প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২২, ০০:০০
সবুজে ভরা গ্রাম বাংলায় বেড়ে ওঠা নাগরিক সমাজের একটা অংশ সবুজকে ধরে রাখতে চায় আবাসস্থলে। সৌখিন মানুষরা তাদের ঘর-বাড়িতে সবুজকে ধরে রাখার জন্য একান্ত নিজস্ব ভাবনা আর প্রচেষ্টায় বাড়ির ছাদে তৈরি করছে ছাদ বাগান।
ছাদ বাগানের প্রয়াস এখন আর শুধু স্বপ্নেই নয় বাস্তবে আবাসস্থলেও ছড়িয়ে পড়েছে। ব্যতিক্রমী এমন একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন ইসলামী ব্যাংক পুরাণবাজার শাখার ম্যানেজার মোঃ ইসমাইল হোসাইন।
ছোটবেলা থেকেই কৃষি কাজের প্রতি আগ্রহ ছিল তাঁর। তিনি বলেন, ২০১৩ সাল থেকে স্বপ্রণোদিত হয়েই আমি এগুলো করেছি। আমার নিজস্ব ছাদে গড়ে তুলেছি ফুল-ফল আর সবজিতে সমৃদ্ধ বাগান। ২৫শ’ বর্গফুটের ছাদে শোভা পাচ্ছে আম, বাউকুল, বরই, কাজী পেয়ারা, লেমন গ্রাস, মেহেদী গাছ, বেলি ফুল, ডালিম গাছ, কাঁঠাল গাছ, পাতা বাহার, ড্রাগন, লিচু, টমেটো, গোলাপ, কাগজী লেবু, রঙিন ফুল, ক্যাকটাস, আনারস, বট গাছ, মিষ্টি আলু, মুরগি, কবুতর, ব্ল্যাক লাহড়ী, রেড লাহড়ী কবুতর, রেসার হোমা ১৮ জোড়া, দেশি মুরগি ১৫টি। ওই বাগানে গাছে গাছে ঝুলে আছে বিভিন্ন ধরনের ফল, ফুলসহ নানান ধরনের সবজি।
তিনি বলেন, কৃষি আমার অনেক পছন্দের। তাই কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার উদ্দেশ্যে আমার নিজ চেষ্টায় ছাদে এ বাগান করেছি। কীটনাশকমুক্ত সবজি ও ফল উৎপাদন করাই আমার লক্ষ্য।
তিনি বলেন, আজ থেকে ৬০ দিন সবজি লাগিয়েছিলাম। ইতোমধ্যে তিন বার শাকসবজি আমরা রান্না করে খেয়েছি।
ইসমাইল হোসাইন সবাইকে সবুজায়ন ও কীটনাশকমুক্ত খাবার নিশ্চিত করতে এমন ছাদকৃষি করার আহ্বান জানান। এছাড়াও শহরে বসে বাসার ছাদকে কাজে লাগিয়ে এমন বাগান করলে পরিবেশসহ মানুষ উপকৃত হবে বলে যোগ করেন এই কর্মকর্তা।
ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ভাটিরগাঁও গ্রামের মরহুম আব্দুল আজিজ মিয়াজীর পুত্র মোঃ ইসমাইল হোসাইন। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু সড়কস্থ ৪তলা ইসমাইল ম্যানসনে থাকেন। আর সেখানেই করেছেন পশুপাখিসহ সবুজায়ন। তাঁর স্ত্রী খালেদা বিনতে রহমান চাঁদপুর পৌরসভার ৬২নং গুনরাজদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তাঁর দুছেলে রেজওয়ান তাসফিন চাঁদপুর সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে আর রেদওয়ান তাহসিন আল-আমিন স্কুল এন্ড কলেজ প্রধান ক্যাম্পাসে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনা করছেন। পরিবারের সবাই মিলে ছাদ বাগানে রুটিনমাফিক কাজ করছেন বলে ইসমাইল হোসাইন জানান।