাকার আয়োজন করেছেন তাদের মধ্যে শ্রদ্ধেয় কয়েকজন হলেন হরদয়াল নাগের নেতৃত্বে তাঁর সহযোগী নগেন্দ্র চন্দ্র দে, বসন্ত কুমার মজুমদার। এদের রক্ষা ও সেবার জন্যে তৎকালীন রাজনৈতিক দল-অনুশীলন সমিতি-কংগ্রেস এবং হরিবালা সমিতি।
গত ২০ মে ২০২৪ সোমবার বিকেল ৪টায় সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের উদ্যোগে বড়স্টেশন ‘রক্তধারা’র পাদদেশে অস্থায়ীভাবে নির্মিত শহীদ মিনারে ফুলের তোড়া দিয়ে রেড স্যালুট দেওয়ার পর সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সদর আহ্বায়ক আবু তাহের বন্দুকসীর সভাপতিত্বে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশের কাজ শুরু হয়। সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাসদ জেলা সমন্বয়ক কমরেড শাহজাহান তালুকদার, বাসদ জেলা সদস্য ও মহিলা ফোরামের জেলা সভাপতি দিপালী রাণী দাস, বাসদ জেলা সদস্য হারুনুর রশিদ, বাসদ জেলা সদস্য জিএম বাদশা প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে ২০ মে চা শ্রমিক দিবস ঘোষণা ও চাঁদপুরে বড়স্টেশনে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জোর দাবি জানান। এছাড়া বর্তমানে আন্দোলনরত চা-শ্রমিকদের দৈনিক ৫শ’ টাকা মজুরি প্রদানসহ চিকিৎসা, সন্তানদের শিক্ষার দায়িত্ব নেয়া ও সরকার ঘোষিত বকেয়া পাওনা সম্পূর্ণ পরিশোধ করার জন্যে জোর দাবি জানান।