প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২১, ২০:৫৮
প্রফেসর এম লুৎফর রহমানের দ্বিতীয় মেয়াদে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র উপাচার্য পদে যোগদান
দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, আন্তর্জাতিক তথ্যপ্রযুক্তি গবেষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান গত ১১ জুলাই ২০২১ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র উপাচার্য হিসাবে দ্বিতীয় মেয়াদে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেছেন। প্রথম মেয়াদে ২০ এপ্রিল ২০১১ থেকে ১৯ এপ্রিল ২০১৫ পর্যন্ত তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
|আরো খবর
প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান ১৯৬৭ ঢাকায় আনবিক শক্তি কমিশনের ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত তিনি লিবিয়ার বেনিওয়ালিদে হায়ার ইন্সটিটিউট অব ইলেক্ট্রনিক্সে কম্পিউটার বিভাগে লেকচারার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ১৯৮৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এপ্লায়েড ফিজিক্স, ইলেক্ট্রনিক্স এবং কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করেন। ১৯৯২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স (বর্তমানে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং )বিভাগ চালু করা হলে তিনি তার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সেন্টার (বর্তমানে ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি) এর পরিচালক এর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তির বিকাশে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে ১৯৯৮ সালে দেশে প্রথম কম্পিউটিং এন্ড ইনফরমেশন সিষ্টেম এর উপর জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় যা পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন হিসাবে নিয়মিত আয়োজিত হচ্ছে । ২০০৪ সালে তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের ডীন (খন্ডকালীন) হিসাবে যোগ দেন। ২০০৮ সালে তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্যাবর্তন করেন এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের ডীন (খন্ডকালীন) হিসাবে যোগ দেন।
তিনি ১৯৪৪ সালে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬০ সালে তিনি পীরগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয় থেকে ম্যাট্ট্রিকুলেশন পাস করেন এবং ১৯৬২ সালে রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিপ্পাশ করেন। ১৯৬৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিদ্যায় বি এসসি ( অনার্স) এবং ১৯৬৬ সালে এম এসসি পাশ করেন। তিনি ১৯৭২ সালে ইংল্যান্ডের লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রনিক এবং ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে এম এসসি এবং ১৯৭৬ সালে পি এইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। তার রচিত প্রায় দুইশো’র বেশী গবেষনা পত্র ও অসংখ্য বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিবিষয়ক প্রবন্ধ রয়েছে। তার রচিত কয়েকটি বই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পাঠ্য পুস্তক হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ২০১০ সালে তিনি বাংলাদেশ ইলক্ট্রনিক্স সোসাইটির সভাপতি নির্বাচিত হন।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং এক কন্যা সন্তানের জনক। তার স্ত্রী ওয়াসিয়া রহমান ঢাকায় একটি বেসরকারী কলেজে অধ্যাপনা করেন এবং একমাত্র কন্যা সুজানা রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্স বিষয়ে স্নাতক এবং অষ্ট্রেলিয়ার নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এপ্লায়েড ফিন্যান্সে এমএসসি অর্জনের পর বর্তমানে কমনওয়েলথ ব্যাংক অব অষ্ট্রেলিয়ায় কর্মরত।