প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
খাদ্য আহরণে অতিথি পাখিরা মধুফুডে
ষড়ঋতুর আবর্তে প্রকৃতিতে চলছে শীত। শীতের আগমনে বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে খাদ্যের খোঁজে আসে নানা প্রজাতির পাখি। সে সাথে চাঁদপুর জেলায়ও দেখা মিলছে অতিথি পাখির। শীত এলেই শুরু হয় অতিথি পাখির আগমন। এই সময়টাতে মেরু অঞ্চল, ইউরোপ, সাইবেরিয়াসহ এশিয়ার কিছু অঞ্চল এবং হিমালয়ের আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত বরফ পড়ার কারণে খাদ্য ও নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় চলে আসে অতিথি পাখিরা। এ সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন হাওড়-বাঁওড়, খাল-বিল ভরে উঠে পাখিদের আনাগোনা ও কলকাকলীতে। আবার এরা দেশের সব স্থানে যায় না। যেসব স্থানে পাখিদের খাদ্যের প্রাচুর্য বেশি ও বিশালাকার জলাশয় রয়েছে, সেসব এলাকাতেই এরা ছুটে যায়। আর এরই সুবাদে অতিথি পাখিদের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল। এ রকমই সকাল-বিকাল অতিথি পাখিরা খাদ্য আহরণে চাঁদপুরের মধুফুড এন্ড অভিজাত কনফেকশনারিতে চলে আসে। সেজন্যে চাঁদপুর শহরের স্বর্ণখোলায় অবস্থিত বেকারিতে যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। সেই পাখিদের সাথে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে সৌন্দর্য পিপাসুরা ছুটে আসছেন বেকারির সন্নিকটে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মধুফুড কনফেকশনারিতে আসা অতিথি পাখিগুলোর মধ্যে রয়েছে : সরালী, চখাচখী, ছোট সারস পাখি, নিশাচর পাখি ইত্যাদি। এগুলো ছাড়াও আরো কিছু পাখি আসে। যেগুলোর নাম স্থানীয়রা জানে না। মধুফুডে আসা অতিথি পাখিদের মধ্যে বালি হাঁস, ছোট সারস পাখি ও নিশাচরের সংখ্যা বেশি।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রত্যেকটি ঝাঁকে কয়েকশ' পাখি থাকে। এরা নিকটস্থ লেকের পানিতে খেলা করে ও খাদ্যের সন্ধান করে। রাতের বেলায় লেকের পাশে বাগানে আশ্রয় নেয়।
বাসযাত্রী মরিয়ম খাতুন ও কামরুল দম্পতি বলেন, পরিবার পরিজন নিয়ে কুমিল্লা যাবো। বাসস্ট্যান্ডস্থ স্বর্ণখোলা মধুপুর কনফেকশনারির ছাদে দেখলাম পাখির কিচিরমিচির শব্দ। অনেক অতিথি পাখি দেখতে পেলাম। পাখিগুলো দেখে খুবই ভালো লাগছে। একদিকে দল বেঁধে পাখিদের খাবার আহরণের দৃশ্য, অন্যদিকে এতো পাখির একত্রিত সৌন্দর্য--দুটোই দেখা হলো এখানে।
পার্শ্ববর্তী জেলা শরিয়তপুর থেকে আগত শিক্ষার্থী জুবায়ের রশিদ বলেন, জীবনে প্রথম অতিথি পাখি দেখলাম। ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি খাবার খেতে এই প্রথম দেখলাম। এদের উড়তে দেখে খুব সুন্দর লেগেছে। অতিথি পাখিদের জন্যে শীতে মধুফুড কনফেকশনারিকে সুশোভিত লাগছে।
জানতে চাইলে মধুফুড এন্ড অভিজাত কনফেকশনারির মালিক মোঃ নূর হোসেন ঢালী বলেন, প্রতি বছর শীত এলে বিভিন্ন স্থানের অতিথি পাখিদের বিচরণ বেড়ে যায়। তেমনি করে আমার কনফেকশনারির ছাদ এলাকায়ও অতিথি পাখির দেখা মিলে। এদের মধ্যে সরালী, চখাচখী, ছোট সারস পাখি, নিশাচর পাখি দেখা যায়। শিকারীরা যাতে কোনো অতিথি পাখি শিকার করতে না পারে সেদিকে আমাদের বিশেষ নজর রয়েছে। এখানে প্রতিদিনই সকাল-বিকাল এই অতিথি পাখিগুলো আসে। আমার পরিবারের সদস্যরা এবং কনফেকশনারির কর্মচারীরা তাদেরকে কনফেকশনারির বিভিন্ন শুকনো খাবার খেতে দেন।