অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ফরিদগঞ্জের এক পল্লী চিকিৎসক ও তার পরিবার

বৈদ্যুতিক মিটার থেকে সংযোগ দিয়ে একটি জিআই তার দ্বারা ঘরের দরজার চারপাশে ছড়িয়ে দিয়ে ভয়ঙ্কর মৃত্যু ফাঁদ রচনা করেছিলো দুর্বৃত্তরা। হয়তোবা টার্গেট ছিলো বিদ্যুতায়িত করে একজন বা সপরিবারে একটি পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া। কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে? সেই কথার প্রতিফলন ঘটলো ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ গ্রামে। অবধারিত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা ব্যক্তি স্থানীয় কুঠির বাজারের পল্লী চিকিৎসক আনিসুর রহমান।

রোববার (১২ অক্টোবর ২০২৫) রাতে এই জঘন্য ঘটনা উদঘাটিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক জরুরি জাতীয় সেবা ৯৯৯ ফোনের মাধ্যমে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ ও বিদ্যু বিভাগের লোকজন। বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন দ্রুত মিটার থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করার মাধ্যমে ওই মৃত্যু ফাঁদটি বন্ধ করেন।

এ ব্যাপারে সোমবার (১৩ অক্টোবর ২০২৫) রাতে আনিসুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা লোকজনকে আসামী করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

আনিসুর রহমান জানান, তিনি সাহেবগঞ্জ গ্রামের স্থানীয় কুঠির বাজারে পল্লী চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন। রোববার রাত ১১টার দিকে তিনি দোকানের কাজ শেষে বাড়ি ফিরেন। ঘরে প্রবেশের পূর্ব মুহূর্তে তার পায়ে কিছু একটি আটকে গেলে বৈদ্যুতিক শকের মতো লেগে ছিটকে পড়েন। হতচকিত হয়ে তিনি ডাক চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। পরে তারা আলো জ্বেলে মৃত্যু ফাঁদ উদঘাটন করেন। তিনি জানান, দুর্বৃত্তরা তার ঘরের বৈদ্যুতিক মিটার থেকে একটি লাইন বের করে জিআই তার দিয়ে ঘরের সামনে বিছিয়ে রাখেন। তার ধারণা, এই তারে জড়িয়ে তিনি এবং তার পরিবারের সদস্য মা, স্ত্রী ও তার সন্তানসহ পুরো পরিবার বিদ্যুতায়িত হয়ে চিরতরে শেষ হয়ে যেতেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন জানান, ঘটনা শুনে তিনি ছুটে এসে দেখে দ্রুত জরুরি জাতীয় সেবা ৯৯৯ ফোন করে পুলিশ ও পল্লী বিদ্যুতের লোকজনকে জানান। পরে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন এসে দ্রুত বিদ্যুতের লাইনটি বিছিন্ন করেন।

সোমবার ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ থানার এসআই নুরুল আলম জানান, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাৎক্ষণিক তদন্ত করেছেন। সন্ধ্যার পর আনিসুর রহমান থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।