প্রকাশ : ২০ মে ২০২৩, ১৭:৪১
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে- শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিএমপি বলেছেন, সময় বদলেছে তাই এখন আমরা প্রতিযোগিতাময় শিক্ষা ব্যবস্থা বাদ দিয়ে সহযোগিতা ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নিচ্ছি। যাতে করে শিক্ষার্থীরা গতানুগতিক পাঠদান থেকে বেরিয়ে এসে কর্মজগতের সাথে মিল রেখে শিক্ষার্জন করতে পারে।
|আরো খবর
২০ মে শনিবার দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম উদ্বোধন ও নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, উচ্চ শিক্ষাসহ শিক্ষার প্রতিটি ক্ষেত্রে গুনগত মান অর্জন করতে চাই। শিক্ষায় রূপান্তর ঘটানোর জন্য সারা বিশ্বে যে চেষ্টা চলছে আমরা তার অগ্রভাগে আছি। ইতোমধ্যে আমরা আমাদের নতুন শিক্ষাক্রম চালু করেছি। যার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা চিন্তা করতে ও সমস্যা সমাধান করতে শিখবে, তারা মননশীল হবে এবং তারা মানবিক সৃজনশীল মানুষ হবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক মেধাবী।
মন্ত্রী বলেন,শিক্ষার জন্য একটি পরিবেশের প্রয়োজন রয়েছে। এখন এই বিশ্ববিদ্যালয়টি অস্থায়ী ক্যাম্পাসে হলেও শীঘ্রই যাতে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে পারে সেদিকে কাজ করছি। আশা করছি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে এই বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামছুল আলম বলেন, সরকারি চাকরি টার্গেট করে যাতে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা না করে সেলক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার। কারন সরকার চায় শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরির চাইতেও বেশি উপার্জনে পারদর্শী হউক। আর তাই শেখ হাসিনা সরকার প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা করছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. নাসিম আখতার বলেন, আমি ভাড়া বাসায় ক্যাম্পাসটি চালুর মধ্য দিয়ে বীজ বপন করলাম। এর সুফল এখানে অধ্যয়নরতরাই একসময় পাবে। সারাদেশের অন্য সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইতে এটির শিক্ষা কার্যক্রম হবে মডেল। আমি আশাবাদি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একসময় দেশের জন্য সম্পদে পরিণত হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজ বেগম, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. হাবিবুর রহমান,একুশে পদক প্রাপ্ত প্রফেসর গৌতম বুদ্ধ, চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বিপিএম, চাঁদপুর প্রেসক্লাবে সভাপতি এ এইচ এম আহসানউল্লাহ, চাঁদপুর পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত নারী মুক্তিযুদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ড. সোহেলা আক্তার, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক বায়েজিদ আহমেদ রনি, শিক্ষার্থী সুদীপ্ত ঘোষ তুর্যসহ অন্যরা।অনুষ্ঠানে ফুলেল শুভেচ্ছায় নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়। এসময় শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, রাজনৈতিক, শিক্ষার্থী ও সুশিল সমাজের প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণীপেশার লোক উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শিক্ষাকার্যক্রমে তিনটি বিভাগে ৯০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।