শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২২, ১৯:৪০

ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে দক্ষিণ-পশ্চিম বিষকাটালী সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের কাজ বন্ধ

ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে দক্ষিণ-পশ্চিম বিষকাটালী সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের কাজ বন্ধ
এমরান হোসেন লিটন

চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৮৪ দক্ষিণ-পশ্চিম বিষকাটালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান চলছে অসমাপ্ত ভবনে। ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে স্কুলের ভবন নির্মাণ কাজ বিলম্ব হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। এদিকে ছাত্র-ছাত্রীরা পাঠ দান করছে অসমাপ্ত জরাজীর্ণ ভবনে। এমন পরিবেশে পাঠদান কার্যক্রম চলায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে অনেক শিশু শিক্ষার্থী। অনেকে আবার স্কুলে আসার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।

জানা যায়, দরপত্রের মাধ্যমে ৬২ লাখ টাকার বিনিময়ে একতালা ভবনের এ কাজটি হাইমচর উপজেলার আলগী বাজার এলাকার ভাই ভাই ব্রিকফিল্ডের মালিক নুরুল ইসলাম নান্টু’ নামের এক ঠিকাদার নতুন এই একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ পায়। এক বছর সময়সীমা বেঁধে দিয়ে ২০২০ সনের এপ্রিল মাসে নির্মাণের কার্যাদেশ পেয়ে কাজ শুরু হয়। ঠিকাদার এক বছরে কাজ সম্পন্ন করে দেওয়ার কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত কাজের কোনো শেষ নেই। এদিকে শ্রেণিকক্ষের অভাবে অসমাপ্ত ভবনেই চলছে শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান। স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪২ জন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অসমাপ্ত ভবনের রুমগুলোতে কোনরকমে বসে শিশু শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষকরা। সরু ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে পাঠদান কার্যক্রম। শিক্ষার্থীরা বলছে, উপকরণ ব্যবহার করা যায় না। মাঝে মাঝে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পড়াশুনায় মনোযোগও নষ্ট হচ্ছে তাদের।

মিজানুর রহমান ও শফিক মিয়া নামের দুই অভিভাবক বলেন, লেখাপড়ার পরিবেশ না থাকায় শিক্ষার্থীরা ঠিকমত বিদ্যালয়ে যাচ্ছে না। এছাড়াও কয়েক শিক্ষার্থী রোদ-বৃষ্টি কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ায় অভিভাবকরা শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। আশা করি কর্তৃপক্ষ দ্রুত ভবন নির্মাণে ও কাজ শেষ করে বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনবেন।

প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদির জানান, আমরা যে ভবনে আছি, এই ভবনে একসঙ্গে দুইটি শ্রেণির ক্লাস নেওয়া সম্ভব হলেও অন্যান্য শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে সমস্যা হচ্ছে। যার কারনে ম্যানিজিং কমিটির সহায়তায় অসমাপ্ত ভবনের রুমে শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। এ অস্বস্তিকর পরিবেশের কারণে শিক্ষার্থীদের মাঝে মানসম্মত শিক্ষা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।তিনি আরো বলেন, নান্টু মিয়া নামের এই কন্টাক্টার গত প্রায় দুই বছর আগে কাজ অসমাপ্ত রেখে চলে যায়। তাকে ফোন করলে কাজ করে দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন। এই বলে গত দুই বছর কাটিয়ে দিচ্ছেন। প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, নান্টু মিয়া আরো অনেক স্কুলের কাজ অসমাপ্ত রেখে অধ্যবধি করে দেয়নি।

দক্ষিণ-পশ্চিম বিষকাটালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি এস এম মিজানুর রহমান বলেন, নির্মাণ কাজে ঠিকাদারের গাফিলতি বিব্রত বোধ করার মতো। প্রথম অবস্থায় তিনি দ্রুত গতিতে কিছু কাজ করলেও গত দুবছর আর কাজের কাছে আসছে না। সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও কাজ শেষ করছে না। সে কি করতে চায় সেটাও আমাদেরকে জানায়নি।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মতিউর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ঠিকাদার নুরুল ইসলাম সেন্টু আজ আমার অফিসে এসেছিলেন এবং তিনি কথা দিয়েছেন আগামী দেড় মাসের মধ্যে ওই বিদ্যালয়ের কাজ সমাপ্ত করে দিবেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়