প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২১:৪৮
হাজীগঞ্জে এইচএসসিতে পাশের হার ৯৭,আলিমে ১০০
রোববার প্রকাশিতব্য এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে হাজীগঞ্জ উপজেলায় মোট পাশের হার ৯৭.১২। উপজেলা থেকে চলতি বছর ৩ হাজার ১২১ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৩ হাজার ৩১ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ (এ প্লাস) পেয়েছে ৪০৫ জন ও এ গ্রেড ১ হাজার ৫৭৯ জন, এ মাইনাস ৬৮৫ জন, বি গ্রেড ২৬৭ জন, সি গ্রেড ৯২ জন, ডি গ্রেড ৩ এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৯০ জন।
উপজেলার ৯টি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০১ জিপিএ-৫ নিয়ে প্রথম অবস্থানে রয়েছে হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল কলেজ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার ১শ ৭৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১ হাজার ১শ ৩১ জন। পাশের হার ৯৬.২৬। এছাড়াও এ গ্রেড ৬শ ৬০ জন, এ মাইনাস ১শ ৮৬ জন, বি গ্রেড ৬০ জন, সি গ্রেড ২৪ জন, এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৪৪ জন।
উপজেলার অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাজীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ ১শ ৩৬ জিপিএ-৫ নিয়ে উপজেলা পর্যায়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কলেজটি। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৮শ ৪২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৮শ ১৬ জন। পাশের হার ৯৮.৩৭। এছাড়াও এ গ্রেড ৪শ ৪৫ জন, এ মাইনাস ১শ ৭৯ জন, বি গ্রেড ৪৯ জন, সি গ্রেড ৬ জন, ডি গ্রেড ১ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ২৬ জন।
৩৩ জন এ প্লাস নিয়ে উপজেলার মধ্যে ৩য় অবস্থানে রয়েছে ধড্ডা মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ১শ ৮৫ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাশ করেছে। এছাড়াও এ গ্রেড ১শ ১৩ জন, এ মাইনাস ৩২ জন, বি গ্রেড ১ জন ও সি গ্রেড ৬ জন।
হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২শ ৪০ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ২শ ৩০ জন। পাশের হার ৯৫.৮৩। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন, এ গ্রেড ৭২ জন, এ মাইনাস ৭৮ জন, বি গ্রেড ৫১ জন, সি গ্রেড ২৪ জন, ডি গ্রেড ১ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১০ জন।
নাসিরকোট শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজ থেকে ২শ ৩০ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ২শ ২৯ জন। পাশের হার ৯৯.৫৭। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন, এ গ্রেড ৯০ জন, এ মাইনাস ৭৫ জন, বি গ্রেড ৪২ জন, সি গ্রেড ১৭ জন, ডি গ্রেড ১ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১ জন।
বলাখাল মকবুল আহমেদ ডিগ্রি কলেজ থেকে ১শ ৫০ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১শ ৪৫ জন। পাশের হার ৯৬.৬৭। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন, এ গ্রেড ৪৮ জন, এ মাইনাস ৪৮ জন, বি গ্রেড ৩২ জন, সি গ্রেড ১৪ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৫ জন।
দেশগাঁও ডিগ্রি কলেজ থেকে ১শ ২৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১শ ২৬ জন। পাশের হার ৯৭.৬৭। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ জন, এ গ্রেড ৪৮ জন, এ মাইনাস ৩৫ জন, বি গ্রেড ২৪ জন, সি গ্রেড ১ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৩ জন।
কাকৈরতলা জনতা কলেজ থেকে ১শ ৫৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সবাই পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন, এ গ্রেড ৯৮ জন, এ মাইনাস ৪৮ জন ও বি গ্রেড ৫ জন।
হাজীগঞ্জ কমার্স কলেজ থেকে ১৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১৩ জন। পাশের হার ৯২.৮৬। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, এ গ্রেড ৫ জন, এ মাইনাস ৪ জন, বি গ্রেড ৩ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১ জন।
অপরদিকে উপজেলার ১৩ টি মাদ্রাসা ৬শ ৯৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৪শ ৯৭ জন। পাশের হার ৯৯.৬০। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩৩ জন, এ পেয়েছে ২শ ১৪ জন, এ মাইনাস পেয়েছে ১শ ৩৭ জন। এর মধ্যে হাজীগঞ্জ আহম্মদিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে ১শ ১৫ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাশ করেছে। এ প্লাস পেয়েছে ১৬ জন। বাকিলা ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ৩৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৩৩ জন,পাশের হার ৯৭। বেলচোঁ কারিমাবাদ ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ৪৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাশ করেছে। নওহাটা ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ৪৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাশ করেছে,এ প্লাস পেয়েছে ৭ জন। নেছারাবাদ ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ৪০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাশ করেছে,এ প্লাস পেয়েছে ১ জন। রাজারগাঁও ফাজিল মাদ্রাসা খেকে ৪৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাশ করেছে,এ প্লাস পেয়েছে ৭ জন। রামচন্দ্রপুর ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ১৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাশ করেছে। সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ২০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাশ করেছে,এ প্লাস পেয়েছে ১ জন। ছালেহ আবাদ ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ৩৫ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাশ করেছে। সুহিলপুর এবিএস ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ১৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাশ করেছে। বলাখাল এনএমএন আলিম মাদ্রাসা থেকে ২৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ২৫ জন,পাশের হার ৯৭,এ প্লাস পেয়েছে ১ জন। কাকৈরতলা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে ১৭ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাশ করেছে। কাপাইকাপ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে ৪০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাশ করেছে।