প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৩, ০০:০০
নান্দনিক নির্মাণশৈলীর এক বিদ্যানিকেতন শাহাবুদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ
ইলিশের শহর চাঁদপুরের পাশে এক নিভৃত পল্লীর একটি বিদ্যানিকেতনের নাম শাহাবুদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে অনন্য স্থাপত্যকলার এই বিদ্যানিকেতনের সুনাম এখন দেশের গন্ডি পেরিয়ে পৌঁছে গেছে বিশ্ব দরবারে।
চাঁদপুর সদরের এক নিভৃত গ্রামের নাম লক্ষ্মীপুর। আর এই নিভৃত গ্রামেই শিশুদের জন্যে গড়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন নির্মাণশৈলীর এই স্থাপনা। ভিন্নমাত্রার শিশুবান্ধব এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছেন চাঁদপুরের কৃতী সন্তান, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মোঃ শাহাবুদ্দিন অনু। তিনি প্যাসিফিক অ্যাসোসিয়েট লিমিটেড ঢাকা-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)।
এলাকায় জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে শাহাবুদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ সহ নিজের নামে একটি কমপ্লেক্স করার পরিকল্পনা রয়েছে তার। যার প্রথম ধাপ এই স্কুলটি এবং নান্দনিক সৌন্দর্যমণ্ডিত মসজিদ।
দোতলা শিক্ষা ভবনে প্রবেশ করতেই হাতের ডান পাশে রয়েছে নানা কারুকাজের সৌন্দর্যমণ্ডিত একটি মসজিদ। এর অন্যপ্রান্তে শিশুদের খেলার মাঠ। তার পূর্বদিকে লুকোচুরি খেলার বিশেষ কক্ষ। আছে শহীদ মিনারও। আর খেলার মাঠ তো আছেই। মূল ভবনটি ইট কংক্রিটের হলেও একে নান্দনিক করে তুলতে ব্যবহার করা হয়েছে কাঠ এবং নানা রঙের ঢেউটিন। শ্রেণিকক্ষ অনেকটা খোলামেলা। তবে দিনের চেয়ে রাতে আরো রঙিন হয়ে উঠে নান্দনিক এই স্থাপনা। রঙিন আলোর ঝলকানিতে তখন একটা মায়াবী আবেশ তৈরি হয় যেখানে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে প্রায় দেড় একর জায়গাজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এখানে খেলাধুলা ও আনন্দের সঙ্গে শিশুদের মানবিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার এক অনন্য প্রয়াস পরিলক্ষিত হয়। নার্সারি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত এখানে পড়াশোনা চলছে। প্রতিষ্ঠানটির মুখ্য উদ্দেশ্য ব্যবসা নয়। তাই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতনও নেয়া হচ্ছে নামমাত্র। বর্তমানে নার্সারি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান চললেও আগামীতে অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠানটিকে কলেজ পর্যন্ত উন্নীত করার ইচ্ছা রয়েছে। স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা শাহাবুদ্দিন অনু ঢাকার একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি তার মামার বাড়ির পাশে এমন একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখেন। আজ তা বাস্তবে রূপ পেয়েছে।
ভোরে পাখির কিচির মিচিরে যেমন মানুষের ঘুম ভাঙে, ঠিক একইভাবে শিশুদের কলকাকলীতে এখানে প্রকৃতি জেগে উঠে। কবি বন্দে আলী মিয়ার লেখা ‘পাখি সব করে রব, রাতি পোহাইল। কাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল’ ছড়াটির মতোই শিশুদের নিয়ে একাকার চাঁদপুরের শাহাবুদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ। প্রতিদিন শরীরচর্চার মধ্য দিয়ে এই স্কুলে শিশুদের পাঠদান শুরু হয়। এরপর শ্রেণিকক্ষে বইয়ের সঙ্গে শিশুদের চলে মিতালী। আনন্দের সঙ্গে পাঠদানে শিক্ষকরা খুঁজে পান শিশুদের নানা প্রতিভা। আপাতত বাংলা মাধ্যমে নার্সারি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হচ্ছে এখানে।
শ্রেণিকক্ষে শিশুদের আনন্দ ও গল্পের সঙ্গে পাঠদান করা হয়। শিক্ষার্থীরাও বেশ মেধাবী।