প্রকাশ : ২৩ মে ২০২৪, ০০:০০
চাঁদপুরে কোরবানির জন্যে নিজস্ব খামারির ৬১ হাজার গরু প্রস্তুত
১১ হাজার ছাগল ও ৫০০ ভেড়া আছে ॥ গরু উদ্বৃত্ত আছে ৩ হাজার
আর ২৬দিন পরই পবিত্র ঈদুল আজহা। আর এই ঈদকে ঘিরে চাঁদপুরে প্রস্তুত হচ্ছে কোরবানির পশুর হাট। এবারেও চাঁদপুরের বিভিন্ন পশুর হাটে দেশের উত্তরবঙ্গসহ বিভিন্ন জেলা থেকে বেপারীরা কোরবানির পশু নিয়ে আসবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া স্থানীয় খামারিদের কোরবানির গরুও কম নয়। পর্যাপ্ত গরু-ছাগল আছে বলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানিয়েছে।
এবার চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলায় প্রায় ২১২টি পশুর হাট বসবে। প্রতিটি হাটেই কোরবানির পশু বিক্রি হবে। কোনো কোনো হাটে সপ্তাহে রোববার, সোমবার ও বৃহস্পতিবার গরু কেনাবেচা হয়। হাটগুলোতে বড়-ছোট, মাঝারি ও ছোট সাইজের প্রচুর গরু উঠলেও দাম বেশ চড়া। গরু কিনতে গিয়ে দরদাম নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ থেকে ১৫ ভাগ। তবে দেশী গরু এবার বাজারে বেশি দেখা যাচ্ছে। গরুর খাবারের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি লালন-পালন খরচ বেড়ে যাওয়ায় গরুর দাম গত বছরের তুলনায় এবার বেশি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারাও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।
সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, খামারে গরুর দাম বেশি। যদি হাটেও গরুর দাম বেশি হয়, ঈদে কোরবানি নিয়ে সংশয়ে পড়বেন ক্রেতারা। তারা বলছেন, ঈদ যতো ঘনিয়ে আসছে, দাম আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে গরু কেনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অনেকেই।
চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়নের সফরমালী বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আঃ আজিজ খান দুদু বলেন, এবার ভারতীয় গরু নেই বললেই চলে, দেশীয় গরুতে বাজারগুলো ভরপুর। তিনি বলেন, বেপারীরা এবার নিশ্চিন্তে গরু নিয়ে বাজারে আসছে। কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
চাঁদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জ্যোতির্ময় ভৌমিক বলেন, জেলায় মোট ৩ হাজার ২শ’ ৬৭টি খামারে ৬১ হাজার ৪শ’ ৮৯টি গবাদি পশু, ১১ হাজার ছাগল ও ৫০০ টি ভেড়া রয়েছে। ঈদে কোনো ধরনের সঙ্কট থাকবে না। চাঁদপুর জেলায় এবার ২১২টি স্থানে গরুর হাট বসবে। কোরবানির ঈদকে ঘিরে চাঁদপুর জেলায় পর্যাপ্ত গবাদি পশু রয়েছে। এছাড়া উদ্বৃত্ত গরু আছে ৩ হাজার।
শেষ পর্যন্ত সাধারণ ক্রেতারা মনের মতো পশু কোরবানি দেয়ার জন্যে কিনে নিয়ে যেতে পারবেন-এমনটিই প্রত্যাশা এই কর্মকর্তার।