শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৫, ২০:৫৯

স্বঘোষিত যুবলীগ নেতা কর্তৃক অসহায় বিধবা নারীর বসতবাড়ি দখলের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার।।
স্বঘোষিত যুবলীগ নেতা কর্তৃক অসহায় বিধবা নারীর বসতবাড়ি দখলের অভিযোগ
পুরাণবাজার মধুসূদন স্কুল মাঠ সংলগ্ন ম্যানেজার বাড়ির এই বিল্ডিং ও ভুক্তভোগী রুমা বেগম। সেখানে জোরপূর্বক ঢুকে দেয়াল নির্মাণ করে গণি শেখ গং।

চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজারে স্বঘোষিত এক যুবলীগ নেতা কর্তৃক রহিমা বেগম (রুমা বেগম) নামে এক বিধবা নারীর বসত বাড়ি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।‌ আওয়ামী সরকারের পতনের পর স্বঘোষিত সে যুবলীগ নেতা পালিয়ে গেলেও দখলমুক্ত হয়নি অসহায় বিধবা নারীর বসতবাড়ি। এ বিষয়ে এলাকার মুরুব্বীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে সালিসি বৈঠকেও প্রতিকার না পেয়ে থানা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে অসহায় রুমা বেগমের পরিবার।

গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) বিধবা রুমা বেগম বাদী হয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনাটি ঘটে চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার মধুসূদন স্কুল মাঠের পেছনে মধ্য শ্রীরামদী টিজি রোড়স্থ ম্যানেজার বাড়িতে। অভিযুক্তরা হলেন একই এলাকার মৃত মো. ওয়াফ শেখের ছেলে ফারুক শেখ (৪০), গণি শেখ (৪৫) এবং ওয়াফ শেখের স্ত্রী রাজিয়া বেগম (৭০)।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, পুরাণবাজার মধ্য শ্রীরামদী ম্যানেজার বাড়ির মৃত আবুল হোসেন হাওলাদারের মেয়ে রহিমা বেগম (রুমা) (৫০) নিজের ৭ শতক জমিতে দীর্ঘ দিন বসবাস করছেন। সেখানে পরিবার নিয়ে থাকার জন্যে একটি দোতলা বিল্ডিং রয়েছে। অর্থ সঙ্কটে পড়ে ২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর প্রতিবেশী ফারুক শেখের কাছে বাড়ির পাশের ২.৭৬ শতক খালি জমি বিক্রি করেন। যার বিএস খতিয়ান নং-১৬৬১৭। উভয় পক্ষের সম্মতিতে জমির দাম ১১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করে একটি বায়নাপত্র করা হয়।‌ বায়না বাবদ ফারুক শেখ প্রাথমিক ভাবে রুমা বেগমকে ৭ লাখ টাকা প্রদান করে এবং বাকি ৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পরবর্তীতে এক মাসের মধ্যে পরিশোধ করবে বলে বায়না পত্রে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে ফারুক শেখ বাকি টাকা না দিয়ে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ভাড়াটে সন্ত্রাসীসহ রুমা বেগমকে বাড়ি থেকে তুলে চাঁদপুর সাব-রেজিস্ট্রী অফিসে নিয়ে যান। সেখানে জোর করে জমির পাওয়ার নিয়ে খালি জায়গা ১.৭৫‌ শতক এবং বিল্ডিংয়ের ভিতরে ১.০১ শতক জমি লিখে নেন। শুধু তাই নয়, একই সাথে বাড়ির পানির সংযোগও তাদের নামে করে নেন। পাওয়ার নেওয়ার পরপরই তারা রুমা বেগমের বাড়ির দোতলা বিল্ডিংয়ের নিচ তলার কয়েকটি রুম ভেঙ্গে মাঝ বরাবর নতুন করে দেওয়াল তৈরি করেন। এরপর থেকে তারা জোরপূর্বক দখল করা বিল্ডিংয়ের নিচ তলার একাংশে বসবাস করা শুরু করেন। এদিকে তারা খালি জায়গা দেবে না বলে বিল্ডিংয়ে ঢুকেছে। কিন্তু তাদের দখলে রয়েছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী অসহায় রুমা বেগম জানান, আমার বাবা এবং স্বামী দুজনেই মারা গেছেন। ‌একজন পুত্র সন্তানও নেই। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফারুক শেখ এবং তার বড়ো ভাই গণি শেখ নিজেকে ঢাকা কাওরানবাজার যুবলীগের নেতা দাবি করে জোরপূর্বক আমার বসতবাড়ি দখল করে নিয়েছেন। প্রতিবাদ করলে তারা নানাভাবে আমাকে এবং আমার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয়। সরকার পতনের পর একাধিক মামলা নিয়ে গনি শেখ পালাতক রয়েছে।

রুমা বেগম আরো বলেন, নিজের বসতবাড়ি দখলমুক্ত করতে বিষয়টি আমি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানাই। এরপর তারা বিবাদীদের ডেকে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন। কিন্তু ফারুক শেখ এবং তার পরিবার এ বিষয়ে সমাধানের চেষ্টা না করে উল্টো বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন। তারা আমার জায়গা বিক্রির বাকি টাকা দেওয়া দূরের কথা, বর্তমানে আমাকে আমার বসত বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফারুক শেখের মা রাজিয়া বেগম বলেন, আমার ছেলেদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা। বিল্ডিং এবং খালি জায়গা সহ আমরা ২.৭৫ শতক জমি পাওয়ার দলিলের মাধ্যমে কিনেছি। আমরা ৮ লাখ টাকা দিছি, বাকি টাকাও দিব।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়