প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৩, ০০:০০
আমরা গরিব মানুষ। আমাদের ঈদের আনন্দ গরু বিক্রিতে। ভালো দাম পাওয়া গেলে আমরা খুশি। গরু বিক্রি হলে ঈদ হবে সার্থক।
এভাবেই কথা বলেছিলেন শিউলি বেগম। শিউলি ভালো দামে গরু বিক্রি করবেন এমন আশা। অপরদিকে শঙ্কিত সে। কারণ এই গরুটি সে বর্গা পালন করছেন। যার কাছ থেকে বর্গা এনেছেন তিনি মূল চালান পাবেন। আর লাভের অংশের এক ভাগ শিউলির আরেক ভাগ তার মালিকের। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে পারলে শিউলির ভাগে কিছু টাকা বেশি পাওয়া যাবে।
২০১২ সালে স্বামীকে হারিয়ে ২ ছেলে আর ১ মেয়েকে নিয়ে চলছে শিউলির সংসার। সংসারের হাল ধরতে আজ কয়েক বছর হলো বর্গা গরু পালন করেন তিনি। প্রতিবছরই কোরবানিতে তিনি একটি করে ষাঁড় গরু বিক্রি করেন। নিজস্ব একটি গবাদি পশুর ফার্ম তৈরি করার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু অর্থাভাবে এ স্বপ্ন পিছিয়ে যায়।
নিজস্ব জায়গা-জমি নেই। বাবার বাড়িতেই থাকেন, যার কারণেই থমকে আছে তার স্বপ্ন। তবে কোনো ব্যাংক বা কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক ঋণ পেলে ডেইরি খামার এবং পশু মোটাতাজাকরণ নিজেই শুরু করতেন।
শিউলি বেগম জানান, আমার বাড়ি বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের দামোদরদী গ্রামে। আর আমার শ্বশুর বাড়ি বরিশালে। সেখানে আমার স্বামীর অত সম্পদ নেই। যার কারণে আমাকে বাপের বাড়ি থাকতে হচ্ছে। 'আপনার কোরবানির গরু কত টাকা বিক্রি করবেন' এমন প্রশ্ন করা হলে শিউলি বলেন, বর্তমান বাজার অনুযায়ী আমার গরুটির দাম এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা হবে।