প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৩, ০০:০০
রোপা আমন :
* পানিতে ডুবে যাবার পর যেসব ক্ষেতে ধানের চারা বেঁচে থাকবে, সেসব ক্ষেতের পানি নামার সাথে সাথে হালকা ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করুন। চারার পাতায় পলিমাটি লেগে থাকলে পানি ছিটিয়ে ধুয়ে দিন।
* আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত জমির এক পাশের চারা তুলে নিয়ে অপর পাশের ফাঁকা জায়গাগুলো পূরণ করে দিন। সৃষ্ট খালি জায়গায় পানি সরে গেলে পুনরায় ধানের চারা লাগিয়ে দিন।
* বন্যামুক্ত উঁচু জায়গায় বীজতলা তৈরি করে নাবী জাতের ধান বিআর-২২/বিআর-২৩/বিনাশাইল/ নাইজারশাইল-এর বীজ ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত বীজতলায় বপন করতে পারেন।
* বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উঁচু জমির অভাবে ভাসমান বীজতলা তৈরি করতে পারেন।
* নাবী রোপণের বেলায় প্রতি গুছিতে ৬/৭টি করে বয়স্ক চারা রোপণ করুন।
আউশ ধান ও পাট :
* আউশ ধান শতকরা ৮০ ভাগ পাকলেই কেটে সংগ্রহ করা যায়। ডুবে গেলে বা ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে জরুরিভিত্তিতে আউশ ধান ও পাট কেটে নিন।
আগাম রবি ফসল :
* পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে পাতা জাতীয় সবজি যেমন--গিমাকলমি, লালশাক, ডাঁটাশাক, পালংশাক এসবের চাষ করুন।
* চারা রোপণ উপযোগী সবজির জমিতে, বাড়ির আঙ্গিনায় বা বাঁধের ধারে সবজির চারা উৎপাদন করুন। শুকনো জায়গার অভাব হলে টব, মাটির চাড়ি, কাঠের বাক্স, কাটা ড্রাম, ভাসমান কচুরিপানার স্তূপ, কলার ভেলা এসবে আগাম শীতকালীন সবজির চারা উৎপাদন করতে পারেন।
* বন্যার পানি সরে গেলে ‘জো’ আসার পর বিনা চাষে ভুট্টা ও সরিষার বীজ এবং আলু, চীনাবাদাম, রসুন বুনা যায়।
* বন্যার পানি নেমে গেলে ভেজা মাটিতে মাসকলাই, খেসারি, ভুট্টা বীজ বুনে দিতে পারেন। পরে একই জমিতে অন্যান্য রবি ফসলের আবাদ করা যাবে।
* রোপিত ফসলের চারার গোড়ায় পানি জমে থাকলে নালা কেটে পানি নিকাশের ব্যবস্থা নিন।
* আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত শাকসবজি, ফল ও অন্যান্য ফসলি জমির রস কমানোর জন্যে মাটি আলগা করে ছাই দিয়ে মিশিয়ে দিন এবং সামান্য ইউরিয়া ও পটাশ সার প্রয়োগ করুন।
* আপনার সংরক্ষিত বীজ রোদে শুকিয়ে ছায়ায় ঠাণ্ডা করে পুনরায় সংরক্ষণ করুন।
* ইতিমধ্যে লাগানো শিম, লাউ প্রভৃতি সবজি চারার গোড়ায় পানি এলে চারাগুলো মাটির পাত্রে বা কলাগাছের খোলে ভাসিয়ে রাখার ব্যবস্থা করুন, যাতে পানি সরে গেলে আবার মাটিতে লাগানো যায়।
* বসতবাড়ির আঙ্গিনায় সামান্যতম জমি খালি না রেখে উঁচু জায়গায় বা মাচা করে সবজির চারা উৎপাদন করুন। বন্যার পানি সরে গেলে উপযুক্ত স্থানে রোপণের ব্যবস্থা নিন।
সূত্র : বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইট।