প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২১, ১৯:৩১
অনলাইন শিক্ষায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজ এগিয়ে
বিশ্বায়নের এ যুগে দেশে ও বিদেশে মানসম্মত শিক্ষার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ২০০৩ সালে রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র লালমাটিয়ায় কোলাহলমুক্ত পরিবেশে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজটির যাত্রা শুরু হয়। ড্যাফোডিল ফ্যামিলির কর্ণধার, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবী ড. মো: সবুর খান কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা।
|আরো খবর
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত (ইআইআইএন: ১৩৪৫৬৪, কলেজ কোড: ১০৬৫) একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য যে, এখানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইংরেজি, বিবিএ, সিএসই, ফিন্যান্স ও মার্কেটিং বিষয়সমূহে অনার্স কোর্স চালুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:১. অভিজ্ঞ ও মেধাবী শিক্ষকমণ্ডলী দ্বারা মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা।
২. নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন যোগ্য সুনাগরিক গড়ে তোলা।
৩. শিক্ষার্থীদের দেশের যোগ্য ও সুনাগরিক হিসেবে দেশ ও সমাজের সেবা করার জন্য প্রস্তুত করা।
৪. শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীল গুণাবলির বিকাশ ঘটানো। ৫. শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটানো।
৬. শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতার উন্নয়ন ঘটানো এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত করা।
৭. প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে দেশে ও বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তোলা।
৮. শিক্ষার্থীদের মনোদৈহিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ নিশ্চিত করা।
৯. সহপাঠ কার্যক্রমকে উৎসাহিত করা এবংনেতৃত্বের গুণাবলির বিকাশ ঘটানো।
১০. শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা এবং সময়নিষ্ঠা চর্চায় উৎসাহিত করা এবং তাদেরকে দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করা। ১১. প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা।
১২.কলেজটিকে একটি আধুনিক ও শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা। বৈশিষ্ট্যসমূহ:
১. জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের পাঠ্যসূচি অনুযায়ী বাংলা মাধ্যম ও ইংরেজি ভার্সনে শিক্ষা।
২. নিয়মিত সাপ্তাহিক পরীক্ষা, মাসিক পরীক্ষা এবং অন্যান্য মূল্যায়ন পরীক্ষার ব্যবস্থা।
৩. দক্ষ এবং অভিজ্ঞ শিক্ষকদের দ্বারা মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা।
৪. নিয়মিত গাইড শিক্ষকের তত্ত্বাবধান।
৫. আবশ্যিকভাবে কম্পিউটার শিক্ষার ব্যবস্থা।
৬. অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য আর্থিক সুবিধা।
৭. রাজনীতি ও ধূমপানমুক্ত পরিবেশ। সুবিধাদি :
১. নিজস্ব সুপ্রশস্ত কলেজ ভবন ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শ্রেণিকক্ষ।
২. কলেজের অবস্থান অনুযায়ী উন্নত যোগাযোগ সুবিধা।
৩. এ+ প্রাপ্তদের জন্য বিশেষ সুবিধা।
৪. উন্নতমানের ল্যাব, লাইব্রেরি ও ইন্টারনেট সুবিধা।
৫. শিক্ষার্থীদের জন্য হোস্টেলের সুবন্দোবস্ত।
৬. এইচএসসি-তে মান উন্নয়নসহ শতভাগ পাসের সুযোগ।
৭. নিরাপদ পানির সুবন্দোবস্ত ।
৮. পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত ক্যাম্পাস ।
৯. দরিদ্র এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ আর্থিক সুবিধা।
১০. ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজ (ডিআইসি) হতে এইচএসসি-উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) সহ জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের অধিভূক্ত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটি, এমিনেন্স কলেজ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাডেমি তে ভর্র্তিও ক্ষেত্রে ২০% থেকে ১০০% পর্যন্ত বৃত্তি।
নিয়ম-কানুন: শিক্ষাবর্ষ দুটি টার্ম/পর্বে বিভক্ত। একাদশ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রমোশন পেতে হলে ৭৫% ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হবে। তাছাড়া কলেজে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় নির্ধারিত গ্রেড পয়েন্ট (বিজ্ঞান শাখায় জিপিএ ৩ এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় জিপিএ ২.৫) না পেলে এবং শ্রেণি-উপস্থিতি সন্তোষজনক না থাকলে বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয় না। অন্যান্য নিয়ম-কানুনগুলো
নিম্নরূপ:
১. কলেজ ড্রেস ও আইডি কার্ডসহ নিয়মিত কলেজে আসা আবশ্যক।২. পাঠ্য বই ও লেকচার শিটসহ নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হবে।
৩. ক্লাস চলাকালীন মোবাইল ফোন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকতে হবে।
৪. ক্লাস চলাকালীন শিক্ষকের অনুমতি ছাড়া শ্রেণিকক্ষ ত্যাগ করা যাবে না।
৫. সহপাঠীদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করতে হবে।
৬. ক্লাসরুম, লাইব্রেরি, আইসিটি ল্যাব, সায়েন্স ল্যাব, ক্যান্টিন, করিডোরসহ কলেজের সামনে হৈচৈ এবং উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ৭. সকল পরীক্ষায় (মাসিক পরীক্ষা, অর্ধ-বার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষা, প্রাক-নির্বাচনি ও নির্বাচনি পরীক্ষা, মডেল টেস্ট) নিয়মিত অংশগ্রহণ করতে হতে হবে এবং সকল বিষয়ে কৃতকার্য হতে হবে। ৮. পরীক্ষার হলে অসদাচরণ ও অসদুপায় অবলম্বন করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
৯. কলেজের শিক্ষা- সহায়ক কার্যক্রমে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতে হবে। ১০. মা-বাবা/স্থানীয় অভিভাবক ছাড়া অন্য কাউকে অভিভাবক হিসেবে কলেজে হাজির করা যাবে না।
১১. নিয়মিত গাইড শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে এবং ফোন নম্বর ও বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন হলে সঙ্গে সঙ্গে তা কলেজ অফিস ও গাইড শিক্ষককে জানাতে হবে।
১২. সর্বদা কলেজের প্রশাসন, শিক্ষকমণ্ডলী এবং সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে সদাচরণ করতে হবে।
১৩. কলেজ ক্যাম্পাসে ধূমপান ও রাজনৈতিক কার্যকলাপ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
১৪. কলেজের বেতনাদি নিয়মিত পরিশোধ করতে হবে।
উপর্যুক্ত নিয়মাবলি মেনে চলতে ব্যর্থ হলে কলেজ কর্তৃপক্ষেও যে কোনো সিদ্ধান্ত নিঃশর্তভাবে মেনে নিতে বাধ্য থাকতে হবে। কলেজের সফলতা: বোর্ড পরীক্ষায় পাসের হার জিপিএ-৫ সহ শতভাগ । কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা দেশের স্বনামধন্য সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে, অনেক শিক্ষার্থী বিদেশেও উচ্চ শিক্ষা নিচ্ছে। এটা আমাদের জন্য কৃতিত্ব ও গৌরবের বিষয়। কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি সংগঠন (এলামনাই এসোসিয়েশন) রয়েছে।
করোনাকালীন কার্যক্রম: করোনাকাতর পৃথিবীর যন্ত্রণাময় জীবনের বিবর্ণ রূপ, বাঁচার আকাঙ্ধসঢ়;ক্ষা প্রবল, নিঃশেষিত অক্সিজেন, চারিদিকে আক্রান্ত মানুষের আর্ত চিৎকারে ভারি হয়ে আছে আকাশ বাতাস। এভাবেই কেটে গেল প্রায় দেড় বছর।
করোনাকালে গৃহবন্দী মানুষ; বন্ধ স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় । বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় সকল স্তরের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী যেখানে অনেকাংশে দিকভ্রান্ত কিংবা হতাশায় নিমজ্জিত, সেখানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজ আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক এই ত্রিমাত্রিক প্রয়াসের সমন্বয়ে করোনা অতিমারির শুরু থেকেই শ্রেণি কার্যক্রমসহ প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বিভিন্ন প্লাটফর্ম (যেমন জুম, গুগল ক্লাসরুম ইত্যাদি ) ব্যবহার করে অনলাইনে ০৯ টি শাখায় প্রায় ১৪,০০০ টি তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়েছে। ড্যাফোডিল এডুকেশন নেটওয়ার্ক্#৩৯;র ২৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেষ্ট প্রাক্টিসগুলো সমন্বয় করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজ শিক্ষার্থীদের নিবিড়ভাবে সেবায় দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে । বর্তমানে ড্যাফোডিল গ্রুপের নিজস্ব প্লাটফর্ম শিক্ষার্থীদের বাড়ির কাজগুলোর প্রতি পর্যাপ্ত গুরুত্ব দিয়ে তাদেরকে যথাযথ অনুশীলনের
আওতায় আনা হয়েছে এবং কুইজ, হ্যান্ডনোট, অ্যাসাইনমেন্ট ইত্যাদি আদান-প্রদান করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের উৎসাহ এবং শিক্ষকবৃন্দের আন্তরিকতায় প্রতিটি ক্লাস হয়ে উঠছে প্রাণবন্ত। জাতীয় দিবসসমূহ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে নিয়মিত। অনুষ্ঠিত হচ্ছে নানা প্রকার অনলাইনভিত্তিক সৃজনশীল প্রতিযোগিতা। মানবিক উদ্যোগ : ‘মানুষ মানুষের জন্য’ মানবতার এই মহান বাণীকে বাস্তবে রূপ দিতে নানারকম মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যেমন দরিদ্র অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, মানবতার দেয়াল স্থাপন, দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষা গ্রহণ কার্যকর করতে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মোবাইল প্রদান, এইচএসসি-পরবর্তী উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের উপযোগী করে গড়ে তুলতে বিশেষভাবে শিক্ষাদান ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাকরণ, শিক্ষার্থীদের ঈধৎববৎ গধঢ়ঢ়রহম অনুযায়ী শিক্ষাদান ইত্যাদির মাধ্যমে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজ সর্বদা মানবিক কর্মকাণ্ড সম্পাদনে সচেষ্ট রয়েছে।
সার্বিক বিচারে শিক্ষাক্ষেত্রে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজের অর্জন ও সাফল্য ঈর্ষণীয় ।