প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
হাইমচরে মালচিং পদ্ধতিতে কাঁচা মরিচ চাষ করে শিক্ষার্থীর সাফল্য
হাইমচর উপজেলায় মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে বাণিজ্যিকভাবে কাঁচা মরিচ উৎপাদন করছে কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী মোঃ যুবায়ের হোসেন। তিনি নীলকমল ইউনিয়নের ঈশানবালা এলাকার কৃষক আজিজুল হকের ছেলে। জমিকে উত্তমরূপে তৈরি করে প্রয়োজনীয় জৈব ও রাসায়নিক সার মিশিয়ে বেড তৈরি করে মালচিং পেপার বিছিয়ে সেখানে নির্দিষ্ট দূরত্বে পরপর ছিদ্র করে চারা রোপণ করে কাঁচা মরিচ চাষ করছেন। এ পদ্ধতিতে চাষ করে ভালো ফলন ও দাম পাওয়ার আশা করেন তিনি।
ইউটিউব দেখে গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে ৩শ’ কাঁচা মরিচ চারা রোপণ করলেও কাঙ্ক্ষিত সফলতা পাননি। এ বছর ৪০ শতক জমিতে বিজলি প্লাস ২০২০ জাতের মরিচ বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেছেন।
চাঁদপুর সরকারি কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী মোঃ যুবায়ের হোসেন জানান, মালচিং পেপার ব্যবহার করে কাঁচা মরিচ চাষ করলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। প্রথমত একবার সার দিয়ে গাছ লাগালে পরে আর সার প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না। এছাড়া মালচিং পেপারের কারণে পোকামাকড়ের আক্রমণও কম হয়। গাছের গোড়ায় ছাড়া পুরো বেড মালচিং পেপার দিয়ে ঢেকে দেওয়ায় কোনো ধরনের আগাছা জন্মাতে পারে না। আগাছা দমনে বাড়তি খরচ করতে হয় না। ফলে ফলন অনেক বেশি হচ্ছে। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে চাষ করায় ৪০ শতক জমিতে খরচ হবে প্রায় ৭০হাজার টাকা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও কাঙ্ক্ষিত ফলন হলে ২ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা আয় হবে।
স্থানীয় কৃষকেরা জানিয়েছেন, আমরা সাধারণত ছিটিয়ে মরিচ বপন করে থাকি। মালচিং পদ্ধতির এই চাষাবাদ এ বছর আমরা করতে দেখেছি, ফলন যদি ভাল হয় তাহলে আগামীতে আমরাও এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করবো।
হাইমচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাকিল খন্দকার বলেন, মালচিং পদ্ধতিতে মরিচ চাষ এবং টমেটো চাষ সম্প্রসারণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। চলতি অর্থ বছরে মরিচ আবাদ হয়েছে ৪৮৫ হেক্টরে। ছিটিয়ে বপনের চেয়ে লাইনে বপন করলে চাষাবাদের সুবিধা ও ভালো ফলন পাওয়া যায়। মালচিং পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে সার ও কীটনাশক কম ব্যবহার হয়, খরচ কম হয় এবং ফলন ভালো পাওয়া যায়।