প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১৪
৪০০ মুসল্লির জন্যে নান্দনিক নির্মাণশৈলীতে নির্মাণ হচ্ছে ‘টানেল মসজিদ’

চারপাশে সবুজ গাছ আর ফলবাগানে ঘেরা ৪০০ মুসল্লির নামাজের জন্যে নির্মান হচ্ছে টানেল মসজিদ। ভিম ও কলাম ছাড়াই অপূর্ব এই জামে মসজিদটি আরসিসি ঢালাইয়ে টালেন আকৃতিতে নির্মাণ করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার দালালবাজার ও রায়পুর উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের শেষ সীমান্তে মহাদেবপুরের প্রত্যন্ত গ্রামে সবুজে ঘেরা প্রকৃতির মাঝে নজর কাড়া ভিন্ন আদলে নির্মাণ করা এই মসজিদ। যার নাম বাইতুল মামুর মসজিদ। টানেল সদৃশ হওয়ায় এটি পরিচিতি পেয়েছে ‘টানেল’ মসজিদ নামে। এর নান্দনিক নির্মাণশৈলী মুগ্ধ করে সবাইকে। মনে হয় যেন সবুজে ঘেরা প্রকৃতির মাঝে অপূর্ব সৌন্দর্যের নিদর্শন এই মসজিদ।
অপরূপ সুন্দর এই মসজিদটি নির্মাণ করেছেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক, শিল্পপতি ফরহাদ হোসেন নেহাল চৌধুরী।
সরেজমিন দেখা যায়, মসজিদটির মাত্র ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়। পুরোপুরি সম্পন্ন হতে এখনো অনেক সময় বাকি। এর মধ্যেই মসজিদটির সৌন্দর্যে বিভোর মুসল্লি ও দর্শনার্থীরা। স্থানীয় গ্রামবাসীও খুশি, কারণ দূরদূরান্তের ইসলামভক্ত মানুষজন তাদের গ্রামে ছুটে আসছেন মসজিদটি দেখার ও নামাজ আদায়ের জন্যে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শিল্পপতি নেহাল চৌধুরী ২০২১ সালে মহাদেবপুর গ্রামে তার বাড়ির সামনে মসজিদটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন। ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান এর ডিজাইন করেন। এখনো পর্যন্ত মসজিদের ৭০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হলেও পুরো কাজ শেষ হতে সময় লাগবে। তখন এর সৌন্দর্য বাড়বে বহুগুণ। এখনই দল বেঁধে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করতে আসেন।
চারপাশে সবুজ গাছগাছালিতে ঘেরা মসজিদটিতে দেওয়ালের পরিবর্তে এর পশ্চিম ও পূর্ব পাশে গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে। দুই পাশে লম্বা জানালা রয়েছে। দুপুর বেলা পুকুরে মসজিদটির অপূর্ব প্রতিবিম্ব দেখা যায়। রাতে মসজিদের ভেতরের লাইটের আলো জ্বলে উঠলে এর সৌন্দর্য দ্বিগুণ হয়ে উঠে। একই সঙ্গে সামনের পুকুরের পানিতে মসজিদটির প্রতিফলনের চিত্র ফুটে উঠে। তখন মনে হয় এটি অপূর্ব শিল্পকর্ম। এমন স্থাপনা আশপাশে কোথাও দেখা যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, কোনো ভিম বা কলাম নেই। দুই স্তরের রড দিয়ে নিচ থেকে ৫০ ইঞ্চির ঢালাই থেকে ওপর দিকে ১০-১৫ ইঞ্চির ঢালাই দেওয়া হয়েছে। আলো-বাতাসের জন্যে ওপরেও গ্লাস দিয়ে জানালা দেওয়া হয়েছে। এখনো অনেক কাজ বাকি আছে। এর মধ্যেই মসজিদটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন ছুটে আসেন। খোলামেলা পরিবেশে এটি ব্যতিক্রম স্থাপনা।
মাহফুজ আলম নামের এক মুসল্লি জানান, আমার বসবাস রায়পুর শহরে। একটা কাজে এসে মসজিদটি দেখে নামাজ আদায়ে খুব ভালো লেগেছে। আরেক মুসুল্লি পরান মাহমুদ বলেন, মসজিদটি দেখতে দারুণ লাগে। মসজিদের কিছু ড্রোন শট ভিডিও ও ছবি ফেসবুকে দেখেছি। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন ছুটে আসছে মসজিদটি দেখতে, নামাজ পড়তে। পাশাপাশি গ্রামটিও এখন পরিচিতিও পাচ্ছে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম মুরাদ বলেন, মসজিদের কাজ এখনো শেষ হয়নি, ৩০ শতাংশ কাজ বাকি রয়েছে। পুরো কাজ শেষ হলে বৃহত্তর নোয়াখালীতে সৌন্দর্যের দিক দিয়ে অন্যতম সেরা একটি মসজিদ হবে এটি।







