প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৫, ২১:৪৯
পুরাণবাজারস্থ শ্রী শ্রী রামঠাকুর মন্দিরে দোল পূর্ণিমা হোলি উৎসব

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দোল পূর্ণিমা বা হোলি উৎসব। বাংলাদেশে এই উৎসবটি ‘দোলযাত্রা’, ‘দোল পূর্ণিমা’ নামেও পরিচিত। দোলযাত্রা ও গৌর পূর্ণিমা উপলক্ষে চাঁদপুরসহ সারাদেশে বিভিন্ন মন্দিরে পূজা, হোম যজ্ঞ, প্রসাদ বিতরণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। এরই অংশ হিসেবে শ্রী শ্রী রামচন্দ্রদেবের ৯৯তম বার্ষিক দোল যাত্রা উৎসব-২০২৫ উপলক্ষে চাঁদপুর পুরাণবাজারস্থ শ্রীশ্রী রামঠাকুর দোল মন্দিরে ২০ প্রহর হরিনাম যজ্ঞসহ নিম্নোক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়--
|আরো খবর
শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকেল পর্যন্ত নানা কার্যক্রম। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পরস্পরকে আবীর মাখিয়ে এ উৎসব উদযাপন করেছে।
এ আয়োজনকে ঘিরে পুরাণবাজার রামঠাকুর দোল মন্দিরে ভক্তবৃন্দের উপচেপড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয়। মন্দির কমিটির সভাপতি পরেশ চন্দ্র মালাকার, গোপাল চন্দ্র সাহা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন সাহা, ডা. পীযূষ সাহা, পৌর পূজা কমিটির সভাপতি নেপাল চন্দ্র সাহাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
রামঠাকুর দোল মন্দির কমিটির উদ্যোগে এদিন দোল উৎসব ও কীর্তনের আয়োজন করা হয়েছে। সকালে পূজা ও কীর্তন শুরু হয়।
বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, এদিন শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে রাধিকা এবং তার সখীদের সঙ্গে আবীর খেলেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি। এ কারণে দোলযাত্রার দিন এ মতের বিশ্বাসীরা রাধা-কৃষ্ণের বিগ্রহ আবীরে রাঙিয়ে দোলায় চড়িয়ে নগর কীর্তনে বের হন। এ সময় তারা রঙ খেলার আনন্দে মেতে উঠেন।
মন্দির কমিটির সভাপতি পরেশ মালাকার ও সাধারণ সম্পাদক গোপাল সাহা জানান, শুক্রবার (১৪ মার্চ ২০২৫) সকাল ৯টায় দোল পূজা, দুপুরে শ্রীশ্রী কৈবল্যনাথের ভোগরাগ ও মহাপ্রসাদ বিতরণ এবং অহোরাত্র হরিনামযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (১৫ মার্চ) প্রাতে হরিনাম যজ্ঞ সমাপন, কুঞ্জভঙ্গ ও নগর সংকীর্তন হবে। এই দোল উৎসবে সকল ভক্তের সপরিবারে উপস্থিতি ও সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।
তারা আরো জানান, দোলযাত্রা উৎসব উপলক্ষে শ্রীশ্রী সত্য নারায়ণের সেবা মন্দির, ডিঙ্গামানিকের পূজ্যপাদ যুব মহারাজ শ্রীমৎ সুভাষ চন্দ্র চক্রবর্তী মহাশয় উপস্থিত থেকে বুধবার ও শুক্রবার আগ্রহী শ্রীনাম প্রার্থীদের শ্রীনাম শোনাবেন।