প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:৩৮
অসময়ের বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক
বৃষ্টি থাকতে পারে আরো দুই দিন
বৈরী আবহাওয়ার কারণে অসময়ে টানা বৃষ্টিপাতে ধান, গবাদি পশুর খাবার খড় বিনষ্ট হচ্ছে। রোপিত আলুসহ শীতকালীন শাক-সবজির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বছর জুড়ে বৃষ্টি, জলাবদ্ধতা সব মিলিয়ে বার বার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। নিম্নচাপের কারণে গত শনিবার থেকে চাঁদপুর সহ দেশের বিভিন্ন বিভিন্ন এলাকায় অসময়ে বৃষ্টিপাত শুরু হয়।
|আরো খবর
তাছাড়া ফরিদগঞ্জ উপজেলা ও মতলব উপজেলা বেড়িবাঁধ এলাকার কারণে এই দুই উপজেলায় শীতকালীন শাক-সবজির আবাদ ব্যাপকহারে করা হয়েছে। অসময়ে অবিরাম বর্ষণের কারণে আমন ফসল ও শাক-সবজির অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে বলে কৃষকরা এই প্রতিনিধির কাছে অভিযোগ করেন।
ফরিদগঞ্জের উত্তর রামপুর বাজার এলাকার কৃষক ইউনুস মিয়া, সিরাজ মিয়া, গোয়াল ভাওর এলাকার কৃষক মতিন, রূপসা বাজার এলাকার এক ধান চাষী মজিবর সহ আরো ক'জন বলেন, এখন আমন ফসল ঘরে তোলার এই সময়ে বৃষ্টিপাতের ফলে জমিতে থাকা ধান গাছ মাটিতে শুয়ে পড়ছে। বৃষ্টির পানির সাথে গাছ থেকে ধান ঝরে পড়ছে। তাছাড়া নিচু জমিতে পানি জমায় ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে বালিথুবার কৃষক মহসিন, মো: টেলু, দেলু মিজি বলেন, টানা বৃষ্টিতে রোপিত আলুর মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। এছাড়া টমেটো, সরিষা, পিয়াজ, করোলা, ভটভটি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাল শাক, লাউ শাকসহ শীতকালীন শাক-সবজির ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বার বার ফসল ও সবজি ক্ষেতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কৃষকরা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। এছাড়া ইরি-বোরো ধানের বীজতলা তৈরি কারক কৃষকরা জানান, বৃষ্টি আরো কয়েকদিন থাকলে তাদের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাবে। এবং নতুন করে আবার হয়তো বীজতলা তৈরি করতে হবে। যার কারণে খরচ দ্বিগুণ বেড়ে যাবে এবং বীজ সংগ্রহ করতে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।
চাঁদপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে যে গভীর নিম্নচাপটি বয়ে যাচ্ছে, তার কারণে আগামী ৮ এ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তারপরে আবহাওয়া স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসলেও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। আজ সোমবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত ২৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
চাঁদপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: জালাল উদ্দিন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে চতুর্দিকে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কাটা ধান ও আলুসহ শাক-সবজির ক্ষতি সাধন হচ্ছে। তবে বৃষ্টিপাত বন্ধ না হওয়ার কারণে ক্ষয়ক্ষতি এখনও পুরোপুরিভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। বৃষ্টিপাত বন্ধ হওয়ার পরে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে সঠিকভাবে তথ্য দেওয়া যাবে।