বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাজীগঞ্জে তাল গাছ থেকে পড়ে আহত যুবকের মৃত্যু
  •   অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন চৌধুরী মারা গেছেন
  •   ছেলের মামলা-হামলায় বাড়িছাড়া বৃদ্ধা মা
  •   মতলব উত্তরে ইকবাল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
  •   মতলবে ১০ কেজি গাঁজাসহ আটক ৩

প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৫

খণ্ডে খণ্ডে অখণ্ড জীবন

পীযূষ কান্তি বড়ুয়া
খণ্ডে খণ্ডে অখণ্ড জীবন

(একুশতম পর্ব)

জীবন হলো নানা রঙে রাঙানো এক বৃক্ষ। তার যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ। মানবিক প্রয়াসে জীবনকে যাপন, উদযাপন ও রাঙানোর পরিমিতিবোধ হতেই জন্ম হয়েছে সংস্কৃতি। সংস্কৃতি আছে বলেই মানুষ সভ্য ও শিষ্ট। সংস্কৃতিকে মুখ্য করে নানারঙে জীবনকে সাজানোর পুণ্য প্রয়াস হতে জন্ম হয়েছিল চতুরঙ্গের। যে চতুরঙ্গের কথা বলছি তা হলো চাঁদপুরের একটি স্বনামধন্য সাংস্কৃতিক সংগঠন। উনিশশো তিরাশিতে জন্ম নিয়ে তার কর্মকাণ্ডের ব্যাপকতা ও গভীরতায় মনে হয় তা পথ পরিক্রমা করেছে হাজার বছর। চতুরঙ্গের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট বিনয় ভূষণ মজুমদার এবং মহাসচিব হারুন আল রশীদ। চতুরঙ্গের কথা আমাকে পাড়তে হলো তার ইলিশ উৎসবের জন্যে। চতুরঙ্গ শব্দের ব্যবহার খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকে প্রথম লক্ষ্য করা যায়। বাণভট্ট তাঁর লেখায় চতুরঙ্গকে উল্লেখ করেছেন। আবার সিন্ধু সভ্যতার প্রত্নতাত্ত্বিক অবশেষ হতে জানা যায়, খ্রিস্টপূর্ব দুই-তিন হাজার বছর আগে থেকেই চতুরঙ্গ নামে দাবা বা দাবা জাতীয় বুদ্ধিবৃত্তিক খেলার প্রচলন ছিল। এ খেলায় অশ্ব, গজ, রথ ও পদাতিক এই চার নামে সেনাবাহিনীর কথা উল্লেখ ছিল। মহাভারতে অক্ষৌহিণী সেনা বুঝাতে তাতে চতুরঙ্গ সেনাদলের সমাহার থাকতো। সবচেয়ে বীর্যবান ও মারাত্মক ছিল রথের সেনাদল। চতুরঙ্গ নামে পরে রবীন্দ্রনাথের একটি উপন্যাস আমরা পেয়েছি এবং এ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকাও আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যে চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের কথা বলছি তার মুখ্য অবদান বাংলাদেশের জাতীয় মাছ তথা ইলিশ নিয়েই। দুহাজার নয় সালে শুরু হওয়া এ উৎসব তেইশের সেপ্টেম্বরে দেড় দশক একটানা পার করেছে। অক্টোবরে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। পাশাপাশি অক্টোবরে শারদীয় দুর্গা পূজার উৎসব হয়। তাই নানাদিক চিন্তা করেই উৎসবটাকে সেপ্টেম্বরে আয়োজন করা হয়। চব্বিশে এসে একটু বিচ্যুতি হলো সঙ্গত কারণেই। আগস্টে উত্তাল দেশ সেপ্টেম্বরে এসেও নিজেকে সামলে নিতে পারেনি। তাই এবার চতুরঙ্গ ইলিশ উৎসবের ষোড়শ আসরের পর্দাও আর উঠলো না। তবে নিশ্চয়ই এ উৎসব একদিন ষোড়শীর তকমা পাবে, কৈশোরের লাবণ্য কাটিয়ে তারুণ্যের বর্ণিলতায় আরও মনোমুগ্ধকর হয়ে উঠবে। চতুরঙ্গ উৎসব উদযাপনের প্রক্রিয়ায় সম্ভবত দুহাজার বারো সাল থেকে সংশ্লিষ্ট হয়ে যাই আমিও। উপদেষ্টা হিসেবে আমাকে আপন করে নিয়ে মহাসচিব হারুন ভাই সুযোগ করে দিয়েছেন ইলিশকে আরও জানার। যে ইলিশ উৎসবকে কেন্দ্র করে চতুরঙ্গ তার রঙ ছড়াতে পেরেছিল আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে, তার রূপকার হলেন হারুন আল রশীদ, অনেকের আদুরে ডাকে যিনি বয়াতি। প্রথম প্রথম তিনদিনের উৎসব হলেও পরে গিয়ে তা সাতদিনের মহোৎসবে পরিণত হয়। হারুন আল রশীদ যাঁকে কান্ডারি করে তার ইলিশ উৎসবকে দেড় দশকে টেনে এনেছেন, তিনি হলেন কাজী শাহাদাত, দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক। তাঁকে আহ্বায়ক করে টানা পনের বছর আয়োজিত হয়েছে চতুরঙ্গ ইলিশ উৎসব। শাহাদাত ভাইয়ের সাথে তার ইস্পাত অটুট সম্পর্কের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে হারুন ভাই প্রায়শই বলেন, ওনার সাথে টানা পঁয়ত্রিশ বছর আমি ঘর করছি। এ কথা বলতেই ওনারা দুজনের সাথে আমিও হাসি চাপতে পারি না। হারুন আল রশীদের বয়ানে নিউইয়র্কের কোন এক দোকানে লেখা বিজ্ঞাপন, ' এখানে চাঁদপুরের ইলিশ পাওয়া যায়', দেখেই তিনি ইলিশ নিয়ে লোকজ ও নাগরিক আবহের মিশেলে এক উৎসবের পরিকল্পনা করেন, যা চতুরঙ্গ ইলিশ উৎসব নামে আদৃত হয়েছে সর্ব মহলে।

এগার সালে বা বারো সালে প্রকাশিত উৎসবের ক্রোড়পত্রে আমি একটা ইলিশ-ছড়া পাঠাই। স্থান সংকুলান না হলেও সম্পাদক শাহাদাত ভাই সেটাকে মুড়ির টিনে যাত্রী ওঠানোর মতো চেপে জায়গা করে দেন। সেই থেকে ইলিশ উৎসবের আমিও অংশ হয়ে উঠি। এরপর তো হারুন ভাই লেখালেখির প্রয়োজনে আমাকে দায়িত্ব দিতেন তার পাশে থাকার জন্যে। দুহাজার চৌদ্দ সালের ইলিশ উৎসবে আমাকে সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে বরণ করা হয়। বরণের প্রক্রিয়ায় আবেগে গায়ে রোম কাঁটা দেওয়ার মতো অবস্থা। মাইক্রোফোনে যখন বাজতে থাকে দেশাত্মবোধক গান, ' জন্ম আমার ধন্য হলো মা গো,' সাথে সাথে পরিয়ে দেওয়া হয় ফুলের মালা ও উত্তরীয়। তখন কি আর চোখের জলে বাধ দেওয়া যায়? প্রতিবছরই চতুরঙ্গ ইলিশ উৎসবের পক্ষ থেকে কয়েকজনকে বেছে বেছে সংবর্ধিত করা হয় সমাজে তাদের অবদান ও চর্চা দেখে। চতুরঙ্গ ইলিশ উৎসব একটি সামগ্রিক উৎসবে পরিণত হয় এর সমৃদ্ধ সূচি কার্যকর হওয়ার মাধ্যমে। এটি একদিকে যেমন ইলিশ-সাহিত্যকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে তেমনি অন্যদিকে লোকজ সংস্কৃতিকে আজকের প্রজন্মের কাছে চিনিয়ে দিয়েছে। চতুরঙ্গ ইলিশ উৎসবের আরেকটি বড় সাফল্য ইলিশ বিষয়ক প্রদর্শনী বিতর্কের প্রচলন করা। অত্যন্ত উপভোগ্য এই বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা আমাদের জন্যে সবসময় প্রাসঙ্গিক। কখনো কখনো আমিও এ উৎসবের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আলোচক কিংবা সভাপ্রধানের দায়িত্ব পেতাম। সাতদিনের এ উৎসবে তখন সত্যিকার অর্থেই শিল্পকলা মিলনায়তনকে আমার বাড়ি বলে মনে হতো।

শুধু আমি নই, এ উৎসবে শামিল হতাম আমাদের পুরো পরিবার। আমার পত্নী নিজেও একজন নারী নেত্রী হিসেবে গোল টেবিল বৈঠকে অংশ নিয়েছে। আমার দুছেলে বিভিন্ন সংগীত প্রতিযোগিতা ও দলীয় পরিবেশনায় অংশ নিয়ে পরিচিতি অর্জন করেছে। স্বনামধন্য আবৃত্তি সংগঠন বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ এই উৎসবে বেশ কয়েকবার সূচনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে। ফলে এ উৎসব হয়ে উঠেছিলো আমাদের প্রাণের উৎসব। চাঁদপুর জেলা ব্র্যান্ডিং প্রকাশনায় এ উৎসব অতি সঙ্গত কারণে নিজের স্থান করে নিয়েছে। চতুরঙ্গ ইলিশ উৎসব উদযাপনের একজন উপদেষ্টা হিসেবে এ গৌরবের আমিও সমান ভাগীদার।

চতুরঙ্গ ইলিশ উৎসবের আরেকটি অনন্য দিক হলো সকল মত-পথের রাজনৈতিক দল এখানে সম্মিলিত হতো। সকল সম্প্রদায় একে নিজেদের উৎসব বলে মনে করতো। ইলিশ জেলে, মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিসহ তৃণমূলের অনেকেই এই উৎসবের অপরিহার্য অংশ। নৌর‌্যালি ও পথশোভাযাত্রায় এই উৎসব সমাজে ইলিশ নিয়ে যথেষ্ট সচেতনতা তৈরি করেছে।

ইলিশ উৎসবের কথা মনে হলে মনে পড়ে প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় তাহমিনা ভাবীকে। আমার ছোট ছেলেকে তিনি খুবই আদর করতেন। ছোটু নামে স্নেহের ডাক দিতেন মন ভরে। তিনি আমার রোগীও ছিলেন। ইলিশ উৎসবের বড়ো একটা ভার তিনি নিজ কাঁধে নিতেন। রান্নার হেঁশেল ঠেলে অনুষ্ঠান পরিবেশনা এবং প্রতিযোগিতায় বিচারকার্য করা, সর্বক্ষেত্রে দশভুুজা হয়ে সামলিয়েছেন। কিডনি জটিলতা এবং ডায়বেটিস তাঁকে দীর্ঘজীবন না দিলেও তিনি তাঁর কর্মে দীর্ঘ জীবন পেয়ে গেছেন মানুষের হৃদয়ে। নিজের জেলা ছাপিয়ে ইলিশ উৎসব একসময় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ে এবং জাতীয় উৎসবে পরিণত হওয়ার সামর্থ্য জানান দেয়।

চাঁদপুর জেলা ব্র্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে চতুরঙ্গ ইলিশ উৎসবের অবদান কম নয়। ইলিশ উৎসবই এক্ষেত্রে পথ দেখিয়েছে বলা যায়। ইলিশ উৎসবের পাশাপাশি মোহনবাঁশি স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে 'ছড়া উৎসব'ও ছিলো একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এ উৎসবের পেছনেও কাজী শাহাদাত ভাইয়ের ভূমিকা ছিলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহনবাঁশির সন্তান চিত্রশিল্পী ও প্রশিক্ষক অজিত দত্তের পরিকল্পনায় দুহাজার পনের সালে আয়োজিত হয় এ ছড়া উৎসব। ছড়ার দুটো আঙ্গিক। একটা হলো সাহিত্যিক আঙ্গিক আর একটা হলো সাংস্কৃতিক আঙ্গিক। অজিত দত্তের উদ্দেশ্য ছিলো ছড়ার সাংস্কৃতিক আঙ্গিক নিয়ে কাজ করা। তাই তিনি শিশুকিশোরদের নিয়ে আয়োজন করলেন ছড়া উৎসব। আমাকে তার পছন্দ ও ইচ্ছেতে আহ্বায়ক বানালেন। আরো অনেকেই এর সাথে সংযুক্ত ছিলেন। ছড়ার সাংস্কৃতিক আঙ্গিক নিয়ে কাজ করলেও আমরা সাহিত্যিক আঙ্গিকটা বাদ দিতে পারিনি। আমরা এ উপলক্ষে একটা প্রকাশনা করলাম। হয়তো কলেবরে ছোট, কিন্তু উৎসবকে ধরে রাখার জন্যে তা যথেষ্ট। আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো কিছু কালজয়ী ছড়াকে আজকের শিশু-কিশোরদের হাতে তুলে দেওয়া। পাশাপাশি স্থানীয় ছড়াকারদের মানসম্পন্ন ছড়াগুলোকে মূল্যায়ন করে স্থান দেওয়া। প্রকাশনার নাম ছিল 'চিরকালীন ছড়া।' ছড়ার আবেদন চিরকালীন। শিশুদের কাছে যেমন তেমনি বড়োদের কাছেও। প্রথম ছড়া উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদিত ছড়াকার ও শিশু সাহিত্যিক, চাঁদপুরের কৃতী সন্তান জনাব ফারুক হোসেন। সভাপতি ছিলেন চাঁদপুরের তৎকালীন জেলা প্রশাসক জনাব আবদুস সবুর মন্ডল। ছড়া উৎসবের ক্রোড়পত্র করা হলো ছড়া দিয়ে। প্রধান অতিথি ও সভাপতিকেও উপহার দেওয়া হলো ছড়ায় লিখিত স্মারক। শিশু-কিশোর নবীন ছড়া লিখিয়েদের কাছ থেকে স্বরচিত ছড়া আহ্বান করা হলো এবং বিজয়ীদের ছড়া পরবর্তী বছরের প্রকাশনায় স্থান পেলো। শিশুরা ছড়া আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় যেমন অংশ নিয়েছে, তেমনি ছড়াগান ও ছড়ার বিষয়ে নৃত্য প্রতিযোগিতায়ও অংশ নিয়েছে। অজিত দত্তের নির্দেশনায় শিশুরা ছড়ার বিষয়বস্তু নিয়ে ছবিও এঁকে প্রদর্শনী করেছে। এটা ছিলো বলতে গেলে শিশু-কিশোর ও অভিভাবকদের এক অভূতপূর্ব আনন্দমেলা। র‌্যালি হয়েছে বর্ণাঢ্য। এই ছড়া উৎসবে ইনার হুইল ক্লাব অব চাঁদপুর সেন্ট্রাল-এর পক্ষ থেকে চারজন প্রবীণ ছড়াকারকে সম্মাননা জানানো হয়। তাঁরা হলেন বাবু জীবন কানাই চক্রবর্তী, মোখলেসুর রহমান মুকুল, পীযূষ কান্তি রায় চৌধুরী ও রণজিৎ রায় চৌধুরী। এঁদের মধ্যে জীবন কানাই বাবু ছাড়া বাকিরা পরলোকপ্রাপ্ত হয়েছেন। দুহাজার পনের সাল থেকে একটানা তিন বছর ছড়া উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে ছড়া উৎসবের প্রকাশনার নাম দেওয়া হয় 'ছড়ায় মোড়া কালের ঘোড়া।' এ বইটির পেছনে বাংলা ছড়ার ইতিহাস সংক্ষিপ্ত আকারে মুদ্রিত আছে। ছড়া উৎসবে মৃণাল সরকার, রাশেদ শাহরিয়ার পলাশ, আলমগীর পাটোয়ারী, কেএম মাসুদ, মাহমুদা খানম, মুক্তা পীযূষ, ফরিদ হাসান, আশিক, রণি, জসীম মেহেদী প্রমুখের সহযোগিতা ছিলো। সহযোগিতা ছিলো গাজী মুনসুর আজিজ, সীমান্তসহ আরও অনেকের। যাদের নাম মনে আসলো না এ মুহূর্তে কিন্তু ছড়া উৎসবের সাথে যুক্ত ছিলেন, তাদের সবাইকে কৃতজ্ঞতা। এ সময় চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সেক্রেটারি হিসেবে বিএম হান্নান ও সোহেল রুশদীও সহযোগিতা করেছিলেন। ছড়া উৎসবের প্রকাশনাটি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুভেচ্ছা মূল্যে বিতরণ করা হয়, যাতে শিশুরা ও শিক্ষার্থীরা এই ছড়াগুলোর সাথে পরিচিত হয়। ছড়া উৎসবে চাঁদপুর সরকারি কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ অধ্যাপক মিহির লাল সাহাও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং প্রকাশনাটি শুভেচ্ছা মূল্যে বিতরণে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। একটা বড়ো অনুষ্ঠান করতে গেলে আর্থিক প্রণোদনার বিষয়টি মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। ছড়া উৎসবের মতো একটা মহৎ কর্মযজ্ঞ যদি পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া যেতো তবে অব্যাহত রাখা সম্ভব হতো।

ছড়া উৎসবের পাশাপাশি মোহনবাঁশি স্মৃতি সংসদের আরেকটি উল্লেখযোগ্য আয়োজন ছিলো এ প্রজন্মের শিক্ষার্থী শিল্পীদের হাতে আঁকা মুক্তিযুদ্ধের চিত্র প্রদর্শনী। নাম ছিলো ' চিরঞ্জীব একাত্তর'। বেশ কয়েক বছর ধরে একটানা অনুষ্ঠিত এই উৎসবও সর্বমহলে আদৃত ও মূল্যায়িত হয়। এ দুটো আয়োজনও জেলা ব্র্যান্ডিং প্রকাশনায় নিজ গুণে স্থান পেয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়