রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫  |   ৩১ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৭

দূর প্রবাসে লালন

সরাফ আহমেদ, জার্মানি থেকে
দূর প্রবাসে লালন

প্রবাসে সচরাচর এ ধরনের আয়োজন চোখে পড়ে না। উদ্যোক্তারা অনুষ্ঠানটির নাম দিয়েছিল ‘পরবাসে লালন’। জার্মানির রাজধানী বার্লিন শহরে একদল বাউল সংগীতপ্রেমী যারা নিজেরা দীর্ঘ সময় থেকেই একত্রিত হলেই বাদ্য, একতারা নিয়ে বাউলদের ভক্তিসংগীত বা আধ্যাত্মিক গানে নিজেদের নিমগ্ন রাখতেন। আর সেই চর্চা থেকেই এই পরবাসে লালনসংগীত অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা।

আয়োজকেরা তাদের আমন্ত্রণপত্রে লিখেছে, আমরা একদল সংগীতপ্রেমী ও আধ্যাত্মিক পথের পথিক, বার্লিনভিত্তিক একটি কমিউনিটি, যাদের একত্র করেছে বাংলার বাউলদের মোহনীয় ঐতিহ্য। প্রেম, স্বাধীনতা ও অন্তরাত্মার শান্তির গূঢ় তত্ত্বে ভিত্তি করে একত্র হয়। গান গাইতে, বাদ্য বাজাতে ও বাউলদের ভক্তিসংগীতে নিজেদের নিমগ্ন করতেই এই প্রচেষ্টা। অন্তরের সুর, হঠাৎ শুরু হওয়া মিলন গান ও গভীর আধ্যাত্মিক আলাপচারিতার মাধ্যমে আমরা বাউল তত্ত্বের চিরন্তন জ্ঞান অন্বেষণ করিÑযেখানে আত্মা, গানের মাধ্যমে কথা বলে এবং সব সীমানা মিলিয়ে যায় ঐক্যে। বাউল সংস্কৃতিতে একে বলা হয় সাধুসঙ্গ। যদি তুমি কেবল প্রেম ও আত্ম-অন্বেষণের পথে আকৃষ্ট হও, তাহলে তুমিও এখানে স্বাগত।

শনিবার (১৯ জুলাই ২০২৫) বার্লিন শহরের কেন্দ্রে হাউস ডের ইউংগের মিলনায়তনটি পরিপূর্ণ হয়েছিল অসংখ্য দর্শক শ্রোতাতে। উদ্যোক্তারা অবাক হয়েছেন টিকিট কেটে এতো শ্রোতার উপস্থিতিতে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কেন বাউলদের ভক্তিসংগীত বা আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠান, তা নিয়ে কথা বলেন আবদুল্লাহ আল মামুন। ‘আত্মতত্ত্ব’ নিয়ে বাংলা এবং ইংরেজিতে কথা বলেন আনজুম আরা শাম্মী ও শামসাদ রহমান লুবনা। অনুষ্ঠানের মধ্যে লালন ও বাউল সংস্কৃতি বা সাধুসঙ্গ নিয়ে বলেন আদনান আহমেদ। আর মঞ্চে আধ্যাত্মিক সংগীত ও বাদ্য সহযোগিতায় ছিলেন ওয়াহেদ চৌধুরী, মেহেদী হাসান, উর্মিলা ঘোষ, আসিফ আবদুল্লাহ, শেখ ফায়সাল মিশখাত ও আবির মন্ডল।

সাধুসঙ্গের রীতি অনুযায়ী অনুষ্ঠান শেষে নিরামিষ খাবার পরিবেশিত হয় সৈয়দ বাবুল, আঞ্জুমান বীথি, আফরোজা খানম ও মকসুদুল হকের সহযোগিতায়।

অনুষ্ঠান শেষে শ্রোতারা সুদূর জার্মানিতে এ ধরনের আধ্যাত্মিক বাউল গানের আয়োজনের প্রশংসা করেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়