প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৫, ১৯:৪৯
স্কুল পড়ুয়া তামান্না-তামিমদের বসতঘর আগুনে পুড়ে গেছে

মো. হাবিব মিজি। একজন দিনমজুর। তিনি দৈনিক হাজিরায় ঢাকায় একটি ফার্নিচারের দোকানে কাজ করেন। শনিবার (২২ নভেম্বর ২০২৫) সকাল ৯ টায় তার স্কুল পড়ুয়া তামান্না ও তামিমের বসতঘরটি আগুনে পুড়ে গেছে।
প্রতিদিনের ন্যায় তামান্না ও তামিমের মা তাদের জন্যে রান্না করে খাবার তৈরি করেছেন, সন্তানরা খেয়ে স্কুলে যাবে। এরই মাঝে খবর আসে পাশের বাড়ির একজন মহিলা মারা গেছেন । তাকে দেখতে গেলেই রান্নাঘরের আগুনে ঘরটি পুড়ে যায়।
চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচণ্ডী ইউনিয়নের তেতুলতলা স্বপন ডাক্তারের বাড়ির পেছনে বাড়ির হাবিব মিজির বাড়ি। তার দোচালা ঘরটি পাশে থাকা রান্নাঘরের আগুনে পুড়ে যায় বলে স্থানীয়রা জানায়। বাড়িটির চলাচলের পথ না থাকায় আগুন নেভাতে গিয়ে সময় লেগেছে। অথচ বাড়িটির চতুর্দিকে পানি। অনেকেই আবার দূর থেকে আগুন নেভানোর জন্যে না এগিয়ে মোবাইল ফোনে ছবি তুলতে দেখা গেছে।
তামান্না জানায়, আমি জিএম ফজলুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ি। রোববার আমার পরীক্ষা। আমার বই খাতা সব আগুনে পুড়ে গেছে। সাথে আমার ভাইয়েরও বই পুড়ে গেছে। তামিম বলে, রাতে আমরা কই থাকবো। অবুঝ তানজিল (২) ভাইবোনের কান্না দেখে হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে থাকে।
হতদরিদ্র পরিবারের ঘরে আগুন লাগার খবর শুনে রাজনৈতিকভাবে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার রাজনৈতিক নেতাকর্মী তাদেরকে নগদ অনুদান দিতে দেখা গেছে।
হাবিব মিজির আত্মীয় স্বপন ডাক্তার জানান, ঘরটি পরিপূর্ণ মেরামত করতে প্রায় দেড় থেকে দু লাখ টাকার মতো প্রয়োজন। সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে এই ঘরটি তৈরি করা সম্ভব হবে।
চাঁদপুর জেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন জানায়, আগুন লেগে হাবিব মিজির প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে সঠিক তথ্য দিয়ে খবর না দেওয়ায় ও রাস্তা না থাকায় ঘটনাস্থলে পৌঁছতে আমাদের বিলম্ব হয়েছে।







