মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৫৯

রায়পুরে যুবকের লাশ উদ্ধার।। আ'লীগ নেত্রীসহ ১০ জনের নামে হত্যা মামলা

রায়পুরে যুবকের লাশ উদ্ধার।। আ'লীগ নেত্রীসহ ১০ জনের নামে হত্যা মামলা
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি।

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আরিফ হোসেন (৪০) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার পৌরসভার পশ্চিম কেরোয়া গ্রামের এলএম পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনের সাহাবুদ্দিন মৌলিভির বাড়ির সুপারি বাগান থেকে আরিফের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত আরিফ হোসেন রায়পুর পৌরসভার গোলাম রহমান সর্দার বাড়ির মানিক মিয়ার মেজো ছেলে ও শহরের ফার্নিচার কর্মচারী।।

হত্যার ঘটনায় নিহতের ছোট বোন নাসরিন আক্তার বাদি হয়ে রায়পুর উপজেলার আ'লীগ সভানেত্রী শামছুন্নাহার লিলি ও মামুন সর্দারসহ ১০ ব্যাক্তির নামে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন, যার মামলা নং-৩২, (১৯/১০/০২৫)।

মামলার এজাহারে জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরে রায়পুর পৌরসভার পশ্চিম কেরোয়া গ্রামের সাহাবুদ্দিন মৌলভির বাড়ির আরিফের পরিবারের সাথে একই বাড়ির বাসিন্দা ও রায়পুর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শামছুন্নাহার লিলি ও মামুন সর্দারের পরিবারের ৪১ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো। এ জমির বিরোধ মীমাংসায় সম্প্রতি স্থানীয়ভাবে সালিসি বৈঠক হয়। এতে আরিফের পরিবারের জমিগুলো দখল ছেড়ে দিতে মামুন ও লিলিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সালিসরা। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে লিলি ও মামুনের পরিবার নাসরিন। তারা আরিফকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় ওইদিনই মামুন ও লিলিকে আসামি করে থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা করা হয়। এর জের ধরে শনিবার রাতে আরিফকে তাদের বাড়ির পাশে সুপারি বাগানে কুপিয়ে জখম করে হত্যা করে গাছের ঝোপঝাড় দিয়ে ঢেকে রাখে। মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

রোববার সকালে খবর পেয়ে পুলিশ আরিফের লাশ উদ্ধার করে

ময়নাতদন্তের জন্যে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহতের বোন নাসরিন আক্তার জানান, নিহত আরিফের প্রতিবন্ধী স্ত্রী ও দুটি মেয়ে রয়েছে। তিনি রায়পুর শহরে ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী ছিলেন। আমাদের শত্রু আওয়ামী লীগ নেত্রী শামছুন্নাহার লিলি (৫৫) ও মামুন সর্দার (৩৫) সহ তাদের পরিবার আমার ভাইকে হত্যা করে পালিয়েছে। লিলি ও মামুনসহ ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছি। আমি ভাই হত্যায় ঘাতকদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মামুন সর্দার ও শামছুন্নাহার লিলি পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে তাদের স্বজনরা জানান, আরিফদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ, তা সঠিক। কিন্তু তারা আরিফকে হত্যা করেনি।

রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভুইয়া বলেন, শনিবার রাত ১টার সময় বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরেনি আরিফ। পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ নিয়ে না পেয়ে সুপারি বাগানে লাশ পান। ফার্নিচার কর্মচারী আরিফের মৃত্যুর ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি দিয়ে হত্যা মামলা করেছেন তার বোন নাসরিন আক্তার। ময়নাতদন্তের পর বোঝা যাবে প্রকৃত ঘটনা কী। তবে তার মাথায়, ডান হাতে আঘাত এবং পা ভাঙ্গা রয়েছে।।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়