প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ২১:৪৫
শাহরাস্তিতে সালিসে বিবাদীর ওপর হামলা
বিএনপি নেতার নামে থানায় অভিযোগ

শাহরাস্তিতে সালিসে বিবাদীর ওপর হামলার অভিযোগে উপজেলার রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারসহ ৪জনকে বিবাদী করে থানায় অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর ২০২৫) সন্ধ্যায় খিলা পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
|আরো খবর
থানার অভিযোগ ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের নাহারা পাটওয়ারী বাড়ির মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে মোশাররফ হোসেনের বোন একই ইউনিয়নের বেরকী গ্রামের মো. মফিজের স্ত্রী মরিয়ম বেগম হতে ওয়ারিশের সম্পত্তি ক্রয় করেন। সম্পত্তি ক্রয়ের পর দীর্ঘদিন বুঝিয়ে না দেয়ায় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার এবং প্রসন্নপুর মোগল বাড়ির মোতালেব হোসেনের ছেলে বিএনপি নেতা মাঈনুল ইসলাম মোগলের শরণাপন্ন হন। তারা বিষয়টি সূরাহা করে দিবে বলে ৩৫ হাজার টাকা নেন।
ঘটনার দিন মরিয়ম বেগমের দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডাকা সালিসে মোশাররফ হোসেন ও তার পরিবার হাজির হয়। ওই সময়ে তুচ্ছ বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে আব্দুস সাত্তার, মাঈনুল ইসলাম মোগল ও ওই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান খান মোশাররফ হোসেন ও তার স্ত্রী পেয়ারা বেগমকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি, চড় দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। হামলার এক পর্যায়ে মোশাররফ হোসেন বুকে প্রচণ্ড আঘাত পেয়ে মাটিতে পড়ে যান। উপস্থিত লোকজন ও স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে মোশারফ হোসেনের স্ত্রী পেয়ারা বেগম এ ঘটনায় ৪জনকে বিবাদী করে শাহরাস্তি মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে পেয়ারা বেগম জানান, আমাদের সম্পত্তিগত বিষয়ে বিরোধ দেখা দিলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আব্দুস সাত্তারের কাছে যাই। তিনি বিষয়টা সুরাহা করে দেবেন বলে আমার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নেন ও প্রসন্নপুর গ্রামের বিএনপি নেতা মাঈনুল ইসলাম মোগলকে ১৫ হাজার টাকা দেই। তারা বিষয়টি সুরাহা না করে আমাদেরকে হয়রানি করছে। মরিয়ম বেগমের স্বামী আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহজাহান খানের যোগসাজশে তারা পুনরায় আমার কাছ থেকে টাকা দাবি করেন। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে এ হামলার শিকার হই। থানায় অভিযোগের পর আমাদের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। আমরা উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিককে এ বিষয়ে কেন বলবো মন্তব্য করে মুঠোফোনের সংযোগ কেটে দেন। শাহরাস্তি মডেল থানার (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাসার জানান, এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।








