প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
মুখরোচক ফল লটকন বাড়ির আঙ্গিনায় চাষ করা লাভজনক
লটকন বা লটকা একটি অম্লমধুর স্বাদে ভরপুর মুখরোচক ফল হিসেবে সবার কাছে সমাদৃত। এ ফল চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যায়। বাড়ির যে কোনো আঙ্গিনায় ছায়াযুক্ত স্থানে এ ফল চাষ করা যায়। আসুন জেনে নেই লটকন চাষের নিয়মণ্ডকানুন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জন্মস্থান হলেও বাংলাদেশের সবখানেই লটকন গাছ দেখতে পাওয়া যায়। দেশে ব্যাপকভাবে উৎপাদন না হলেও দু-একটি গাছ বা ছোট পরিসরে বাগান দেখতে পাওয়া যায়।
লটকন মাঝারি আকারের গাছ। তা সব ধরনের আবহাওয়ায় জন্মে। তবে উষ্ণ-আর্দ্র আবহাওয়া ও আংশিক ছায়াযুক্ত স্থানে ভালো হয়। ফল গোলাকার। লম্বা ছড়ায় কাণ্ড ও ডালে ঝুলে থাকে। বীজের চারপাশে পাতলা স্তরে অম্লমধুর শাঁস থাকে। শীতের শেষে ফুল আসে ও জুলাই-আগস্ট মাসে পাকে।
পুষ্টি উপাদান : লটকনের প্রতি ১০০ গ্রাম শাঁসে ১.৪২ ভাগ আমিষ, ০.৪৫ ভাগ স্নেহ, ০.৬৪ ভাগ আঁশ, ০.৯ ভাগ খনিজ, ০.০৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-১, ০.৩ মিলিগ্রাম লৌহ ও ৯১ কিলোক্যালোরি খাদ্যশক্তি থাকে।
সুবিধা : ১. বাংলাদেশের প্রচলিত ফলের মধ্যে অধিকাংশ ফলের চেয়ে ফলন ও বাজার মূল্য বেশি। এ ফল চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যায়। ২. পতিত, অনুর্বর, অনাবাদি যে কোনো জমিতে জন্মানো যায়। ৩. ছায়াযুক্ত স্থানে জন্মে; তাই বাড়ির আশেপাশে, বাগান, বন, জঙ্গল, পাহাড়-পর্বত বিভিন্ন স্থানে সহজে জন্মায়। ৪. তেমন সার দেওয়ার দরকার হয় না ৫. পুষ্টিসমৃদ্ধ ফল হওয়ায় শরীরের জন্যে উপকারী।