প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১:২৭
হাজীগঞ্জে সম্পত্তিগত বিরোধে হিন্দু পরিবার বসবাস করছে খোলা আকাশের নিচে

হাজীগঞ্জের ৭নং বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের নাটেহরা গ্রামের সিদ্ধার বাড়িতে নিজস্ব সম্পত্তির ওপর বাড়ি করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের মিথ্যা ১৪৫ ধারার গ্যাঁড়াকলে পড়ে গেছে সুবল চন্দ্র দাসের পরিবার। শীত আর কুয়াশায় নারী আর শিশুদের নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে পরিবারটি।
|আরো খবর
জানা যায়, সুবল তার নিজস্ব সম্পত্তির ওপর ৭৮০ খতিয়ানে ৭ শতাংশ জমির ওপর পুরাতন ঘর ভেঙ্গে নতুন করে ঘর তৈরির কাজে হাত দেন। এতে বাধা দেন প্রতিবেশী উদ্দপ চন্দ্র দাস। বাড়িতে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার অভিযোগ তুলে ১৪৫ ধারা জারি করে উদ্দপ দাস। সেই থেকে সুবলের পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়ে।
সরজমিনে গেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা সুনীল চন্দ্র দাস, শুধাংসু দাস ও মানিক দাস জানান, গত ৬০-৭০ বছর পূর্বে তাদের দাদার সময় থেকে এখানে বসবাস করছে সুবলের পরিবার। যেই জায়গার উপর ঘর করা হচ্ছে, এখানে উদ্দপ চন্দ্র দাসের কোনো জায়গা নেই। সে নিজেই আমিন নিয়ে গ্রামের সালিসদের সাথে রেখে বাড়ি মেপে তার জায়গা বুঝে নিয়েছে। এখন আবার সে নিজেই দাবি করছে জায়গা পাবে। আমরা বাড়ির সবাই বসে সমাধান করার চেষ্টা করলেও সে বা তার পরিবারের কেউই এখানে আসে নি।স্থানীয় ইউপি সদস্য মুসলিম গাজী বলেন, এই বাড়ি মাপার সময় আমি নিজেও ছিলাম। সুবল দাসের ছেলে সমাধানের জন্যে গেলে আমি নিজে সমাধান করার চেষ্টা করলেও আমার কথা না শুনে উদ্দপ দাসের স্ত্রী রাসমনি দাস ঝিনু সোজা থানায় অভিযোগ ও পরে মামলায় চলে যান।
সুবল দাস জানান, আমার ৩ ছেলের মধ্যে এক ছেলে প্রতিবন্ধী। আমাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে উদ্দপ চন্দ্র দাস, তার স্ত্রী রাস মনি দাস ঝিনু মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে ও হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
সুবল দাসের ছোট ছেলে মিঠুন জানান, আমি বিল্ডিংয়ের কাজ করার সময় উদ্দপ দাসের স্ত্রী রাস মনি দাসকে বলি, আমরা ঘর করেছি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে একটা আবেদন করে ড্রপ তারটা সরিয়ে নিতে। এর জের ধরে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। আমি উদ্দপ দাসের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি জানুয়ারি ২০২৬ মাসে বাড়িতে আসবো, তখন এটার মীমাংসা হবে। এখন কোনো ধরনের মীমাংসা হবে না।
সালিস সুনীল দাস, শুধাংশু দাস, ইউপি সদস্য মুসলিম গাজী, আশিষ দাস, দেবরাজ দাস ও তাদের নিকটাত্মীয় ডা. মানিক লাল মজুমদার ও দীপক দাসসহ বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে দু পক্ষের কাগজপত্র নিয়ে বসে সমাধানে আসার চেষ্টা চালিয়ে কোনো লাভ হয়নি। তারা বসবে না বলে জানিয়ে দেন।
এ বিষয়ে রাস মনি দাস ঝিনু বলেন, পথের ওপর ঘর করছে, তাই মামলা করেছি।
'সবার দাবি, আপনারা মিথ্যা অভিযোগ করছেন' এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো জবাব দেননি।
উদ্দপ দাস মুঠোফোনে বলেন, যা-ই করেন, আমি মামলায় বুঝবো।এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার এসআই জয়নাল আবেদীন জানান, আদালত আমাদের কাছে প্রতিবেদন চেয়েছে, আমি প্রতিবেদন আদালতে পাঠিয়ে দিয়েছি।








