প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এ বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২.৪% বেড়েছে, যা ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ফলে মানুষের খাবার কেনার সামর্থ্য কমেছে।
বাংলাদেশে এ বছর রেকর্ড পরিমাণ ধানসহ দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদন হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। তবে দাম বেশি থাকায় মানুষের কেনার সামর্থ্য কমে যাচ্ছে।
গ্লোবাল ইনফরমেশন অ্যান্ড আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম অন ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনটি ১০ নভেম্বর প্রকাশ করা হয়েছে।
এফএও মনে করছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর ৭ লাখ ৯৩ হাজার টন বেশি খাদ্যশস্য উৎপাদন হতে পারে। এর মধ্যে বোরো ধান উৎপাদনের নতুন রেকর্ড হতে পারে ৩ কোটি ১০ লাখ টন। ফলে এবার সামগ্রিকভাবে খাদ্যশস্য কম আমদানি করতে হবে। তবে খাদ্যপণ্যের দাম বেশি থাকায় দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষের খাদ্যপণ্য কেনার সক্ষমতা কমছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খাদ্যনিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে এফএও প্রতি দুই/এক বছরে প্রতিটি দেশের খাদ্যশস্যের উৎপাদন নিয়ে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে।
মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছে। মার্চ থেকে এপ্রিলে এমন মানুষের সংখ্যা ছিল ৮৯ লাখ। অর্থাৎ এ দুই জরিপের মধ্যবর্তী সময়ে খাদ্যসংকটে থাকা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ৩০ লাখ।
জানতে চাইলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘এ বছর দেশে চালের যথেষ্ট পরিমাণে ভালো উৎপাদন হয়েছে। আশা করি, আমাদের কোনো চাল আমদানি করতে হবে না। কৃষকদের জন্যে যথেষ্ট পরিমাণে লাভ ধরে সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করায় দেশের ভেতর থেকে আমরা সরকারি গুদামের জন্যে প্রয়োজনীয় মজুত সংগ্রহ করতে পারব। আর খাদ্য মজুত ভালো থাকায় আমরা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে চাল-গমের বণ্টন বাড়িয়েছি। ফলে দেশের কোনো গরিব মানুষ খাদ্য সহায়তার বাইরে নেই।’
তবে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক মোস্তফা কে মুজেরির ভাষ্য, ‘কোভিডের পর থেকে বাংলাদেশের খাদ্যপরিস্থিতি সংকটে আছে। এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেও চাপ তৈরি হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে ডলারসংকট এই সমস্যাকে তীব্র করে তুলেছে।’ তাঁর মতে, শুধু খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি যথেষ্ট হবে না।