প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২২, ১৪:৪১
বিশ্বের প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশি শুভ্রের অর্জন
বিশ্বের প্রাচীন ও ইউরোপের বিখ্যাত বিশ্ব বিদ্যলয় লা সাপিয়েন্সা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ইন কম্পিউটার সাইন্সয়ে এ পোস্ট-গ্র্যাজুয়েশন করে তাক লাগিয়ে দিলেন বাংলাদেশি যুবক মোঃ রেজোয়ান হোসেন শুভ্র। সে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এ সম্মাননা অর্জন করেছে। শুভ্র পেশায় একজন কম্পিউটার প্রকৌশলী। জানা গেছে,বাংলাদেশে সাড়ে ৩ বছর বুয়েটের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যাক অফিস প্রজেক্ট, লিডস-সফট ও মিডিয়া সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরির পরে স্নাতকত্তোর ডিগ্রী অর্জন করতে ইতালির রোমে আসে। এর আগে শুভ্র শিক্ষা কালীন সময়ে ইরাস মাস প্লাস (ERASMAS+EXCHANE PROGRAMM) স্কলারশিপ নিয়ে স্কটল্যান্ডের হ্যারিয়ট-ওয়াট ইউনিভার্সিটি থেকে একটি সেমিস্টারের তিনটি কোর্স সম্পন্ন করে এবং ডিপ লার্নিং বেজড পারসন আইডেনটিফিকেশন ইউজিং টুডি আউটার ইয়ার ইমেজেবএর উপর তার গবেষনা সম্পন্ন করেছে। ভবিষ্যতে এই বিষয়ের উপর বিষদ গবেষনা করার আশা প্রকাশ করে সে। এছাড়া শুভ্র ভবিষ্যতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও মেশিণ লার্নিং
এর উপর পিএইচডি অর্জনের পরিকল্পনা রয়েছে।
এই সফলতা বিষয়ে শুভ্র বলেন,অর্জন তখন সম্ভব যখন নিজে সেটা মনে প্রাণে চাওয়া হয়। এরমধ্যে যত বাধা-বিপত্তির সব সমাধানের রাস্তা নিজেকেই বের করে সামনে এগুতে হবে। সময় গুলো হয়তো সব সময় সমান যায় না, কিন্তু সেই সময়কে ধরে না রেখে আগামীকালের সূর্যদয়ের দিকে আগ্রহ দেখালে একটা সময় প্রাপ্তি চলেই আসে। শুভ্র আরও বলেন, বাংলাদেশ গবেষণার দিক থেকে আগানো এখন সময়ের দাবি। আরটিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স এবং মেশিন লার্নিং এ ইতালির ইউনিভার্সিটিতে লব্ধ গবেষণাকে বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজে লাগানো সম্ভব। তাছাড়া এখান থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী দেশে ফিরে গিয়ে তার অর্জিত গবেষণার প্রয়োগ এবং আরো উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের গবেষণাকে বিশ্বমানের করে তোলা সম্ভব। যার ফলে বিশ্বের মাঝে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধা আরেক ধাপ এগিয়ে যেতে পারে বলে আমার বিশ্বাস। উল্লেখ্য, ইতালির রোম শহরে অবস্থিত এ এটি রাষ্ট্রীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয় যা ১৩০৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। সি ডব্লিউ ইউ আর(CWUR) র্যাঙ্কিং (সেন্টার ফর ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং) অনুযায়ী,২০২২-২০২৩ সালে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ইতালীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নিশ্চিত করা হয়েছে। ২০২২ এর হিসেব অনুযায়ী ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। এর ফলে এটি ইউরোপের বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়।