বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কচুয়ায় ওসির অপসারণের দাবিতে সড়ক অবরোধ
  •   ভারত-মিয়ানমার থেকে ৮৯৮ কোটি টাকার চাল কিনবে সরকার
  •   মেয়াদোত্তীর্ণ বীজ ও কীটনাশক পাওয়ায় দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
  •   মশার উপদ্রবে চাঁদপুর পৌরবাসী ॥ বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী
  •   শাহরাস্তিতে সিএনজি অটোরিকশা মালিক ও চালকদের সাথে পুলিশের মতবিনিময়

প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ১২:৩৫

কচুয়ায় সর্জন পদ্ধতিতে সবজি চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

মোহাম্মদ মহিউদ্দিন
কচুয়ায় সর্জন পদ্ধতিতে সবজি চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

চাঁদপুরের কচুয়ায় সর্জন পদ্ধিতে সবজি চাষাবাদ করতে আগ্রহী হয়ে উঠছে কৃষকরা । এ পদ্ধতিতে ১২ মাস বাড়ির আঙ্গিনা কিংবা পতিত জমিতে দু'পাশের পাড় বেধে সর্জন পদ্ধিতে সবজি চাষ করা হয়। নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর, চট্রগ্রাম ও চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কচুয়া উপজেলার নিচু জমিতে এই ধরনের পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে লাভবান হচ্ছে কৃষক। ইতোমধ্যে কচুয়া উপজেলার ঘাগড়া,করইশ,তুলপাই সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে সর্জন পদ্ধিতে চাষাবাদ শুরু হয়েছে ।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম লিটন জানান, সব মাটিতে বা সব আবহাওয়ায় সব ধরনের চাষ কার্যকর নয়। বছরের বেশিরভাগ সময় জলাবদ্ধতা কিংবা নিচু অনাবাদী জমি এবং যেসব জমিতে ধান চাষ করে আশানুরূপ ফল পাচ্ছেন না কৃষকরা। তাই সর্জন পদ্ধতিতে সবজি আবাদে ঝুঁকেছেন তারা।

এই সর্জন পদ্ধিতে প্রথমে জমি থেকে মাটি কেটে উঁচু করে চারদিকে পাড় বাঁধা হয়। মূল জমির মাঝে আবারো উচু করে পাড় বাধা হয়। পাড়গুলোতে সৃষ্ট নালা পুরো জমির সাথে যুক্ত থাকে ফলে পাড়ের ওপর বরবটি, শসা, করল্লা, লাউ, কুমড়া, ঝিঙা, পটল, শিম, পেপেসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা যায়। চাষ করা যায় লেবু, আম, মাল্টাসহ নানাবিধ ফল। আর নালাতে পানি পর্যাপ্ততা অনুসারে চাষ করা যায় তেলাপিয়া, রুই, কার্পসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।

ঘাগড়া গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, প্রায় দেড় একর জমি নিয়ে সর্জন পদ্ধতিতে চাষাবাদ করেছি। এ পদ্ধতির ফলে একই জমিতে মিশ্র সবজি চাষ ও মাছ চাষাবাদ করা সম্ভব। বিভিন্ন জাতের মাল্টা,আমসহ নানাবিধ ফলের চারা রোপন করা হয়েছে। স্বল্প খরচে অধিক আয়ের কারণে কৃষকদের কাছে এ পদ্ধতি হয়ে ওঠে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বলেও তিনি জানান।

করইশ গ্রামের কৃষক হাফেজ ইসমাইল হোসেন বলেন, আমার নিচু জমি রয়েছে। ফলে জলাবদ্ধতার কারনে সবজিসহ অন্য ফসলাদি চাষাবাদ করা সম্ভব নয়। কৃষি অফিসের পরামর্শে নিচু জমিতে সর্জন পদ্ধতির মাধ্যমে চাষাবাদ করেছি। আশাকরি এ পদ্ধতিতের মাধ্যমে আমি সফলতার মুখ দেখব। তুলপাই গ্রামের কৃষক মো. নজরুল ইসলাম জানান, আগে আমাদের ক্ষেতে তেমন কোনো ফলন হতো না। বর্তমানে সর্জন পদ্ধতি সবজি চাষ করছি। তাছাড়া এ পদ্ধতিতে খরচও কম।

কচুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সোফায়েল হোসেন জানান, বর্তমানে সর্জন পদ্ধতিতে শশা, বরবটি, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গাসহ উচ্চফলনশীল সবজি উৎপাদন হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে চাষীদের প্রশিক্ষণ, বীজ ও সারসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে প্রকল্পের আওতায় প্রদর্শনী স্থাপনে কৃষকদের কারিগরি প্রশিক্ষণ এবং আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়